AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কিশোরের অনুরোধে ৬ মাস…, মৃত্যুর আগে কী পরিস্থিতি হয়েছিল মধুবালার?

প্রথম কিশোর কুমারই মধুবালার পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর আয়ু আর বেশি দিন নেই। হার্টে পাওয়া গিয়েছে একটি ছিদ্র। কিশোর জানি ডাক্তারের কথায় মাত্র ২ বছর বাঁচানো যাবে তাঁকে। খবর শোনা মাত্র চমকে গিয়েছিলেন সকলেই। ভেঙে পড়েছিলেন মধুবালার বাবা ও দাদু।

কিশোরের অনুরোধে ৬ মাস..., মৃত্যুর আগে কী পরিস্থিতি হয়েছিল মধুবালার?
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2025 | 7:35 PM
Share

পর্দায় পা রাখার পরই মধুবালা সকলের মনে ঝড় তুলেছিলেন তাঁর অনবদ্য রূপ ও অভিনয়গুণে। শোনা যায় একাধিক সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রীর। যার মধ্যে অন্যতম নাম হল দীলিপ কুমার। তবে কিশোর কুমারের সঙ্গে পরিচিতি হওয়ার পর সেই সম্পর্ক যায় ভেঙে। ১৯৬০ সালে এই জুটি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। তবে সংসার খুব বেশি দিনের জন্য ভাগ্যে ছিল না মধুবালার। বিয়ের মাত্র ৯ বছর পরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন মধুবালা।

প্রথম কিশোর কুমারই মধুবালার পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর আয়ু আর বেশি দিন নেই। হার্টে পাওয়া গিয়েছে একটি ছিদ্র। কিশোর জানি ডাক্তারের কথায় মাত্র ২ বছর বাঁচানো যাবে তাঁকে। খবর শোনা মাত্র চমকে গিয়েছিলেন সকলেই। ভেঙে পড়েছিলেন মধুবালার বাবা ও দাদু। তবে সেই মুহূর্তে সকলেই আঁচ করেছিলেন মধুবালার মানসিক অবস্থা। সকলেই সান্তনা দিয়েছিলেন মধুবালাকে। সকলেই তাঁকে বোঝাতেন, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

তবে এই খবর মেনে নিতে নারাজ ছিলেন খোদ মধুবালা। কান্না ভেঙে পড়েছিলেন। সকলে উপদেশ দিয়েছিলেন, কেউ যেন ডাক্তারের কথা বিশ্বাস না করে। ছবির প্রস্তাব যেন তিনি গ্রহন করে নেন, কাজ করতে চেয়েছিলেন মধুবালা। ভেবেছিলেন তিন চার দিনের মধ্যেই সেটে ফিরবেন। তবে কিশোর কুমার ছয় মাসের জন্য তাঁকে বিশ্রাম নিতে অনুরোধ করেছিলেন। যদিও সেই ছয় মাস দেখতে দেখতে ৯ মাসে পরিণত হয়। তারপর ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে প্রয়াত হন কিংবদন্তি শিল্পী মধুবালা।