International Mother Language Day: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কোর তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, জেনে নিন…
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ উদ্যোগ নিয়েছিল, যা ১৯৯৯ সালের ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে অনুমোদিত হয়েছিল। সেই সময় থেকেই প্রতি বছর এই নির্দিষ্ট দিনে পালিত হয়ে আসছে ভাষা দিবস।
প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘ-নির্ধারিত এই দিনটিকে ভাষা দিবসের তকমা দেওয়ার একটাই কারণ। বহু ভাষার মধ্যে সমন্বয় আনার চেষ্টা করা আর পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মধ্যে চিন্তা ভাবনার মেলবন্ধন গড়ে তোলা। কিন্তু, কী ছিল এই চিন্তার আসল উদ্দেশ্য? আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস সম্বন্ধে একটু জেনে নেওয়া যাক…
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ উদ্যোগ নিয়েছিল, যা ১৯৯৯ সালের ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে অনুমোদিত হয়েছিল। সেই সময় থেকেই প্রতি বছর এই নির্দিষ্ট দিনে পালিত হয়ে আসছে ভাষা দিবস। ২০০০ সালে সারা বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। ইউনেস্কোর মতো একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা কীভাবে সমাজের জন্য সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্যের গুরুত্বে বিশ্বাস করে, তা এই দিনটা আমাদের বোঝায়। ইউনেস্কোর মতে, এই দিনের প্রচারটা শান্তির জন্য। এই বিশেষ দিনটা সংস্কৃতি এবং ভাষার পার্থক্য রক্ষা করার জন্য প্রচার করা হয়, যা সহনশীলতা এবং বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে।
ভাষাগত বৈচিত্র্য প্রতিদিন একটু একটু করে হুমকির মুখে পড়ছে। আর সেই কারণেই আরও বেশি ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ যে ভাষায় কথা বলে বা বোঝে তাতে শিক্ষার অগ্রাধিকার নেই। এই দিনগুলির মাধ্যমেই স্থানীয় ভাষাগুলির প্রচার করা হয় এবং সেগুলি সংরক্ষণের প্রচেষ্টা করা হয়। এর গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে বোঝানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এবং জনজীবনে এর বিকাশের প্রতি আরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মাতৃভাষা-ভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষায় অগ্রগতি যে হচ্ছে সেই সম্বন্ধে সম্যক ধারণা প্রচার করাই এই দিনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘের মতে, ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বহুভাষিক শিক্ষার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রতিকূলতা এবং সুযোগ’। জাতিসংঘ তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে এই বছরের থিমটি বহুভাষিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি, সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষাদান ও শিক্ষার বিকাশে সহায়তা করতে প্রযুক্তির সম্ভাব্য ভূমিকাকে তুলে ধরে।
কোভিড-১৯-এর অভিজ্ঞতা বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে তুলে ধরেছে কীভাবে প্রযুক্তি ডিস্টেন্স এডুকেশনের জন্য অপরিহার্য। জাতিসংঘ স্বীকার করে যে প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। তাই এই বছরের থিমের সঙ্গে মাতৃভাষার উপর ভিত্তি করে বহুভাষিক শিক্ষা কীভাবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেই সম্বন্ধে আলোকপাত করা হবে।
তথ্যসূত্র: নিউজ ১৮