‘এই দুনিয়ায় কোথাও কোনও নিয়ম নেই’, হঠাৎ কীসের আক্ষেপ অরিজিতের গলায়
Arijit Singh: এই জার্নিটা মোটেও সুখকর ছিল না অরিজিতের কাছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অরিজিৎ সিং স্বীকার করে নেন যে তিনি মোটেও খুশি ছিলেন না এই সিদ্ধান্তে। শ্রোতারা যে কণ্ঠস্বর তাঁর পছন্দ করছেন, ভালবাসা দিচ্ছেন তা, তৈরি করেছেনে তিনি নিজে।
অরিজিৎ সিং, এক কথায় বলতে গেলে তাঁকে নিয়ে ভক্ত মনে উত্তেজনার পারদ বরাবরই থাকে তুঙ্গে। কেরিয়ারের শুরুতে যিনি নিজেকে প্রমাণ করতে চোখের জল ফেলেছেন বহু। তাঁর কথায়, কেউ পছন্দই করতেন না তাঁর আসল কণ্ঠস্বর। একটা সময় দেওয়ালে যখন পিঠ থেকে যায় অরিজিতের, তখন তিনি নিজেকে পাল্টাতে শুরু করেন। নিজের গলাকে ভেঙে ধীরে ধীরে তাতে অন্য রূপ দেওয়া। পাল্টে ফেলা সম্পূর্ণ রূপে। এই জার্নিটা মোটেও সুখকর ছিল না অরিজিতের কাছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অরিজিৎ সিং স্বীকার করে নেন যে তিনি মোটেও খুশি ছিলেন না এই সিদ্ধান্তে। শ্রোতারা যে কণ্ঠস্বর তাঁর পছন্দ করছেন, ভালবাসা দিচ্ছেন তা, তৈরি করেছেনে তিনি নিজে। অরিজিৎ বর্তমানে এমন অনেক প্রসঙ্গে কথা বলছেন, যা একটা সময় এড়িয়ে যেতেন। মূলত তিনি সাক্ষাৎকার দিতেই পছন্দ করতেন না। খুব একটা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতেও দেখা যায় না অরিজিৎকে।
এবার সেই গায়কই জীবন দর্শন নিয়ে মুখ খুললেন। জানালেন, কিছু কাজ করতেই হবে। কিছু না করলে একটা মানুষ কোথায় বাঁচবে? ভবিষ্যতে? বর্তমানে? যদি না হয়, তবে কোথায়? বর্তমানে। বর্তমানে কখন বাঁচবে কেউ, যদি কাজ করে যাওয়া যায় তখন। কারণ জীবনের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এই পৃথিবীতে কোথাও কোনও নিয়মের খাতা নেই। নিয়ম বলে কিছু হয় না। তুমি কাজ করো, সেটাই আসল।
ছোট থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছিলেন জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ সিং। সর্বভারতীয় এক জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। যেটাকে ‘রিয়্যালিটি শো’ বলা হয়। সেই শোতে অংশ নিয়ে তিনি বিজয়ী হননি ঠিকই, তবে তাঁর গান লোকের মনে গেঁথে গিয়েছিল তখন থেকেই। রিয়্যালিটি শোটি শেষ হওয়ার পর গান গাওয়ার সুযোগ আসে তাঁর এবং একের পর-এক ছবি এবং মিউজ়িক ভিডিয়োতে গান গেয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান অরিজিৎ। হেন কোনও অভিনেতা নেই মুম্বই কিংবা বাংলায়, যিনি ছবিতে অরিজিতের কণ্ঠে লিপ সিঙ্ক করেননি। তিনি এখন স্টার।