স্নেহা সেনগুপ্ত
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) আরও একটি দুর্দান্ত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। মার্কিন মুলুকে মুক্তির সময় হুমকি ফোন পেয়েছিলেন বিবেক। ভারতে মুক্তির সময়ও তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে একাধিক ফোন করা হয়। কী আছে ছবিতে? কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের উপর দীর্ঘ অত্যাচারের ইতিহাসের কাহিনি। একেবারে বাস্তব জীবন থেকে উঠে এসেছে সেই সব ছবি। আমরা বলছি না। বলছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই। যেমন বললেন টলিপাড়ার কাশ্মীরি পণ্ডিত ভরত কল (Bharat Kaul)। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখেছেন ভরত। শেয়ার করেছেন ছবি নিয়ে তাঁর অভিমত, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের গাঁথা, যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভভাবে ভরত জানিয়েছেন, ছবিতে যা দেখানো হয়েছে সব সত্যি। তিনি মনে করেন এই ছবিকে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
কাশ্মীরি পণ্ডিত ভরত কলের জবানি:
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সত্যের দলিল
আমি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখেছি। সম্পূর্ণ রূপে সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ছবি নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলবে। কিন্তু ছবিতে যা-যা দেখানো হয়েছে সবটাই সত্যি ঘটনা। ফলে একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত হিসেবে আমার কিছু বলার থাকতেই পারে না। ছবিতে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। সকলে বলছেন পরিচালক সাহস দেখিয়েছেন। আমি বলব, এটা কিন্তু কোনও সাহসের কথা নয়। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী অনেক পড়াশোনা করেছেন। অনেক গবেষণার পর সৎভাবে ছবিটা তৈরি করেছেন। রিসার্চে চার বছর সময় লেগেছে তাঁর। ফ্যাক্ট, ডেটা সংগ্রহ করে সততার সঙ্গে সত্যিকারের একটা ছবি তৈরি করেছেন তিনি।
নিজের দেশে নিজেই উদ্বাস্তু
মানুষ জানতে পেরেছেন কী ধরনের বিভীষিকা ঘিরে ছিল কাশ্মীরের আকাশে-বাতাসে। বাংলাদেশ থেকে রিফিউজি হয়ে এলেন, পাকিস্তান থেকে রিফিউজি হয়ে এলেন এবং নিজের দেশের মধ্যেই রিফিউজি হলেন – এর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। আমার জন্ম কলকাতায় হয়েছে। বাবা কলকাতায় মাইগ্রেট করেছেন ৬৬-তে। তারপরেও কাশ্মীরের বুকেই আমাদের কারখানা ছিল। প্রত্যেক বছর আমাদের যাওয়া-আসা ছিল ভূস্বর্গে। আমি স্নাতক হয়েছি কাশ্মীরেই। হোস্টেল জীবনের অনেকটা সময় আমার কেটেছে জাম্মুতে। যে সময় এই টালামাটাল পরিস্থিতি ঘটছে, আমি কাশ্মীরেই ছিলাম। দেখলাম আমার মামার বাড়ির লোকেরা দেশ ছাড়তে শুরু করলেন। সকলে ক্যাম্পে ছিলেন। একের পর-এক ঘোষণা হচ্ছিল কাশ্মীরে। লাল চকে ধামাকা শোনা গিয়েছিল জানেন। মানুষ কিন্তু কিছু বুঝতে পারছিলেন না। কাশ্মীরে জঙ্গিবাদ শুরু হচ্ছিল। আমাদের কারখানাও তখন বন্ধ হয়ে গেল। কত ক্ষতি! কত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের জীবন তখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। ১৯৯২ সালে কলকাতায় চলে আসি।
ওরা ভয় দেখিয়েছিল শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোকে
ছবিতে জেনোসাইড দেখানো হয়েছে। গণহত্যা। ধরে ধরে কাশ্মীরের শান্তিপ্রিয় হিন্দু পণ্ডিতদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এই সত্যের সঙ্গে কোনও জল মেশাননি পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। জেনোসাইড কী? কারা আপনাকে আপনারই বাড়ি থেকে বের করতে পারে? কীভাবে পারে? এর জন্য ভয় দেখাতে হয়। সেই ভয়টাই দেখানো হয়েছিল আমাদের, আমাদের মানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কী পুনর্বাসন করা যাবে?
