‘ক্ষমতায় আসবেন কমলা-ই’, মল্লিকার ১১ বছর আগের টুইট ঘিরে উত্তাল নেটপাড়া

তিনিই তবে 'নতুন' জোফ্রা আর্চার? দেখতে পারেন ভবিষ্যৎ?

'ক্ষমতায় আসবেন কমলা-ই', মল্লিকার ১১ বছর আগের টুইট ঘিরে উত্তাল নেটপাড়া
ফেসবুকে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে এই ছবি পোস্ট করেন মল্লিকা।
Follow Us:
| Updated on: Nov 09, 2020 | 7:06 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘আশ্চর্য ক্ষমতা’র অধিকারী মল্লিকা শেরাওয়াত? (Mallika Sherawat) তিনিই তবে ‘নতুন’ জোফ্রা আর্চার (Jofra Archer)? দেখতে পারেন ভবিষ্যৎ? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল নেটপাড়া। ইংল্যান্ডের ডান হাতি ব্যাটসম্যান জোফ্রা মাঝেমধ্যেই মিলিয়ে দেন ভবিষ্যৎ। এই যেমন জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার ছয় বছর আগেই তিনি টুইট করেছিলেন ‘জো’। (Kamala Harris)


মল্লিকা আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে। ১১ বছর আগেই এক টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস-ই’। কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) প্রেসিডেন্ট হননি ঠিকই। তবে ক্ষমতায় এসেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিসই এখন সে দেশের হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট । মল্লিকার এ হেন আশ্চর্য ‘ক্ষমতায়’ আপাতত বাকরুদ্ধ নেটিজেনরা।

সাল ২০০৯। কমলা হ্যারিস তখন সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। এক পার্টিতে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম আলাপ মল্লিকার। সে সময় ‘পলিটিক্স অব লাভ’ বলে একটি হলিউড ছবির শুটিং করছিলেন মল্লিকা। তাঁর চরিত্রটি ছিল একজন ডেমোক্রেটিক ক্যাম্পেন কর্মীর। আর সে কারণেই কমলার সঙ্গে তাঁর মুলাকাত। কমলার ব্যক্তিত্বতে মুগ্ধ হয়ে ওই সময়েই মল্লিকা টুইট করেছিলেন, “এক ফ্যান্সি ইভেন্টে এক মহিলার সঙ্গে মজায় মেতেছি। সেই মহিলা যিনি ভবিষ্যতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তিনি কমলা হ্যারিস।”

এখানেই শেষ নয়, ফেসবুকেও কমলা হ্যারিসের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন মল্লিকা। লিখেছিলেন, “কমলা হ্যারিসের সঙ্গে, সানফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল। ‘পলিটিক্স অব লাভ’ ছবিতে আমার চরিত্রটি ওঁর থেকেই অনুপ্রাণিত।”

মল্লিকা সত্যিই ভবিষ্যৎ দেখতে পান বা পেয়েছিলেন কি না, তা তর্কের বিষয়। তবে প্রথম দেখাতেই কমলা হ্যারিস যে অভিনেত্রীর উপর বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তা টুইট এবং ফেসবুক পোস্টেই স্পষ্ট। কমলা হ্যারিসের জয়ের পর মল্লিকার ওই পোস্ট আপাতত ভাইরাল। নেটিজেনরা তাঁর নাম দিয়েছেন, ‘লেডি আর্চার’। আর কমলা? ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ডেমোক্র্যাট নেত্রী বলেছিলেন, ” “হতে পারে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আমিই প্রথম মহিলা। কিন্তু আমিই শেষ নই।” তিনি বিশ্বাস করেন, এক শতক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহিলাদের ভোটাধিকার স্বীকৃতির মাধ্যমে যে নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল, তা এত তাড়াতাড়ি কিছুতেই শেষ হবে না।