অনুরাগীদের হাত থেকে নিজের ফোন নম্বর লুকিয়ে রাখতে কী করেছিলেন মহানায়ক? জানেন কী ছিল সেই নম্বর!
মহানায়ককে চাক্ষুষ না করা গেলেও যদি তাঁর কন্ঠস্বর শোনা যায় টেলিফোনে, তাতেই অনুরাগীদের ঈশ্বর প্রাপ্তির সমান আনন্দ। একটু খোঁজ নিলেই জানা যায় সেই সময়ের এমন নানা কাহিনি। তাই বলে অত সহজেই সত্যি পাওয়ার কথা মহানায়ক উত্তম কুমারের ফোন নম্বর!

বেলা বোসের নম্বর অবশ্য ঠোটস্থ হয়ে গিয়েছে প্রায় সকল বাংলা সঙ্গীত প্রেমীদের। শোনা যায় এই নম্বর যাঁর ছিল, তিনি নাকি মামলাও ঠুকে দিয়েছিল এই গানের শ্রষ্ঠা অঞ্জন দত্তের নামে। আর এই ফোন নম্বর নিয়ে যখন কথা উঠেছিল, তখন সিনে তারকাদের ফোন নম্বর নিয়ে যে দর্শকদের মনে আলাদা কৌতুহল থাকবে, সেটা বলা বাহুল্য। তবে সেই নম্বর যদি হয় মহানায়ক উত্তম কুমারের! তাহলে তো কথাই নেই। কারণ সেই সময়ে তো এখনকার মতো স্যোশাল মিডিয়ায় চাইলেই তারকাদের পাওয়া যেত না। তখন ভরসা একমাত্র চিঠি। এর পরবর্তী সময়ে আসে টেলিফোন।
মহানায়ককে চাক্ষুষ না করা গেলেও যদি তাঁর কন্ঠস্বর শোনা যায় টেলিফোনে, তাতেই অনুরাগীদের ঈশ্বর প্রাপ্তির সমান আনন্দ। একটু খোঁজ নিলেই জানা যায় সেই সময়ের এমন নানা কাহিনি। তাই বলে অত সহজেই সত্যি পাওয়ার কথা মহানায়ক উত্তম কুমারের ফোন নম্বর! সেই সময়ে অনেক উত্তম অনুরাগীদের কাছ থেকে শোনা যায়, যে তাঁরা টেলিফোন ডিরেক্টরি থেকে উত্তম কুমার বা তাঁর ভাই তরুণ কুমারের নাম খোঁজ করতেন। উত্তম কুমারের বাড়ির ল্যান্ড লাইন নম্বর পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করতেন। তবে ডিরেক্টরি খুঁজেও উত্তম বাবুর নম্বর পাওয়া যেত না। বাড়ির ঠিকানা পাওয়া গেলেও, টেলিফোন নম্বর পাওয়া যেত না। অনেক পরে জানা যায় উত্তম কুমারের বাড়ির টেলিফোন নম্বর নেওয়া ছিল তাঁদের মা চপলা চট্টোপাধ্যায়ের নামে, আর নম্বর ছিল-৪৭৪৬৪৬।
এখন অবশ্য মোবাইলের যুগ। বহু, তারকাদের দেখা যায় বারংবার তাঁদের নম্বর বদলাতেও। কারণ হিসেবে এক অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, নানা ধরনের ডেলিভারি অ্যাপ ব্যবহারের কারণে সহজেই সেই নম্বর সাধারণের কাছে পৌঁছে যায়, তাই নম্বর বদলাতে হয়। মহানায়ক এখন থাকলে কী উপায়ে সামলাতেন এই ফোন নম্বর বিড়ম্বনা, তা নিশ্চয়ই ভাবায় তাঁর অনুরাগীদের।