আমি একটা জিনিস স্পষ্টভাবে জানি, কোনও ভাল ছবিকে আটকে রাখা যায় না। সেই তো মানুষ হলে গিয়ে ছবিটা দেখছেন। অনুপমা চোপড়া (গত সপ্তাহেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসে অনুপমা চোপড়াকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী) তো কোনও সার্টিফিকেট হোল্ডার নন। তিনি বিধু বিনোদ চোপড়ার স্ত্রী। ওঁকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমার একটাই বক্তব্য – ভাল ছবিকে কোনও পরিস্থিতিতেই আটকে রাখা যায় না। আজকের দিনে হলে টিকিটই পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা বলতে চাই কঙ্গনা রানাওয়াতের সম্পর্কেও। তাঁরা নিজের নিজের অ্যাজেন্ডা নিয়ে চলেন। আমার অ্যাজেন্ডা একটাই – এই ধরনের ছবি পৃথিবীর আরও অনেক মানুষের কাছে পৌঁছনো উচিত। এমনিতেই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা সংখ্যালঘু। নিজেরই জন্মভূমিতে তাঁদের উপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে সেটা জানানো খুব দরকার বলে মনে করি। এরকম পরিস্থিতিতে আর কেউ যাতে না পড়েন সেটাই চাই। আজকের দিনে কেন্দ্রীয় সরকারে কংগ্রেস নেই। আজকের দিন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কী পুনর্বাসন করা যাবে? প্রত্যেক কাশ্মীরি পণ্ডিতের বাড়ির বাইরে কি দু’জন করে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া যাবে? সেটা নিয়েই প্রশ্ন…
যারা হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন তারা কেউ কাশ্মীরি ছিল না
এদিকে হিন্দু পণ্ডিতরা কিন্তু কোনওদিনও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ করেননি। করতে পারবেনও না। ৯৮ শতাংশ মুসলমান। বাকি ২-৩ শতাংশ কাশ্মীরি হিন্দু। যারা হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন তারা কেউ কাশ্মীরি ছিল না। তারা বাইরে থেকে এসেছিল। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে এসেছিল। কাশ্মীরিরা চিরদিন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। চারবেলা ভাত খেতেন, দুপুরে ঘুমোতেন, কলেজে যেতেন, পড়াতেন, সরকারী চাকরি করতেন। শিক্ষিত মানুষ। শিক্ষালাভই ওঁদের ধ্যানজ্ঞান। আপনি বেড়াতে যান, কোনও অসুবিধে হবে না। থাকতে শুরু করলেই বিপদে পড়ে যাবেন। টার্গেট হয়ে যাবেন। আসলে ভয় পাওয়ালে অনেক কিছু হয়। মানুষ তো ভয় পান। তখনকার দিনে যাঁরা কাশ্মীর শাসন করতেন ফারুক আবদুল্লাহ, সৈদিই বলুন – কাশ্মীরের এই করুণ পরিণতির জন্য সকলেই দায়ী। খালি একটা কথাই জানি, আমি আমার ভূস্বর্গকে হারিয়েছি। কোনওদিন ফেরত পাব না।
কোনওদিন বাড়ি যেতে পারব না
আমাদের মেয়ে আইরার এখন ৬ বছর বয়স। কাশ্মীরকে আমি ওর মার্তৃভূমি বলতে পারব না। ও তো কাশ্মীরে বড় হয়নি, জন্মায়ওনি। কিন্তু চিরকালই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘কল’ পদবী জুড়ে থাকতে ওঁর নামের পাশে। আমি ওঁকে কেবলই কাশ্মীরে বেড়াতে নিয়ে যেতে পারব। ওঁকে দেখাতে পারব কোথায়-কোথায় আমাদের বাড়ি ছিল। কোথায় ওর ঠাকুরদা বড় হয়েছেন। কোথায় আমাদের কারখানা ছিল। কাশ্মীরে আমাদের কিছু সম্পত্তি দখল হয়েছে, কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেছেন বাবা-কাকারা। আমার খুব কষ্ট হয়, আমি কোনওদিন আমার বাড়ি যেতে পারব না। আরিয়া কোনওদিনও ওর ঠাকুরদার বাড়িটা দেখতে পাবে না।
আরও পড়ুন: Neena Gupta: বক্ষ-বিভাজিকা দেখিয়ে ছবি পোস্ট নীনার, ট্রোলারদের একহাত নিলেন অভিনেত্রী
আরও পড়ুন: Jisshu Sengupta Birthday: ‘প্ল্যানচেট করে ডাকতে চাই ঋতুদাকে’, ঠোঁটে দুঃখের হাসি নিয়ে বলেছেন যিশু
স্নেহা সেনগুপ্ত
