Sohini Sarkar: ‘ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেসগুলো…’, ১১ দফা দাবি নিয়ে এবার পথে নামছে মানুষ…

Sohini Sarkar: মানুষের মনে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে প্রতিটা পদে পদে সকলকে সচেতন করে চলেছেন তাঁরা। পাশে থাকছেন প্রতিটা আন্দোলনের। এবার নাগরীক মঞ্চ থেকে ডাকা মিছিলে পা বাড়াতে চলেছেন সোহিনী সরকার। ১ সেপ্টেম্বর দুপুর তিনটে কলেজ স্কোয়ার থেকে বেরবে এই মিছিল।

Sohini Sarkar: 'ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেসগুলো...', ১১ দফা দাবি নিয়ে এবার পথে নামছে মানুষ...
Follow Us:
| Updated on: Aug 27, 2024 | 9:05 PM

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা বিশ্ব। পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল আজ সর্বস্তরের মানুষ। তালিকা থেকে বাদ না পড়া তারকারাও পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হচ্ছেন সরব। মানুষের মনে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে প্রতিটা পদে পদে সকলকে সচেতন করে চলেছেন তাঁরা। পাশে থাকছেন প্রতিটা আন্দোলনের। এবার নাগরীক মঞ্চ থেকে ডাকা মিছিলে পা বাড়াতে চলেছেন সোহিনী সরকার। ১ সেপ্টেম্বর দুপুর তিনটে কলেজ স্কোয়ার থেকে বেরবে এই মিছিল।

কী কী দাবি রাখা হবে সেই মিছিলের মাধ্যমে? 

প্রথমত, ‘সিবিআইকে আর জি করের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক-বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্বহীনতা এবং সেই সময়ে ঘটনাস্থলে তথ্য-প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ ও খুনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

এই খবরটিও পড়ুন

দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেটরাজ সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।

তৃতীয়ত, দিনে ও রাতে যেকোন সময়ে, গণপরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার চাই।

চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণ নয়, নজরদারি নয়, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা চাই।

পঞ্চম, স্কুলপাঠ্যে লিঙ্গ-সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয়গুলিকে আবশ্যক করতে হবে।

ষষ্ঠ, প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আই সি সি ও স্থানীয় এলাকায় এল সি সি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ রাখতে হবে।’

‘সপ্তম, রাজ্যে সর্বত্র সুলভ শৌচাগার ও সুরক্ষিত গণ পরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা।

অষ্টম, রাতে হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের জন্য সুরক্ষিত বিশ্রামাগার চাই।

নবম, ফাস্টট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে অমীমাংসিত ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেসগুলির অতি দ্রুত মীমাংসা করতে হবে।’

‘দশম, ভিকটিম ব্লেমিং কাকে বলে, স্পষ্ট করে জানাতে হবে ও সেটিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং সবশেষে সর্বোপরি, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিঃশর্তভাবে মানতে হবে।’