প্রায় এক মাসের মৌনতা পালন করতে হবে এমন এক ব্যক্তিকে, যিনি সদা হাস্যময়, কথা বলতে ভালবাসেন এবং অত্যন্ত আড্ডাপ্রিয়। সাহানা বাজপেয়ী। বাংলা সঙ্গীত জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। কঠোর অধ্যাবসায় তৈরি করেছেন নিজের পরিচয়। ছকভাঙা যাঁর কণ্ঠ। এককথায় সকলেই স্বীকার করবেন, এক্কেবারে ইউনিক তাঁর গানের গলা। ‘একটা ছেলে’ থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত, শান্তিনিকেতনের এই চঞ্চলাকে নাকি চুপ করে থাকতে হবে প্রায় একমাস। নিজেই জানিয়েছেন সেই কথা।
সাহানা বলেছেন, “আমার গলায় স্ট্রোবোস্কোপিক পরীক্ষা হয়। তাতেই জানা যায়, আমার ভয়েস বক্সে হেমারেজ হয়েছে। বিশ্রামে থাকতে বলা হয়ছে আমাকে। সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে গলাকে। প্রায় একমাস গান গাইতে পারব না, কথা বলতে পারব না, চিৎকারও করতে পারব না। আমার এই অবস্থার কথা জেনে দয়া করা আপনারা আমার পাশে থাকুন। আমিও চেষ্টা করব নিজের এই নিশ্চুপ আমিটার পাশে থাকতে। এই আমিটাকে আমি যে চিনিই না! এই সম্পূর্ণ অজানা আমিটাকেও জানতে হবে আমায়। যাঁদের উপর আমি চিৎকার করে উঠি, দয়া করে আমার ধারেকাছে আসবে না এখন।”
বর্তমান সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় নাম সাহানা বাজপেয়ী। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় তাঁর ডেবিউ মিউজ়িক অ্যালবাম ‘নতুন করে পাব বলে’। একগুচ্ছ রবীন্দ্রসঙ্গীত ছিল তাতে। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় সাহানার ‘শিকড়’। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম ‘যা বলো তাই বলো’। ২০১৬ সালে প্রকাশ পায় সোলো অ্যালবাম ‘মন বান্ধিবি কেমনে’। গান গাওয়ার পাশাপাশি লেখেনও।
চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন সাহানা। ২০১২ সালে কিউ পরিচালিত ‘তাসের দেশ’ ছবিতে প্রথম গান করেন। সেই গানটি ছিল ‘বলো সখি বলো’। তার পরপরই ‘হাওয়া বদল’, ‘ফ্যামিলি অ্যালবাম’, ‘ষড়রিপু’, ‘রেনবো জেলি’, ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘কণ্ঠ’র মতো ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন সাহানা। বিদেশে সঙ্গীতে উচ্চশিক্ষাও লাভ করেছেন। গলার অসুস্থতা কাটিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন সাহানা, সেই কামনা করে TV9 বাংলা।