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) আরও একটি দুর্দান্ত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। মার্কিন মুলুকে মুক্তির সময় হুমকি ফোন পেয়েছিলেন বিবেক। ভারতে মুক্তির সময়ও তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে একাধিক ফোন করা হয়। কী আছে ছবিতে? কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের উপর দীর্ঘ অত্যাচারের ইতিহাসের কাহিনি। একেবারে বাস্তব জীবন থেকে উঠে এসেছে সেই সব ছবি। আমরা বলছি না। বলছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই। যেমন বললেন টলিপাড়ার কাশ্মীরি পণ্ডিত ভরত কল (Bharat Kaul)। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখেছেন ভরত। শেয়ার করেছেন ছবি নিয়ে তাঁর অভিমত, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের গাঁথা, যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার। TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভভাবে ভরত জানিয়েছেন, ছবিতে যা দেখানো হয়েছে সব সত্যি। তিনি মনে করেন এই ছবিকে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
কাশ্মীরি পণ্ডিত ভরত কলের জবানি:
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সত্যের দলিল
আমি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখেছি। সম্পূর্ণ রূপে সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ছবি নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলবে। কিন্তু ছবিতে যা-যা দেখানো হয়েছে সবটাই সত্যি ঘটনা। ফলে একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত হিসেবে আমার কিছু বলার থাকতেই পারে না। ছবিতে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। সকলে বলছেন পরিচালক সাহস দেখিয়েছেন। আমি বলব, এটা কিন্তু কোনও সাহসের কথা নয়। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী অনেক পড়াশোনা করেছেন। অনেক গবেষণার পর সৎভাবে ছবিটা তৈরি করেছেন। রিসার্চে চার বছর সময় লেগেছে তাঁর। ফ্যাক্ট, ডেটা সংগ্রহ করে সততার সঙ্গে সত্যিকারের একটা ছবি তৈরি করেছেন তিনি।
নিজের দেশে নিজেই উদ্বাস্তু
মানুষ জানতে পেরেছেন কী ধরনের বিভীষিকা ঘিরে ছিল কাশ্মীরের আকাশে-বাতাসে। বাংলাদেশ থেকে রিফিউজি হয়ে এলেন, পাকিস্তান থেকে রিফিউজি হয়ে এলেন এবং নিজের দেশের মধ্যেই রিফিউজি হলেন – এর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। আমার জন্ম কলকাতায় হয়েছে। বাবা কলকাতায় মাইগ্রেট করেছেন ৬৬-তে। তারপরেও কাশ্মীরের বুকেই আমাদের কারখানা ছিল। প্রত্যেক বছর আমাদের যাওয়া-আসা ছিল ভূস্বর্গে। আমি স্নাতক হয়েছি কাশ্মীরেই। হোস্টেল জীবনের অনেকটা সময় আমার কেটেছে জাম্মুতে। যে সময় এই টালামাটাল পরিস্থিতি ঘটছে, আমি কাশ্মীরেই ছিলাম। দেখলাম আমার মামার বাড়ির লোকেরা দেশ ছাড়তে শুরু করলেন। সকলে ক্যাম্পে ছিলেন। একের পর-এক ঘোষণা হচ্ছিল কাশ্মীরে। লাল চকে ধামাকা শোনা গিয়েছিল জানেন। মানুষ কিন্তু কিছু বুঝতে পারছিলেন না। কাশ্মীরে জঙ্গিবাদ শুরু হচ্ছিল। আমাদের কারখানাও তখন বন্ধ হয়ে গেল। কত ক্ষতি! কত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের জীবন তখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। ১৯৯২ সালে কলকাতায় চলে আসি।
ওরা ভয় দেখিয়েছিল শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোকে
ছবিতে জেনোসাইড দেখানো হয়েছে। গণহত্যা। ধরে ধরে কাশ্মীরের শান্তিপ্রিয় হিন্দু পণ্ডিতদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এই সত্যের সঙ্গে কোনও জল মেশাননি পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। জেনোসাইড কী? কারা আপনাকে আপনারই বাড়ি থেকে বের করতে পারে? কীভাবে পারে? এর জন্য ভয় দেখাতে হয়। সেই ভয়টাই দেখানো হয়েছিল আমাদের, আমাদের মানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কী পুনর্বাসন করা যাবে?
