‘এখনও অনেক কিছু দেখানো বাকি’, শুটিংয়ে ফিরে বললেন অনস্ক্রিন ‘রামকৃষ্ণ’

লকডাউনের কারণে পুরোপুরি শুটিং বন্ধ থাকার সময় বাড়িতেই ছিলেন সৌরভ। অনেকদিন পরে ফ্লোরে ফিরে স্বাভাবিক ভাবেই ভাল লাগছে তাঁর।

‘এখনও অনেক কিছু দেখানো বাকি’, শুটিংয়ে ফিরে বললেন অনস্ক্রিন ‘রামকৃষ্ণ’
‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’- দৃশ্যে সৌরভ সাহা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 18, 2021 | 1:32 PM

করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের কারণে বেশ কিছুদিন শুটিং জট চলল টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে। অবশেষে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর সব পক্ষ আলোচনা বসেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে পুরোদমে শুটিং শুরু হয়েছে টেলি পাড়ায়। যদিও ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকে গত ১৬ জুন থেকেই স্বাভাবিক শুটিং চলছে বলে জানালেন এই ধারাবাহিকের অনস্ক্রিন ‘রামকৃষ্ণ’ অর্থাৎ অভিনেতা সৌরভ সাহা।

লকডাউনের কারণে পুরোপুরি শুটিং বন্ধ থাকার সময় বাড়িতেই ছিলেন সৌরভ। অনেকদিন পরে ফ্লোরে ফিরে স্বাভাবিক ভাবেই ভাল লাগছে তাঁর। সৌরভ বললেন, “১৬ জুন থেকেই পুরোদমে স্টুডিওতে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা তো কোনও ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিইনি, অসুস্থতা ছিল না কারও। এমন পরিস্থিতি ছিল যে, সবাই জড়ো হওয়া বন্ধ রাখার জন্যই কাজটা বন্ধ ছিল। যে কাজটা করি সেটা কিছু মানুষের মনোরঞ্জন করে, ভালবাসা পাই। সেই জায়গায় আবার ফিরতে পেরে, কাজটা শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে। আবার মানুষের ভালবাসা একই রকম ভাবে পাব আশা করি। এখনও সচেতনতা রেখেই কাজ করতে হবে। তার জন্য যতটুকু সচেতন থাকা উচিত, তা থেকেই সকলে একসঙ্গে হইহই করে কাজ করছি।”

কয়েক দিন আগে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল। শুটিং শুরু হতেই সেটে কেক এনে সেলিব্রেট করেছেন সহকর্মীরা। সৌরভ জানালেন, কারও জন্মদিন থাকলে নিজেদের মতো করে আয়োজন করার চেষ্টা করেন তাঁরা। গৌরবও ব্যতিক্রম নন। অনেকদিন পর গতকাল একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, আড্ডায় মেতেছিলেন এই ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা।

ব্যক্তিগত জীবনে সৌরভ কোনও এক শক্তিতে বিশ্বাসী। তিনি বিশ্বাস করেন, কাজ করাটা তাঁর দায়িত্ব। তা ভাল হবে কি না, বা তার ব্যপ্তি কতটা হবে, সেটা নির্ধারণ করেন অন্য কেউ, অন্য কোনও শক্তি। অনস্ক্রিনে তাঁকে শ্রীরামকৃষ্ণের ভূমিকায় দেখছেন দর্শক। এই ধারাবাহিকে এখনও অনেক কিছু করার আছে বলে জানালেন তিনি।

সৌরভ শেয়ার করলেন, “ঠাকুরের জীবনের ব্যপ্তি বিরাট। ১৮৩৬-এ জন্মেছিলেন। সেখান থেকে তিনি আজও সমান ভাবে পূজিত, জনপ্রিয়। সমাজকে অন্য ভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী ছিল তাঁর। এই ধারাবাহিকে সেটা এখনও দেখানো বাকি রয়েছে। সকলের কাছে অনুরোধ, এখানে অনেক কিছু করার বাকি আছে। আপনারা দয়া করে দেখুন। জাত, ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করার ঊর্দ্ধে ছিলেন ঠাকুর। বরাবর প্রতিবাদ করেছেন। কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এই উপলব্ধি করেছিলেন, সেটা দেখানোর চেষ্টা করা হবে। যদি দর্শক ভালবেসে গ্রহণ করেন, পাশে থাকেন।”

আরও পড়ুন, ‘ইচ্ছেনদী’র ছ’বছর, সোশ্যাল পোস্টে নস্ট্যালজিক শোলাঙ্কি