AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ঋতুপর্ণার কপালে রোজ়ভ্যালির সময় মায়ের পায়ের ফুল ছুঁইয়ে দিয়েছিলাম, আর কোনও বিপদ হয়নি’

Rituparna Sengupta: টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল জানতে পেরেছে, রোজ়ভ্যালিকাণ্ডের জাঁদরেল তদন্তকারীদের পাঠানো সমন পেয়ে সেবার কলকাতার গার্ডেন রিচের এক মনসা মন্দিরে ছুটে গিয়েছিলেন শিল্পী ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রীর এই আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কথা জানতে পেরে TV9 বাংলা যোগাযোগ করে মানসা মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ সাহার সঙ্গে, যাঁকে এলাকার লোকে চেনেন 'দাদা মা মনসা' নামে।

'ঋতুপর্ণার কপালে রোজ়ভ্যালির সময় মায়ের পায়ের ফুল ছুঁইয়ে দিয়েছিলাম, আর কোনও বিপদ হয়নি'
ইডি।
| Updated on: May 31, 2024 | 7:30 AM
Share

দেবদ্বিজ ভক্তিমতী ‘টলি কুইন’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাড়িতে পুজোআর্চার পাশাপাশি এক বিশেষ দেবীর মন্দিরেও ঘনঘন দর্শনে যান তিনি। হাতের গুচ্ছ আংটিও জানান দেয়,’ম্যাডাম সেনগুপ্ত’র জ্যোতিষের প্রতি প্রগাঢ় আস্থা। এহেন ঋতুই এবার সূত্রের খবর অনুযায়ী, রেশন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডি-র তলব পেয়েছেন। ২০১৯ সালেও এই ঋতুপর্ণাকেই ইডি সমন পাঠিয়েছিল রোজ়ভ্যালিকাণ্ডে। আর তখনই ঘটেছিল এক ‘দৈব ঘটনা’। টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল জানতে পেরেছে, জাঁদরেল তদন্তকারীদের পাঠানো সমন পেয়ে সেবার কলকাতার গার্ডেন রিচের এক মনসা মন্দিরে নাকি ছুটে গিয়েছিলেন শিল্পী ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রীর এই আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কথা জানতে পেরে TV9 বাংলা যোগাযোগ করে মানসা মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ সাহার সঙ্গে, যাঁকে এলাকার লোকে চেনেন ‘দাদা মা মনসা’ নামে।

কী ঘটেছিল সে যাত্রায়?

ঋতুপর্ণাকে যে ফের তদন্তকারী সংস্থা আরেকটি দুর্নীতি প্রসঙ্গে তলব করেছে সে খবর টিভি নাইন ডিজিটালের থেকেই জানতে পেরেছেন দিলীপবাবু। ভক্তের জন্য এমন অস্বস্তিকর খবর শুনে মন্দিরের পুজারির কন্ঠে উদ্বেগ ধরা পড়ে। তিনি বলেন, “বিপদে পড়লেই আমার এই মন্দিরে ছুট্টে আসে ঋতুপর্ণা। অনেকদিন দেখিনি ওকে। কেমন আছে ও? আপনাদের কাছেই তো জানতে পারলাম ওকে নাকি এবার রেশনদুর্নীতি কাণ্ডের জন্যও ডাকা হয়েছে।”

বিপদের সময় কেমন দেখেছেন ঋতুপর্ণাকে, প্রশ্ন করতেই দিলীপ সাহা জানাচ্ছেন, অভিনেত্রী অত্যন্ত ভাল মানুষ। সঙ্গে এও বলছেন, “মেয়েটা বিপদকে খুবই ভয় পায়। সাতে-পাঁচে থাকতে চায় না কারও। সিনেমাটিনেমা নিয়েই ওর জগৎ।” এখানেই না থেমে দিলীপবাবু আরও বলেন, “রোজ়ভ্যালির গোলমালটার সময় এসেছিল ঋতুপর্ণা। আমি ওর মাথায় মায়ের পায়ের ফুল ছুঁইয়ে দিয়েছিলাম ওই সময়। মনে হয় আর কোনও বিপদ হয়নি।”

ক্যানসার-জয়ী বাষট্টি বছরের দিলীপবাবু আরও বলেন, বিপদে পড়লেই তাঁর কাছে ছুট্টে আসেন বহু মানুষ। জনসাধারণ থেকে শুরু করে তারকা–সকলেই সেখানে যান। ঋতুপর্ণাও তেমনই আসেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যান এই মনসা মন্দিরে। এরপর সম্পর্ক এতটাই আত্মিক হয়ে যায় যে দিলীপবাবু এবং তাঁর স্ত্রীকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এও নিয়ে এসেছিলেন রচনা। সামনেই মন্দিরের পুজো। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। এরপরই ঋতুপর্ণাকে অনেকদিন দেখতে পাননি বলে আক্ষেপ পুরোহিতের।