‘আবার যেন শাঁখ না…’,আসানসোল পুজো কার্নিভালে ঋতুপর্ণার নাচ দেখে শুরু বিতর্ক
Rituparna Sengupta: বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। আরজি কাণ্ডের পর থেকে একের পর এক বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিদেশে বসেই সরব হয়েছিলেন নায়িকা। শাঁখ বাজিয়ে বিপুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সব বিতর্ক ভুলে আসানসোল পুজো কার্নিভালে অন্য ভাবে দেখা গেল ঋতুপর্ণাকে।
বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। আরজি কাণ্ডের পর থেকে একের পর এক বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিদেশে বসেই সরব হয়েছিলেন নায়িকা। শাঁখ বাজিয়ে বিপুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর আরজি করের প্রতিবাদে শ্যামবাজারের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। সেই পরিস্থিতিতে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নায়িকা। সব বিতর্ক এখন অতীত। আসানসোলের পুজো কার্নিভালে দেখা গেল এক অন্য ঋতুপর্ণাকে। একাধিক গানে নৃত্য পরিবেশনা করতে দেখা যায় নায়িকাকে। ব্যস সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই আবারও কটাক্ষের মুখে ঋতুপর্ণা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা,জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি-সহ অন্যান্যরা। মোট ১৫ টি প্রতিমা অংশ নিয়েছিল এই কার্নিভালে। নানা জন নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, “হাততালি তো নিজেই স্টেজে বাজিয়ে দিয়েছেন। জানেন কেউ বাজাবে না।” আবার এক জন লেখেন, “বাবা আবার যেন শঙ্খ বাজাতে না যান।” যদিও কটাক্ষ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি নায়িকা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত পুজো কার্নিভাল নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এ দিন অনেকেই পুজো কার্নিভাল বাতিলের আহ্বান জানান। এ দিন রানি রাসমনি রোডে জুনিয়র চিকিত্সকরা ডাক দেন দ্রোহ কার্নিভালের। যা নিয়ে আরও বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি এ দিন রানি রাসমনি রোডে ১৬৩ ধারা জারি করে পুলিশ। যদি কোনও কিছুই ধোপে টেকেনি। দ্রোহ কার্নিভালের অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর।
পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দেন বিচারপতি। চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ যে আদেশ দিয়েছিল, তা বাতিল। শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দ্রোহ কার্নিভাল ও পুজো কার্নিভাল হয়, কোনও বিরোধ না হয়, তার জন্য আদালতের কাছে আমাদের প্রস্তাব ছিল আর আর অ্যাভিনিউ থেকে রেড রোড পর্যন্ত পুলিশ ব্যারিকেড করুক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে।” তিনি জানান, সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল এই আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন, সেটাও বিচারপতি খারিজ করে দেন।