আমি একটা জিনিস স্পষ্টভাবে জানি, কোনও ভাল ছবিকে আটকে রাখা যায় না। সেই তো মানুষ হলে গিয়ে ছবিটা দেখছেন। অনুপমা চোপড়া (গত সপ্তাহেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসে অনুপমা চোপড়াকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী) তো কোনও সার্টিফিকেট হোল্ডার নন। তিনি বিধু বিনোদ চোপড়ার স্ত্রী। ওঁকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমার একটাই বক্তব্য – ভাল ছবিকে কোনও পরিস্থিতিতেই আটকে রাখা যায় না। আজকের দিনে হলে টিকিটই পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা বলতে চাই কঙ্গনা রানাওয়াতের সম্পর্কেও। তাঁরা নিজের নিজের অ্যাজেন্ডা নিয়ে চলেন। আমার অ্যাজেন্ডা একটাই – এই ধরনের ছবি পৃথিবীর আরও অনেক মানুষের কাছে পৌঁছনো উচিত। এমনিতেই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা সংখ্যালঘু। নিজেরই জন্মভূমিতে তাঁদের উপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে সেটা জানানো খুব দরকার বলে মনে করি। এরকম পরিস্থিতিতে আর কেউ যাতে না পড়েন সেটাই চাই। আজকের দিনে কেন্দ্রীয় সরকারে কংগ্রেস নেই। আজকের দিন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কী পুনর্বাসন করা যাবে? প্রত্যেক কাশ্মীরি পণ্ডিতের বাড়ির বাইরে কি দু’জন করে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া যাবে? সেটা নিয়েই প্রশ্ন…
যারা হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন তারা কেউ কাশ্মীরি ছিল না
এদিকে হিন্দু পণ্ডিতরা কিন্তু কোনওদিনও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ করেননি। করতে পারবেনও না। ৯৮ শতাংশ মুসলমান। বাকি ২-৩ শতাংশ কাশ্মীরি হিন্দু। যারা হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন তারা কেউ কাশ্মীরি ছিল না। তারা বাইরে থেকে এসেছিল। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে এসেছিল। কাশ্মীরিরা চিরদিন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। চারবেলা ভাত খেতেন, দুপুরে ঘুমোতেন, কলেজে যেতেন, পড়াতেন, সরকারী চাকরি করতেন। শিক্ষিত মানুষ। শিক্ষালাভই ওঁদের ধ্যানজ্ঞান। আপনি বেড়াতে যান, কোনও অসুবিধে হবে না। থাকতে শুরু করলেই বিপদে পড়ে যাবেন। টার্গেট হয়ে যাবেন। আসলে ভয় পাওয়ালে অনেক কিছু হয়। মানুষ তো ভয় পান। তখনকার দিনে যাঁরা কাশ্মীর শাসন করতেন ফারুক আবদুল্লাহ, সৈদিই বলুন – কাশ্মীরের এই করুণ পরিণতির জন্য সকলেই দায়ী। খালি একটা কথাই জানি, আমি আমার ভূস্বর্গকে হারিয়েছি। কোনওদিন ফেরত পাব না।
কোনওদিন বাড়ি যেতে পারব না
আমাদের মেয়ে আইরার এখন ৬ বছর বয়স। কাশ্মীরকে আমি ওর মার্তৃভূমি বলতে পারব না। ও তো কাশ্মীরে বড় হয়নি, জন্মায়ওনি। কিন্তু চিরকালই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘কল’ পদবী জুড়ে থাকতে ওঁর নামের পাশে। আমি ওঁকে কেবলই কাশ্মীরে বেড়াতে নিয়ে যেতে পারব। ওঁকে দেখাতে পারব কোথায়-কোথায় আমাদের বাড়ি ছিল। কোথায় ওর ঠাকুরদা বড় হয়েছেন। কোথায় আমাদের কারখানা ছিল। কাশ্মীরে আমাদের কিছু সম্পত্তি দখল হয়েছে, কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেছেন বাবা-কাকারা। আমার খুব কষ্ট হয়, আমি কোনওদিন আমার বাড়ি যেতে পারব না। আরিয়া কোনওদিনও ওর ঠাকুরদার বাড়িটা দেখতে পাবে না।
আরও পড়ুন: Neena Gupta: বক্ষ-বিভাজিকা দেখিয়ে ছবি পোস্ট নীনার, ট্রোলারদের একহাত নিলেন অভিনেত্রী
আরও পড়ুন: Jisshu Sengupta Birthday: ‘প্ল্যানচেট করে ডাকতে চাই ঋতুদাকে’, ঠোঁটে দুঃখের হাসি নিয়ে বলেছেন যিশু