AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অনির্বাণের পাশে কুণাল, হুলিগানদের ‘হুলিয়ে’ প্রশংসা

সেই গান শুনে 'ঢোঁক' গিলে ছিলেন অনেকেই। বলেছিলেন মজা পেয়েছেন, কেউ আবার বলেছিলেন আর্টিস্টরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিক। আর এবার ওসব ভুলে,  ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর নতুন পুজোর গানকে  হুলিয়ে প্রশংসায় করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ!

অনির্বাণের পাশে কুণাল, হুলিগানদের 'হুলিয়ে' প্রশংসা
| Updated on: Sep 22, 2025 | 7:59 PM
Share

প্রথম গানে সোজাসুজি রাজনীতি, আর দ্বিতীয়তে সোশাল মিডিয়া!  কিন্তু দ্বিতীয় গানেও অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর ‘হুলি গান ইজ়ম’ টিম বুঝিয়ে দিল, তাঁদের পুজোর গানে দুগ্গা থাকলেও , তাঁরা বাংলার রাজনীতি থেকে সরছেন না! প্রথম গানে সরাসরি রাজনীতির ময়দানের তিন ঘোষকে টানলেন, তীর্যক মন্তব্য করে রীতিমতো বোমা ফাটিয়ে ছিলেন অনির্বাণ। আর এবারটি গানের কথায় বিঁধলেন সোশাল মিডিয়ায় ‘টরে টক্কা’ চালানো নায়ক, নেতাদের। দ্বিতীয় গানেও বিতর্ক, বাংলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাকে জুড়েছিলেন অনির্বাণ। সেই গান শুনে কেউ বলেছিলেন মজা পেয়েছেন, কেউ আবার বলেছিলেন ‘আর্টিস্টরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড’ নিক। আর এবার ওভাবে ঘুরিয়ে নাক না ধরে, ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর নতুন পুজোর গানকে সরাসরি ‘হুলিয়ে’ প্রশংসা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ!

ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর ‘হুলি গান ইজ়ম’ টিমের প্রথম গানের কথায় রাজনীতির ময়দানের ‘তিন ঘোষ’ (কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ)কে টেনে আনায়, হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক পাড়ায়। অনেকেই মনে করেছিলেন তিন ঘোষকে শব্দের অ্যাটাক করে হয়তো মুশকিলে পড়বেন অনির্বাণ। হয়তো ‘তিন ঘোষ’, অনির্বাণকে পাল্টা দেবেন। কিন্তু ঘটেছিল উল্টোটাই। অনির্বাণের সেই গানকে ‘তীর্যক’ বলেও, কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বলেছিলেন, আমার মজা লেগেছে, ভাল লেগেছে। গানের ধরন, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভাল থেকো অনির্বাণ।”

কুণাল ঘোষের মতোই পুরো বিষয়টিকে স্পোর্টিংলি নিয়েছিলেন বামনেতা শতরূপ ঘোষ। অনির্বাণের সেই গান শুনে বলেছিলেন, ”নতুন একটা গানের ব্যান্ড যেভাবে সোশ্যিও পলিটিক্যাল স্যাটায়ার করল সেটা আমার খুব ভাল লেগেছে। আমরা সবসময় চাই আর্টিস্টরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিক। রাজনৈতিক মতামত থাক। আমার নাম নিয়েছে আমি তো কৃতজ্ঞ।” যদিও ‘হুলি গান ইজ়ম’এর সেই গান নিয়ে মুখে টু শব্দটি করেননি দিলীপ ঘোষ।

প্রথম গানের মতো ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর দ্বিতীয় গানও এই মূহূর্তে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই নতুন গানে সোজাসুজি কারও নাম না নিলেও, সোশাল মিডিয়ার ট্রোলবাজ, সোশাল মিডিয়ার বিপ্লবকে জবরদস্ত খোঁচা মারলেন অনির্বাণ। আর এই খোঁচাকেই মন খুলে সাধুবাদ জানালেন কুণাল ঘোষ।

 

 

 

কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্ট-

Kunal (1)

অনির্বাণ ও ‘হুলি গান ইজ়ম’এর নতুন এই গান  শুনে আপ্লুত তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ফেসবুকেও অনির্বাণদের ঢালাও প্রশংসা করলেন তিনি। ‘হুলি গান ইজ়ম’-এর পূজার গান থেকেই লাইন তুলে, ‘হুলিয়ে’ প্রশংসা করলেন কুণাল। তিনি লিখলেন, “গান বাজনা ছাড় চল ফেসবুকটাই করি ওটা দিয়েই সমাজ ভাঙি ওটা দিয়েই গড়ি পার পাবে না কেউ হোক যতই বুকের পাটা ভাই আমরা হব বিপ্লবী আর সবাই চটিচাটা! অনির্বাণদের হুলি গান ইজম -এর নতুন গানের অংশ। যাদের জীবন শুধুই ফেসবুকময়, ফেসবুকেতেই হিরো, ফেসবুকেতেই জিরো, বাতেলা ছাড়া আর কী কী কাজে থাকে কেউ জানে না; চাকরিবাকরি, লেখা, শ্রম, সামাজিক কর্মসূচি, নিদেনপক্ষে পাড়ার ক্লাব, কোথাও দায়িত্বপালনের খবর নেই; তাদের জন্য লাইনগুলো ভারি সুন্দর।”

তবে শুধু পোস্ট করেই ক্ষান্ত দেননি কুণাল। বরং ভিডিয়ো আপলোড করে ঢালাও প্রশংসাও করেছেন। সঙ্গে কুণাল বুঝিয়ে দিলেন, অনির্বাণ ও টিম কাদের জন্য এই গান লিখেছেন।

কী বললেন কুণাল?

আমরা সবাই ফেসবুক করি। আমরা লিখি, অফিসের ফেসবুক, অফিসের পেজ, খবর লিখি তার জন্য ফেসবুক, পুজো সংখ্য়াতে লেখা, তার জন্য ফেসবুক, কোনও অনুষ্ঠানে গেলাম তার তা নিয়ে পোস্ট ফেসবুকে। যেকোনও অ্যাক্টিভিটি শেয়ারের জন্য ফেসবুক। তবে কুণালের মতে, অনেকেই ফেসবুক করেন আমাদের এই অ্যাক্টিভিটিতে চোখে আঙুল দাদা সেজে! কুণালের কথায়, ফেসবুকে কিছু লোকেরা কোনও সৃষ্টিশীলতার মধ্যে থাকেন না। শুধুই ফেসবুক জুড়ে বাতেলা। আমরা কী করছি, তা নিয়ে বাতেলা। শুধুই কমেন্টে ঢুকে নানা মন্তব্য। বিশেষ করে, আমাদের মুখ বেচে করে খাচ্ছেন। কুণাল মনে করেন, অনির্বাণ এই চোখে আঙুল দাদাদেরই বিঁধেছেন।

কুণাল ঘোষের ভিডিয়ো–

তবে প্রশংসা করলেও, কুণাল গানের লাইনে চটি চাটা শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ভিডিয়োতে তিনি বললেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন তৃণমূল নেত্রী, যিনি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠেছেন। আজও হাওয়াই চটি পরেন। যাঁরা তাঁর অনুগামী তাঁদেরকে চটি চাটা বলে অপমান করতে নেই। কেননা, আপনার অফিসে,আপনার ব্যবসায়, আপনার কাজের জায়গায় কী করেন বসের সঙ্গে?”