Rani-Aishwarya: ঐশ্বর্য-রানি ছিলেন হরিহর আত্মা, এই একটা ঘটনাতেই বন্ধুত্ব চুরমার
Rani-Aishwarya: এরকম যাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরল কী করে? কয়েক বছর পর করণ জোহরের 'কফি উইথ করণ'-শোতে সেকথা জানিয়েছিলেন রানি। করিনা কাপুরের সঙ্গে ওই শোতে রানি এসেছিলেন। সেখানে ঐশ্বর্যের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের কারণ জানতে চান করণ। রানি প্রথমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বলেন, "তুমি তো এর কারণ জানো।"

মুম্বই: ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ। আর পিছন ফিরেই পরস্পরের নিন্দে করা। সিনে দুনিয়ায় এটা নাকি স্বাভাবিক। তেমনটা অবশ্য ছিল না বলিউডের দুই প্রথম সারির নায়িকার। রানি মুখোপাধ্যায় ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বন্ধুত্ব ছিল নজরকাড়া। রানি একসময় বলেছিলেন, “আমরা চিরদিন বন্ধু থাকব।” কেউ কেউ বলতেন, তাঁরা BFF অর্থাৎ বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার। সেইসময় বোধহয় হেসেছিল অদৃষ্ট। রানি-ঐশ্বর্যের বন্ধুত্বেও ফাটল ধরে। কিন্তু, তাঁদের বন্ধুত্বে কেন ফাটল ধরল? তাঁদের বন্ধুবিচ্ছেদে নাম জড়াল কিং খানের। রানি-ঐশ্বর্যের বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ায় শাহরুখ খানের ভূমিকা কী?
ঐশ্বর্যের সঙ্গে রানির বন্ধুত্ব নিয়ে বলিপাড়ায় তখন যথারীতি আলোচনা হয়। সেইসময় ‘জিনা ইসি কা নাম হ্যায়’ নামে একটি শো-তে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ওই শো-তে ঐশ্বর্যকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছিলেন রানি। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “তুমি জানো, আমি তোমায় ভালবাসি। তুমি জানো, আমি অসুস্থ। তাই এই শো-তে আসতে পারিনি। আমি তোমাকে ভালবাসি অ্যাশ। আমার মনে হয়, এটা বলার দরকার নেই। প্রত্যেকের জন্য টিভিতে এটা আমাকে বলতে হত। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, আমরা চিরদিন বন্ধু থাকব।”
এরকম যাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরল কী করে? কয়েক বছর পর করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’-শোতে সেকথা জানিয়েছিলেন রানি। করিনা কাপুরের সঙ্গে ওই শোতে রানি এসেছিলেন। সেখানে ঐশ্বর্যের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের কারণ জানতে চান করণ। রানি প্রথমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বলেন, “তুমি তো এর কারণ জানো।” তখন করণ বলেন, “আমি কিছু জানি না। চলতে চলতে আমাকে বলে যাও কী হয়েছিল।” করণের এই কথা শুনে রানি ও করিনা হেসে ওঠেন।
আসলে রানি-ঐশ্বর্যের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণ ‘চলতে চলতে’ সিনেমা। যে সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় ছিলেন শাহরুখ। আর নায়িকা ছিলেন ঐশ্বর্য। বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিংও হয়ে গিয়েছিল। সেইসময় সলমান খানের সঙ্গে প্রেম করছেন ঐশ্বর্য। তবে তাঁদের সম্পর্ক তখন ক্রমশ খারাপের দিকে। অনেকে বলেন, চলতে চলতে সিনেমার শুটিংয়ে চলে আসতেন সলমান। ঐশ্বর্যের সঙ্গে বাদানুবাদ চলত। এতে শুটিংয়ে সমস্যা হচ্ছিল। এরপরই প্রযোজকরা ওই সিনেমা থেকে ঐশ্বর্যকে বাদ দেন। তাঁর জায়গায় রানি মুখোপাধ্যায়কে নেন প্রযোজকরা। ঘটনাচক্রে এই সিনেমার অন্যতম প্রোডিউসার ছিলেন শাহরুখও।
রানি তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড। সেই বন্ধু তাঁর জায়গায় চলতে চলতে সিনেমায় অভিনয় করছেন, এটা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল ঐশ্বর্যের। দূরত্ব বাড়ে দুই অভিনেত্রীর। শাহরুখও পরে এক ইন্টারভিউয়ে ঐশ্বর্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, এই সিনেমায় তিনি একমাত্র প্রোডিউসার ছিলেন না। কারণ যাই হোক, এই একটা সিনেমা বলিউডের দুই বেস্ট ফ্রেন্ডের মধ্যে ‘দিওয়ার’ তুলে দিয়েছিল। আজ দুই নায়িকাই চুটিয়ে সংসার করছেন। ২২ বছর আগের সেই ‘দিওয়ার’ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।

