নারী লগ্নে জন্ম, সব মেয়ের বালিশের নিচে আমার ছবি থাকত, কেন সেদিন এমন বলেছিলেন আজ প্রয়াত জয়?
নয়ের দশকের সেই সুদর্শন হিরোর ছবি থাকত সব মেয়েদের বালিশের নিচে! নাহ কোনও গুঞ্জন নয়, বরং একথা জানিয়ে ছিলেন অভিনেতা জয় নিজেই। সিটি সিনেমাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়ে ছিলেন নয়ের দশকে তাঁকে নিয়ে কীরকম ক্রেজ ছিল জনমানসে।

তিনি ছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় রোমান্টিক হিরো। ঝকঝকে চেহারায় একেবারে সুপুরুষ। সিনেপর্দার মিলনতিথির নায়কের প্রেমে পড়তেন নয়ের দশকে আঠারো, আঠাশের মেয়েরা। তাঁর এক ঝলক পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে থাকত মহিলা মহল। হ্যাঁ, তিনি আর কেউ নন, অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়ের দশকের সেই সুদর্শন হিরোর ছবি থাকত সব মেয়েদের বালিশের নিচে! নাহ কোনও গুঞ্জন নয়, বরং একথা জানিয়ে ছিলেন অভিনেতা জয় নিজেই। সিটি সিনেমাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়ে ছিলেন নয়ের দশকে তাঁকে নিয়ে কীরকম ক্রেজ ছিল জনমানসে।
জয়ের কথায়, প্রায় রোজই দেশ-বিদেশ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসত। বাবা তো কত জলদি আমার বিয়ে দেপাওবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। মিলন-তিথি ছবির পর থেকে তো আমার মতো প্রেমিক বা জীবনসঙ্গী পেতে চাইত। রোমান্টিক নায়ক বলতে তখনই আমিই ছিলাম। প্রচুর মেয়েদের, মহিলাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি। মজা করে আমি বন্ধু-বান্ধবদের বলতাম, নারী লগ্নে জন্ম আমার।
জয় জানান, কানাডার বাসিন্দা এক অনুরাগী আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাঁর বাড়ির চার দেওয়ালে আমারই ছবি ঝুলত। এমনকী, আমি প্রস্তাব ফেরাতে তাঁর বাবাও আমার কাছে এসেছিলেন। সে এক যুগ ছিল।
১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম থেকেই বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান ছিল তাঁর। অভিনেতা হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু ‘অপরূপা’ ছবি থেকে। তাঁর বিপরীতে নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। প্রথম ছবি থেকেই ইন্ডাস্ট্রির নজরে পড়েছিলেন সুপুরুষ জয়। তবে পরিচালক নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’ ছবিতে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা পান জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নয়ের দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর হীরক জয়ন্তী ছবি বক্স অফিসে তাঁকে সাফল্য এনে দেয়। প্রশংসিত হয় জয় ও চুমকি চৌধুরীর জুটিও। এমনকী, টলিপাড়ায় রটে যায় চুমকি ও জয়ের প্রেমগুঞ্জনও।
