অমিতাভের সামনে বরফের উপর শায়িত স্মিতা পাটিলের মরদেহ! কী ঘটেছিল সেদিন?
হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু কোলে ঢলে পরেন স্মিতা। বড্ড অল্প বয়সে। সবে তখন তাঁর কোল জুড়ে এসেছিল রাজ বব্বর ও তাঁর ভালবাসার প্রতীক। কিন্তু সুখ আর দেখা হল না তাঁর। বরং রাজ বব্বরের জীবনের দ্বিতীয় নারী হয়েই থেকে গেলেন তিনি।

সালটা ১৯৮৬। দিনটা ১৩ ডিসেম্বর। বলিউডের কাছে এই দিনটা বেশ বড় একটা ক্ষতচিহ্ন। এদিনই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল। হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু কোলে ঢলে পরেন স্মিতা। বড্ড অল্প বয়সে। সবে তখন তাঁর কোল জুড়ে এসেছিল রাজ বব্বর ও তাঁর ভালবাসার প্রতীক। কিন্তু সুখ আর দেখা হল না তাঁর। বরং রাজ বব্বরের জীবনের দ্বিতীয় নারী হয়েই থেকে গেলেন তিনি।
স্মিতা পাটিলের জীবন বরাবরই টালমাটাল। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়েই ঝড়। বিবাহিত রাজ বব্বরের সঙ্গে তাঁর প্রেম, বিরহ ও প্রেম ঘিরে অসম্মান। বার বার ভেঙেছিল তাঁর সংসারের নানা স্বপ্ন। তবুও সিনেমার পর্দায় এলে তাঁর উজ্জ্বল মুখে কখনও ধরা পড়েনি সেই বেদনা।
জানা যায়, নিজের মৃত্যু যেন নিজেই টের পেয়েছিলেন স্মিতা। মৃত্যুর ঠিক এক বছর আগে কাছের মানুষদের স্মিতা বার বার বলতেন, আমি যখন মারা যাব, আমাকে তখন শাঁখা, পলা, সিঁদুর পরিয়ে, বেনারসি শাড়িতে ঢেকে বধূর সাজে বিদায় দিও। স্মিতা তাঁর মাকেও একথা বললেন, উলটে মায়ের কাছে শুনতে বকাঝকা।
অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে দারুণ একটা বন্ধুত্ব ছিল স্মিতা পাটিলের। সিনেমার পর্দায় বাইরেও, অমিতাভ ছিলেন অভিনেত্রীর ফ্রেন্ড, ফিলোজফার ও গাইড। শোনা যায়, নমকহালাল ছবির আজ রপট জায়ে গানের শুটিংয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন স্মিতা। তাঁকে বুঝিয়ে ছিলেন খোদ অমিতাভই।
১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুর দিন স্মিতাকে শেষ বিদায় জানাতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন অমিতাভ। স্মিতার ঘরে ঢুকতেই বিগ বির চোখে পড়ে বরফের উপর শোয়ানো ছিল স্মিতার নিথর দেহ। তখনও যেন স্মিতার ঠোঁটে লেগে ছিল হালকা হাসি। মরদেহর পাশে গিয়ে বসলেন অমিতাভ। চোখের জল মুছতে মুছতে সারলেন প্রণাম। তখন স্মিতার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাঁকে বধূর সাজে সাজানো হচ্ছিল। সেই সাজ দেখে ডুকরে উঠেছিলেন অমিতাভও। শোনা যায়, বিদেশে থাকা স্মিতার বোনের জন্য তিন দিন এভাবেই বরফের উপর শায়িত ছিল অভিনেত্রীর মরদেহ। রোজই স্মিতার পাশে এসে বসতেন রাজ বব্বর। থমথমে চোখে শুধু তাকিয়ে থাকতেন স্মিতার দিকে।
