AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অগ্নিগর্ভ নেপাল, Gen Z-এর প্রতিবাদ দেখে কী বললেন মণীষা কৈরালা?

বিক্ষোভের মুখ সরকারকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাধ্য করেছে তারা। ইস্তফা দিয়েছেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে ওই দেশের কমিউনিকেশন মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

অগ্নিগর্ভ নেপাল,  Gen Z-এর প্রতিবাদ দেখে কী বললেন মণীষা কৈরালা?
| Updated on: Sep 09, 2025 | 1:07 PM
Share

ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-সহ ২৬টি সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। সোমবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই পথে নামেন ছাত্র-যুবরা। কিন্তু ক্ষণিকের মধ্যেই সেই আন্দোলন-মিছিল পরিণত হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। মৃত্যু হয় ২১ জন আন্দোলনকারীর। তারপরেও হার মানেনি যুব প্রতিবাদীরা। বিক্ষোভের মুখ সরকারকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাধ্য করেছে তারা। ইস্তফা দিয়েছেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে ওই দেশের কমিউনিকেশন মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

নিজের দেশের এমন ভয়ঙ্কর চিত্র দেখে রীতিমতো আতঙ্কে বলিউড অভিনেত্রী মণীশা কৈরালা। সোশাল মিডিয়া গোটা ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি লিখলেন, ”এই ঘটনা নেপালের ইতিহাসের এক কালো দিন। বন্দুকের জোরে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ন্য়ায় প্রয়োজন। দুনীর্তির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার এই পরিণাম মেনে নেওয়া যায় না।”

কাঠমান্ডু সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়ে নেপালের প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবন দখল নিয়ে উন্মত্ত জনতা। জ্বলছে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভবন। একই পরিণতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডর বাড়িরও। সেখানেও হামলা চালায় তরুণ আন্দোলনকারীরা। দখল নেয় সেই বাড়ির। তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হয়ে উঠেছে ভয়াল। দখল নেওয়া হয়েছে শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত পার্টি অফিসের।

মঙ্গলবার সকালে যখন ধাপে ধাপে পারদ চড়েছে নেপালে। সেই আবহেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সব মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রী থাকলে তো, প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডাকতেই পর পর জমা পড়েছে ইস্তফাপত্র। সোমবারই বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রমেশ লেখক। আর দিন পেরতেই উপপ্রধানমন্ত্রী-সহ ইস্তফা দিলেন মোট ১০ জন।