‘প্লিজ ম্যারি মি…’, মাঝরাতে নায়িকার বাড়ির সামনে সলমন খানের চিল চিৎকার, তারপর…
ঐশ্বর্য রাইয়ের সমুদ্র নীল চোখেই যেন ট্রু লাভ খুঁজে পেয়েছিলেন বলিউডের দাবাং খান। আর তাই তো এখনও ঐশ্বর্যর কথা উঠলে আবেগে চক চক করে ওঠে সলমনের চোখ। অবশ্য মাঝে ক্যাটরিনাকেও মন দিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সম্পর্ক বেশদিন টেকেনি।

সলমনের খানের প্রেমিকার তালিকা বেশ লম্বা। কখনও সঙ্গীতা বিজলানি, তো কখনও সোমি আলি। কখনও আবার শিবার প্রেমে মত্ত হয়েছিলেন সল্লু মিয়াঁ। তবে ঐশ্বর্য রাইয়ের সমুদ্র নীল চোখেই যেন ট্রু লাভ খুঁজে পেয়েছিলেন বলিউডের দাবাং খান। আর তাই তো এখনও ঐশ্বর্যর কথা উঠলে আবেগে চক চক করে ওঠে সলমনের চোখ। অবশ্য মাঝে ক্যাটরিনাকেও মন দিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সম্পর্কও বেশদিন টেকেনি। তবে জানেন কি এসব নায়িকা ছাড়াও, বলিউডের আরও এক নায়িকার প্রেমে পড়েছিলেন সলমন? আর শুধুই কী প্রেম, মাঝরাতে তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার করে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ভাইজান।
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ১৯৯৬ সাল। সঞ্জয়লীলা বনশালি এন্ট্রি নিলে বলিউডে। প্রথম ছবি ‘খামোশি’। এই ছবিতেই জুটি বেঁধে ছিলেন সলমন ও মণীশা কৈরালা। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবরে পড়লেও, প্রশংসিত হয়েছিল এই জুটি। জনপ্রিয় এক বিনোদনমূলক ম্য়াগাজিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ছবির শুটিংয়ের সময়ই নাকি মণীশাকে মন দিয়েছিলেন সলমন। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে মণীশা জানান, তখন খামোশি সিনেমার শুটিং চলছে। একদিন বেশ রাত করেই শুটিংয়ে ফিরেছি বাড়িতে। সবে ঘুমতে যাব, হঠাৎ দেখি বাড়ির সামনে চিল চিৎকার। বারান্দায় গিয়ে দেখি সলমন দাঁড়িয়ে। চিৎকার করে বলছে, মণীশা প্লিজ ম্যারি মি…! আমি তো হতবাক। কোনওমতে সলমনকে থামিয়ে বাড়ি পাঠাই।
মণীশা আরও জানান, পরের দিন শুটিং ফ্লোরে গিয়ে দেখি সলমন জোরে জোরে হাসছে। আমাকে ডেকে বলল, কী কালকে কেমন চমকে দিলাম! সলমন নিজের স্বীকার করলেন তিনি একেবারেই মস্করা করেছেন। তবে সলমন ঘনিষ্ঠরা সেই সময় বলেছিলেন, মণীশাকে নাকি সত্যিই খুব পছন্দ ছিল তাঁর।

