Ahona Dutta: ‘এখন এত খরচ করলে পরে কী হবে?’ কেন বললেন ‘মিশকা’ অহনা দত্ত
Ahona Dutta On Money Deposit Plans: বর্তমানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অল্প বয়সি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনযাত্রা কপালে ভাঁজ ফেলে দেওয়ার মতো। অনেকেই অল্প বয়সে বেশি টাকা রোজগার করে নয়ছয় করতে শুরু করেন। এবং তাঁদের অর্থ সংকট দেখা যায় অল্প বয়সেই। বর্তমান প্রজন্মের অভিনেত্রীরা পয়সা জমানোর বিষয়ে কতখানি সচেতন, তাঁরই আভাস TV9 বাংলাকে দিয়েছেন 'অনুরাগের ছোঁয়া' ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা, অর্থাৎ অহনা দত্ত।
বাঙালি অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। বাবার তৈরি করা বাড়িতে থাকেন। বিলাস-বৈভবে জীবন কাটান না। অভিনয়ের দিকটুকু মন দিয়ে করেন। এবং মনে করেন, সেটাই হওয়া উচিত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আদর্শ জীবন কাটানোর উপায়। একইভাবে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলেছিলেন যে, তিনিও অভিনয় করতে-করতে দু’হাতে পয়সা রোজগার করেছেন। কিন্তু দু’হাত বিলিয়ে খরচ করেননি। রয়েসয়ে কতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই ব্যয় করেছেন। কিন্তু বর্তমানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অল্প বয়সি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনযাত্রা কপালে ভাঁজ ফেলে দেওয়ার মতো। অনেকেই অল্প বয়সে বেশি টাকা রোজগার করে নয়ছয় করতে শুরু করেন। এবং তাঁদের অর্থ সংকট দেখা যায় অল্প বয়সেই। বর্তমান প্রজন্মের অভিনেত্রীরা পয়সা জমানোর বিষয়ে কতখানি সচেতন, তাঁরই আভাস TV9 বাংলাকে দিয়েছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা, অর্থাৎ অহনা দত্ত।
শুক্রবার ছিল ধন্তেরস। এদিন ধনলক্ষ্মী, ধনকুবেরকে পুজো করার দিন। অনেকেই সোনাদানা কেনেন। রুপোর জিনিসপত্র কেনেন। বাসন-কোসন, ঝাঁটা কেনেন। মনে করা হয়, এই দ্রব্যগুলি এই দিন কিনলে শুভ। তাতে পরিবারে ঐশ্বর্য লাভ হয়। এদিকে উপার্জনের পাশাপাশি সঞ্চয়ও বড্ড বড় জিনিস। অনেকে এইদিন টাকা জমাতে শুরু করেন। বর্তমান প্রজন্ম কি সেই সঞ্চয় থেকে মুখ ফিরিয়েছে? নিত্যদিন নতুন জামা-কাপড়। পাল্টাতে থাকা বহুমূল্য আইফোনের মডেল। বিলাসবহুল গাড়ি। সুসজ্জিত অ্যাপার্টমেন্ট। অল্প বয়সে অনেক টাকা হাতে চলে আসে তরুণ-তরুণী শিল্পীদের। প্রথম প্রজেক্টের বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকার সঙ্গে-সঙ্গে বুক হয়ে যায় নতুন গাড়ি, ফ্ল্যাট। এ সব থেকে অনেকখানি দূরে থাকেন অহনা? বললেন, “ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। আজকে আমি মিশকা হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছি। স্টার জলসার মতো চ্যানেলে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মতো টিআরপিতে টপ করতে থাকা ধারাবাহিকে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছি। কিন্তু কালকে আমার এই অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন তো জমানো টাকাই ভরসা।”
তা হলে কি শুরু থেকেই টাকা জমাতেন মিশকা? একেবারেই তা নয়। তাঁর টনক নড়েছে কিছুদিন আগে। মিশকা বলেছেন, ভাবতে পারবেন না, প্রত্যেকদিন স্টুডিয়ো পাড়ায় আমি এবং আমার প্রেমিক (পেশায় রূপসজ্জা শিল্পী) ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সাহায্য়ে এটা-সেটা খাবার অর্ডার করে খেতাম। এতে চেহারা তো খারাপ হতই, পকেটের রেস্তও কমে আসছিল। তার উপর জামাকাপড় কেনা। সে এক বিচিত্র ব্যাপার। একটা পোশাক কখনওই দু’বার পড়তে ভাল লাগত না। এগুলো তো বাজে খরচ ছাড়া কিছুই নয় বলুন। তাই আমি এবং আমার প্রেমিক ঠিক করেছি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে শুরু করব।”
এই ধন্তেরসে কি তবে কিছুই কেনেননি অহনা? বলেছেন, “চাইলেই আমি নিজের মতো করে দামী কিছু কিনতে পারতাম। আমার একটা ছোট্ট গাড়ি আছে। সেই গাড়ির জন্য ছোট্ট-ছোট্ট দুটো রুপোর লক্ষ্মী-গণেশ কিনেছি। সেটাই আমার ধন্তেরসের এবছরের ইনভেসমেন্ট। এছাড়া টাকা পয়সা ফিক্সও করছি। পণ নিয়েছি টাকা জমাব। না হলে সমস্যা হবে আমারই।”