Nawazuddin Siddiqui: অসুস্থ মা’কে দেখা হল না নওয়াজের, নিজের বাড়িতেই মুখের উপর দরজা বন্ধ ভাইয়ের

Nawazuddin Siddiqui: সময়টা ভাল যাচ্ছে না অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর। একদিকে স্ত্রী আলিয়া এনেছেন নির্যাতনের অভিযোগ। অন্যদিকে ভাইদের সঙ্গেও সম্পর্ক তলানিতে এসে পৌঁছেছে তাঁর।

Nawazuddin Siddiqui: অসুস্থ মা’কে দেখা হল না নওয়াজের, নিজের বাড়িতেই মুখের উপর দরজা বন্ধ ভাইয়ের
দেখা হল না অসুস্থ মায়ের সঙ্গে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2023 | 3:25 PM

সময়টা ভাল যাচ্ছে না অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর। একদিকে স্ত্রী আলিয়া এনেছেন নির্যাতনের অভিযোগ। অন্যদিকে ভাইদের সঙ্গেও সম্পর্ক তলানিতে এসে পৌঁছেছে তাঁর। এবার মা’কে দেখতে এসে অনভিপ্রেত ঘটনার মুখে পড়তে হল নওয়াজকে। মুম্বইয়ের ভারসোভা অঞ্চলে নিজের বাংলোতেই অসুস্থ মা’কে দেখতে এসেছিলেন নওয়াজ। তবে জানা যাচ্ছে, বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তিনি। ভাই ফয়জুদ্দিন ঢুকতে দেননি তাঁকে। মা’র অসুস্থতার কথা শুনেই দেহরাদুন থেকে মুম্বই তড়িঘড়ি উড়ে আসেন নওয়াজ। কিন্তু তিনি বাড়িতে ঢুকতে গেলে জানানো হয়, মা কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না। ফলে মা’কে না দেখেই আবার ফিরে যান নওয়াজ। এ তো গেল এক ভাইয়ের কথা জানা যাচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নাকি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নওয়াজ। আর সেই কারণেই সম্প্রতি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ভাইয়ের নামে লিখে দিয়েছেন তিনি। উত্তর প্রদেশের বুধানা গ্রামে দেশের বাড়ি নওয়াজের। আইনজীবী প্রশান্ত শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অপর ভাই আলমাসুদ্দিনকে নাকি নিজের সম্পত্তির পাওয়ার অব এটর্নি দিয়েছেন নওয়াজ। যদিও অপর এক উইলে নওয়াজ লিখেছেন, তিনি জীবিত থাকাকালীন ওই সম্পত্তিতে তাঁর অধিকার থাকবে। তাঁর মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তি তাঁর তিন ভাই আলমাসুদ্দিন, মাজুদ্দিন ও মিনহাজুদ্দিনের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে।

নওয়াজরা ৮ ভাই বোন। এদের মধ্যে বেশ কিছু জনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। কিছু দিন আগেই তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এক ভাই শামাস। পেশায় পরিচালক শামাস বলেন, “আমি অনেক টিভি শো করেছি। নওয়াজ একদিন আমায় হঠাৎই বল ওর সঙ্গে কাজ করতে। আমি রাজি হইনি প্রথমে। কিন্তু ২০১৯ সালে আমি যখন আমার ছবি ‘বোলে চুড়িয়া’ পরিচালনা করতে যাব তখন প্রযোজক বলে আমার ছবিতে ওকে নিতে। আমি কিন্তু নিতে চাইনি। কিন্তু প্রযোজক বলায় আর না করতে পারিনি।”

তবে ওই ছবি আর করা হয়নি শামাস, এ কারণে তিনি অবশ্য দায়ী করেছেন তাঁর দাদাকে। শামাস বলেন, “যখন এডিটিয়ের সময় আসে তখন নওয়াজ হঠাৎই প্রযোজকদের বলে ও টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আর কাজ করবে না। আমি অবাক হয়ে যাই, বারবার মনে হতে থাকে, কেন আমার সঙ্গে এরকম হল? কেন আমার নিজের রক্তের সম্পর্কই আমার পাশে নেই। ছবি বন্ধ হয়ে যায়। আমি ওই ছবির জন্য অনেক কিছু করেছিলাম। ওর জন্যই আমার ছবি আর হল না।” এরপরেই নওয়াজের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কমতে শুরু করে বলে দাবি শামাসের। আপাতত স্ত্রী আলিয়া ও ভাইদের বেশ কয়েকজন নওয়াজের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন বহু। জল কোন দিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।