ম্যানিকুইনের মধ্যে প্রাণ রয়েছে, এটা অনুভব করতে হয়েছিল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Actor Abhishek Banerjee: কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে বহুদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অভিষেক। নিজস্ব কোম্পানীও রয়েছে। পাশাপাশি অভিনেতা হিসেবেও অনেকগুলো মাইলস্টোন পেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু মুখ্য চরিত্রের অফার সব সময়ই আলাদা।

ম্যানিকুইনের মধ্যে প্রাণ রয়েছে, এটা অনুভব করতে হয়েছিল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবির দৃশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Updated on: Aug 27, 2021 | 3:08 PM

‘পাতাললোক’, ‘হাতোড়া ত্যাগী’। আপনার ডিশে এই সুস্বাদু রেসিপি সার্ভ করেছিলেন অভিনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যতবার ঘুরেফিরে এই সিরিজ আপনি দেখবেন, অভিষেকের পারফরম্যান্স আলাদা করে নজরে পড়বে। সিভিতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র রয়েছে অভিনেতার। কিন্তু মুখ্য চরিত্র? না! এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে তাঁকে পর্দায় দেখেননি দর্শক। তবে এ বার এল সেই সুযোগ। সৌজন্যে ‘আনকাহি কাহানিয়া’। ওয়েব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘নেটফ্লিক্স’-এর এই ছবির ট্রেলার রিলিজ হয়েছে সদ্য। তিন জন পরিচালকের তিনটি গল্প। সেখানে অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি পরিচালিত গল্পে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভিষেক। প্রথমবার প্রোটাগনিস্ট হিসেবে সুযোগ। এই চরিত্র নাকি মানুষ অভিষেককেও অনেকটা বদলে দিয়েছে!

এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে অভিষেক বললেন, “প্যানডেমিকের সময় হয়েছিল কাজটা। আমি তখনও পাতাললোকের সাফল্যে মেতে ছিলাম। কিছুটা দুশ্চিন্তা ছিল। কারণ একবার সাফল্য পেয়ে গেলে তারপর কী ধরনের কাজ করতে হবে, কী ধরনের চরিত্র আসবে, কেমন ভাবে তৈরি হবে, কিছুই জানা থাকে না। অনেকগুলো প্রশ্ন ছিল মাথায়। একদিন হঠাৎই অশ্বিনী ম্যামের একটা ফোন পেলাম। আমাকে চিত্রনাট্য শোনালেন। আমি তখনও ভাবছিলাম, আমাকে কোন চরিত্রটা অফার করবেন। তারপর আমাকে প্রদীপ, মুখ্য চরিত্র অফার করলেন। কোনও ছবিতে প্রোটাগনিস্টের চরিত্রের অফার এই প্রথমবার পেলাম। সুতরাং এটা অত্যন্ত স্পেশ্যাল আমার কাছে।”

কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে বহুদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন অভিষেক। নিজস্ব কোম্পানীও রয়েছে। পাশাপাশি অভিনেতা হিসেবেও অনেকগুলো মাইলস্টোন পেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু মুখ্য চরিত্রের অফার সব সময়ই আলাদা। অভিষেকের কথায়, “একজন অভিনেতা অপেক্ষা করে থাকে এই দিনটার জন্যই। তাকে প্রধান চরিত্রে কেউ ভাববেন, এটা সব অভিনেতাই আশা করেন। সেই দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল জার্নি। অশ্বিনী ম্যাম যে ভাবে ভেবেছেন, যে ভাবে দেখেছেন গল্পটা, সে ভাবে আমিও দেখতে শুরু করলাম। ট্রেলার দেখলেই বুঝতে পারবেন একজন দোকানের দারোয়ান এবং একটি ম্যানিকুইনের ভালবাসার গল্প। ম্যানিকুইনের জীবনটা অনুভব করা আমার কাছে সবথেকে কঠিন ছিল।”

একেবারে ভিন্ন ধারার গল্প। প্রস্তুতি কী ভাবে নিয়েছিলেন? অভিষেক শেয়ার করলেন, “ম্যানিকুইনের মধ্যে প্রাণ রয়েছে, এটা অনুভব করতে হয়েছিল। অশ্বিনী ম্যাম একটা দারুণ টিপস দিয়েছিলেন। উনি বলেছিলেন, কখনও অবজেক্ট হিসেবে ম্যানিকুইনকে স্পর্শ করো না। বরং একজন মহিলা হিসেবে সম্মান করো। আমি সেটাই অনুসরণ করেছিলাম। কখনও প্রাণহীন বস্তু হিসেবে ম্যানিকুইনকে স্পর্শ করিনি। বরং সব সময়ই এমন ভাবে স্পর্শ করেছি, জড়িয়ে ধরেছি ঠিক যে ভাবে যাকে ভালবাসি তাকে জড়িয়ে ধরি।”

যে কোনও প্রজেক্ট থেকে সবটুকু শেখার চেষ্টা করেন অভিষেক। আনকাহি কাহানিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ‘প্রদীপ’ নাকি ব্যক্তি অভিষেককেও বদলে দিয়েছে। অভিনেতা বললেন, “এই চরিত্রটা মানুষ হিসেবে আমাকেও বদলে দিয়েছে অনেকটা। সব মিলিয়ে অশ্বিনী তিওয়ারির সঙ্গে কাজ করা দারুণ অভিজ্ঞতা।”

আরও পড়ুন, ‘বলিউডের দাদা’, জীবনীতে এ ভাবেই মিঠুনকে ব্যখ্যা করেছেন রামকমল