মুনমুনের বিবাহিত জীবন কতখানি সুখের? যা বলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা…

Moonmoon Sen Secrets: সাংসারিক জীবনে কতখানি সুখী সুচিত্রা সেনের কন্যা অভিনেত্রী মুনমুন সেন? মায়ের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে জীবনে কতটুকু পেয়েছেন এই লাস্যময়ী তারকা? জানেন, মুনমুন কী বলেছিলেন?

মুনমুনের বিবাহিত জীবন কতখানি সুখের? যা বলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা...
মুনমুন সেন।
Follow Us:
| Updated on: Apr 19, 2024 | 10:27 AM

‘হাবি’। এই নামেই স্বামী ভরত দেব বর্মাকে সম্বন্ধ করেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা অভিনেত্রী মুনমুন সেন। ‘হাবি’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘হাসব্যান্ড’ থেকে, যার বাংলা অনুবাদ–স্বামী। স্বামীকে নিয়ে কতখানি খুশি মুনমুন, তা তিনি জানিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। চলার পথে হাবি তাঁকে কতখানি সম্মান করেন, সেটা জানিয়েছিলেন তারকা-সন্তান।

বিখ্যাত মায়ের মেয়ে মুনমুন। ভাল নাম শ্রীমতী। মুনমুন মানেই তিনি বিখ্যাত হয়েছেন। হিন্দিতে স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না মুনমুন। দক্ষিণভারতীয় সব ক’টি ভাষায় অভিনয় করে একসময় দারুণ খুশি ছিলেন এই তারকা। যুবতি বয়সে মা সুচিত্রার সঙ্গে শুটিংয়ের ফ্লোরে যেতেন কিশোরী মেয়েটি। সেখানে মুখ তুলতেন না বই থেকে। একবার এক ফটোগ্রাফার অপরূপা সুন্দরী মুনমুনের ফটো তুলেছিলেন বলে বেশ রাগ করেছেন সুচিত্রা। ধমক দিয়েছিলেন তাঁকে। বিষয়টা অনেক দূর গড়িয়েছিল।

দুই কন্যা রিয়া এবং রাইমার সঙ্গে মুনমুন-ভরত

মেয়ে যাতে জমিয়ে সংসার করে, তাই ত্রিপুরার রাজ পরিবারে বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন সুচিত্রী। মিসেস সেনের ইচ্ছাকে খণ্ডানোর ক্ষমা ছিল না শ্রীমতী মুনমুনের। তিনি সম্বন্ধ করেছিলেন সেই রাজ পরিবারের রাজপুত্র ভরত দেব বর্মার সঙ্গে। দাপুটে তারকার সঙ্গে কুটুম্বিতা করতে আগ্রহী ছিল দেব বর্মা রাজ পরিবারও। সেই থেকে মুনমুনের জীবনে হাবি ভরতের আবির্ভাব!

এই খবরটিও পড়ুন

মুনমুন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমার হাবি ভরত সারাটা জীবন আমাকে সাপোর্ট করেছেন দারুণভাবে। আমি বিয়ের পরে আমার মেয়েদের নিয়ে সাংঘাতিক ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমায়ের শর্ত ছিল–বিয়ের পর অভিনয় করতে পারব না। আমি করছিলামও না। তারপর দক্ষিণ ভারত থেকে কাজের সুযোগ আসে তিনদিনের জন্য। আমার হাবিই আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। মা এক বছর কথা বলেননি।”

‘হাবি’র কোলে মাথা রেখে মুনমুন

সেই সময় পর্দার অভিনেত্রীরা সিরিয়ালে অভিনয় করতেন না। মুনমুন ছিলেন প্রথম অভিনেত্রী, যিনি স্টিরিওটিপিক্যাল বিষয়গুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি প্রথম অভিনেত্রী, যিনি বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দায় পদাপর্ণ করেছিলেন। সেটা তিনি করতে পেরেছিলেন হাবির সমর্থনে। মুনমুন বলেছিলেন, “হাবি আমাকে বলেছিলেন, তুমি করো। আমেরিকায় টিভি সিরিয়াল খুবই জনপ্রিয়। কেন করবে না এই ব্যতিক্রমী কাজ।”

মুনমুনকে উৎসাহ গিয়ে ভরত বলতেন, “মাসের ১৫দিন কাজ করো, ১৫ দিন মেয়েদের সঙ্গে থাকো।” মুনমুন যখন কাজের জন্য এদিক-সেদিক যেতেন, ভরতই তাঁদের দুই কন্যা রিয়া-রাইমার দেখভাল করতেন। মুনমুন স্বীকার করেছিলেন, “আমি আমার মেয়েদের প্যাম্পার করি না। কিন্তু হাবি করে। অনেকটা সময় মেয়েরা ওর বাবার সঙ্গেই থেকেছে আমি যখন বাইরে কাজে যেতাম। আজও মুম্বই থেকে ওদের বাবার কাছে প্রথম ফোনটা যায়। ইলেকট্রিকেক সমস্যা হলেও রিয়া-রাইমা বাবাকেই ফোন করে। হাবি ওদের আস্বস্ত করেন। বিষয়টা দেখে নেন তিনিই।”