RG Kar Case: তৃণমূলের তারকা প্রচারকের কণ্ঠেই এবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিবাদী গান

Sourav Das: আরজি কর কাণ্ডে শহর জুড়ে প্রতিবাদ। সেই সময়ে সৌরভ দাসের গলাতেও প্রতিবাদের সুর। টিভি নাইন বাংলাকে প্রথম জানালেন নিজের গান সম্পর্কে....

RG Kar Case: তৃণমূলের তারকা প্রচারকের কণ্ঠেই এবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিবাদী গান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2024 | 5:42 PM

ভাস্বতী ঘোষ

তৃণমূলের তারকা প্রচারক অভিনেতা সৌরভ দাস এবার তিলোত্তমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে গান বাঁধলেন। সৌরভ বরাবরই ভালো অভিনেতা, সঞ্চালক। এবার তাঁর গলায় প্রতিবাদের সুর। প্রতিবাদের যে গানটা নিয়ে অভিনেতা আসছেন, তাঁর লিরিক্সেও ঝাঁঝ। কেন এমন পদক্ষেপ? সৌরভ বলছেন, ‘মিউজিশিয়ান হিসাবে বরাবরই কাজ করতে চেয়েছি। প্রতিবাদের একটা গান তৈরি করার ইচ্ছা ছিল। এটাই মনে হলো ঠিক সময়’। কে তাঁর অনুপ্রেরণা? সৌরভ বললেন, ‘গতকাল যখন নাকতলা দিয়ে হাঁটছি, দেখলাম একজন মহিলা একা রাস্তায় দাঁড়িয়ে। হাতে মোমবাতি। তার পর দেখি চার-পাঁচজন মেয়ে মিছিল করে যাচ্ছে। দেখে চোখে জল চলে এল। এই শহরের মানুষই আমার অনুপ্রেরণা। যাঁরা এমন প্রতিবাদ করল’। সৌরভ যে গানটা বেঁধেছেন, তার লিরিক্স,

‘লক্ষ বছর ধরে চলে আসা গেম শুধু মুখোশ বদলে যায় প্যাটার্নটা সেম আগে ডাইনি লেবেল সেঁটে পুড়িয়ে দিত আর এখন ট্রেণ্ডে গ্যাং আপ স্লাট শেম’

কিন্তু সৌরভ এই রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। গত লোকসভা নির্বাচনে স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। তা হলে এবার কি প্রতিবাদ শাসকের বিরুদ্ধে? সৌরভের সাফ জবাব, ‘তিলোত্তমার প্রতি যে জঘন্য কাজ হয়েছে আমি তার শাস্তি চাই। রাজ্যে যে দুর্নীতি চলছে, তার থেকে মুক্তি চাই আর পাঁচজনের মতো। যাঁরা দোষী, তাঁরা যদি শাসক দলের অংশ হন, তা হলে তাঁদেরই শাস্তি চাই।’

সৌরভ আরও বলেন, ‘আজকে যদি আমি শাসক দলের বিধায়ক বা সাংসদ হতাম, এই কথাগুলো বলতে পারতাম না। এই জন্য কখনও সে পথে হাঁটার কথা ভাবিনি। আমার সহকর্মীদের অনেককে চুপ থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আমি যে দলেরই সমর্থক হই, প্রয়োজনে সমালোচনা করব।’ অতীতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ। তিনি খোলসা করলেন, ‘আমি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিই, তখন জানতাম না উনি এভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কেউ ভাবতে পারেন, এরকম সংসর্গে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু আজ স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমার এতে অনেক কিছু যায় আসে। আমি কোনওরকম অন্যায়কে সমর্থন করি না। তাই আমার রাজনৈতিক পছন্দ যাই হোক, কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে চাই না।’

কুণাল ঘোষ তিলোত্তমা কাণ্ডের আবহে জোড়াফুল শিবিরভুক্ত বা ঘনিষ্ঠ তারকাদের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে ছিলেন। ফেসবুকে লিখেছিলেন, “আফসোস লাগে। মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে। এবার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে। অথচ টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না।” কুণালের এই পোস্টের পর তারকা মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নাম না করে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী ফেসবুকে লেখেন, “শুনেছো তো বাবু বলে দিয়েছে। শুধু পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে গুরুত্ব বাড়িও না দরকারে চটিজুতা মাথায় তুলে পাহারা দাও বন্ধু। ছোট করে বললে- শুনেছো কি বলে গেল বোধহীন স্কন্ধ/তোমাদের গায়ে শুধু ধান্দার গন্ধ”। এই আবহে এবার তৃণমূলে যোগদান করা এবং সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারক সৌরভ দাসের এমন প্রতিবাদী গান তৃণমূলের অন্দরে কোনও প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কিনা সেটাই দেখার।