গুলজারের প্রথম ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল সুভাষের, নিজে সরে গিয়ে কাকে জায়গা করে দেন পরিচালক?
গুলজারের কথায়, বহু বছর ধরে সুভাষকে চিনতেন তিনি, শুধু চেনা নয় অনুভব করতেন, বুঝতেনও। সেই সময়ের গল্প এটা, যখন গুলজার তাঁর প্রথম ছবি তৈরির তোড়জোড় করছিলেন। ছবির নাম 'মেরে আপনে'।

পরিচালক সুভাষ ঘাই একজন জনপ্রিয় পরিচালক। নানা ধরনের ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন একটা দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁর ছবিতে একটা ছোট্ট দৃশ্য হলেও তিনি উপস্থিত থাকেন। এবং পরবর্তি সময়ে এটা প্রায় ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়ায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সুভাষ ঘাই ফিল্ম ইনস্টিটিউট-এ গিয়েছিলেন অভিনয় শিখতে। তিনি অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। সুযোগও এসেছিল। সম্প্রতি সুভাষ ঘাইয়ের ফিল্ম ইনস্টিটিউট-এর একটি অনুষ্ঠানে এসে গুলজার শোনালেন এমনই এক চমকে দেওয়া গল্প। গুলজারের কথায়, বহু বছর ধরে সুভাষকে চিনতেন তিনি, শুধু চেনা নয় অনুভব করতেন, বুঝতেনও। সেই সময়ের গল্প এটা, যখন গুলজার তাঁর প্রথম ছবি তৈরির তোড়জোড় করছিলেন। ছবির নাম ‘মেরে আপনে’।
তখন ছবির চিত্রনাট্য লেখা শেষ। ছবির প্রযোজক রোহন সিপ্পি প্রায় সব চরিত্রের জন্য অভিনেতা ঠিক করে ফেলেছিলেন। তবে একটাই চরিত্র বাকি ছিল, গুলজার তখন সুভাষের নাম বলেন। ইনস্টিটিউট পাস করে সবে সিনেদুনিয়ায় এসেছিলেন নবীন সুভাষ। তবে তাঁর পিছন-পিছন এসেছিলেন আরও একজন অভিনেতা, যিনি ওই এক ইনস্টিটিউট থেকেই পাস করে বেরিয়েছিলেন। তিনিও সুযোগ চাইছিলেন। তবে গুলজারের কাছে একটা মাত্র চরিত্রের কাস্টিং বাকি ছিল। সেই সময় সুভাষ দ্বিতীয় অভিনেতাকেই এগিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘উনি ভাল অভিনয় করেন, ওকেই নিন ।’
সেই অভিনেতার নাম আশরানি। নিজের সুযোগ অন্যকে করে দিয়েছিলেন সুভাষ ঘাই। আজ বহু বছর পর মনে হয় ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে যদিও অভিনয় শেখার কোর্স করেছিলেন সুভাষ, তবে তিনি আরও অনেক কিছু শিখে এসেছিলেন। অনেক বড় দর্শন ছিল তাঁর। তাই সুভাষের ছবিতে এমন বহু অভিনেতা, অভিনেত্রীকে পেয়েছেন দর্শক, যাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দি ছবির তারকা। আদতে সুভাষ ঘাই স্টার মেকার। এখনও তাঁর ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বহু তারকার জন্ম হচ্ছে।
গুলজার আরও বলেন, “আমার আর সুভাষের মধ্যে একটাই মিল রয়েছে। তা হল আমাদের দু’জনের কন্যার নাম মেঘনা। দুই মেঘনাই দারুণ কাজ করছেন।”





