AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anindya Chatterjee: নেশায় ডুবে বন্ধুর মৃত্যু, নিজেও ছিলেন আসক্ত, মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফেরার কাহিনী শোনালেন অনিন্দ্য

বিভীষিকাময় দিনগুলি ভোলেননি তিনি। আরও লিখেছেন, "উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের আর কতই বা ক্ষমতা ? বাড়ির সব কিছুই মোটামুটি ততদিনে প্রায় শেষ ।...

Anindya Chatterjee: নেশায় ডুবে বন্ধুর মৃত্যু, নিজেও ছিলেন আসক্ত, মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফেরার কাহিনী শোনালেন অনিন্দ্য
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 3:16 PM
Share

অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। আম-আদমির চোখে সেলিব্রিটি। বন্ধু মহলে হাসিখুশি ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এই অনিন্দ্যরও জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে নেশার অতল গহ্বরে। চোখের সামনে দেখেছেন নেশায় ডুবে থাকা বন্ধুদের মৃত্যু। দেখেছেন, বাবা-মায়ের মলিন মুখ। মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে আসার সেই ঘটনাই শেয়ার করলেন অভিনেতা, নেশামুক্তির ১৪ বছর পর।

খাতায় কলমে তাঁর জন্মদিন ২৯ ডিসেম্বর হলেও ২২শে জানুয়ারি, ২০০৮-এই পুনর্জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। ছেড়েছিলেন নেশা। ব্রাউন সুগারে আচ্ছন্ন, নিয়মিত মাদক সেবন, রিহ্যাব-বাড়ি-আদালত করেই যখন কাটছে দিন ঠিক কী কারণে নেশা ছাড়ার জোর খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি? অনিন্দ্য লিখছেন, ” আমার কাছে এখনও জলের মতো স্পষ্ট ২০০৮ সালে আজকের এই দিনটা । আর দেখতে পাই বলেই হয়তো আজকে লিখছি । ব্যাঙ্কসাল কোর্টে হাজিরা দিয়ে আমাকে রিহ্যাবে ফিরতেই হতো । ৯টার বনগাঁ লোকাল আর সাথে ছিল শেষবারের মতন নেশা করবো বলে একটু ব্রাউন সুগার, পাতি বাংলায় কয়েকটা পাতা আর একটা সিরিঞ্জ, একটু তুলো। হাবড়া স্টেশনে নেমে একটু এগোলেই সেই রিহ্যাব যেখান থেকে আমার ভালো থাকার লড়াই শুরু হয়েছিল । তার আগে প্রায় ২৮ বা ২৯ টা ডিটক্স আর রিহ্যাব হয়ে গেছে । যেদিন ছাড়া পেতাম সেদিনকেই রিলাপস, এরম একটা প্যাটার্ন ছিল । ৬/৭ বছর ধরে অনবরত ঘুরতে থাকা একটা বৃত্ত । নয় বাইরে নেশা করছি নয় তালা চাবির ভিতরে ভালো আছি । তালা চাবির বাইরে বেরোলেই আবার নেশা । ”

বিভীষিকাময় দিনগুলি ভোলেননি তিনি। আরও লিখেছেন, “উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের আর কতই বা ক্ষমতা ? বাড়ির সব কিছুই মোটামুটি ততদিনে প্রায় শেষ । সে মায়ের সোনার গয়না হোক বা বাবার সঞ্চয় । এরপরে বাইরের লটরবহর তো আছেই । লোহা, অ্যালুমিনিয়াম,কাঁসার জিনিস তখন আমার কাছে সোনার মতনই দামী । যে কোনো গাড়ির লক খুলতে লাগতো ঠিক তিন মিনিট । একটা নোকিয়ার মোবাইল মানে ক্যাশ ২/৩ হাজার । সেটাই অনেক তখন আমার কাছে । এরম একটা সময় আমি আমি বুঝতে পারছিলাম এভাবে যদি চলতে থাকে আমি ২৮ বছর অবধিও টানতে পারবো না আর চোখের সামনে চারটে ইউজিং পার্টনার কে পরপর মরতে দেখে একটু ভয়ও পেয়েছিলাম । এতটাই বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিলাম যে আমার সেই রিহ্যাবে যাওয়া আর সেখানে আবার কয়েকমাস চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। যদি থাকতো তাহলে আরো কয়েকদিন টানতে পারতাম । কিন্তু পারিনি ।আর এই উপলব্ধিটাই আমাকে একটু হলেও সাহস যুগিয়ে ছিল। এভাবেই আমার ভালো থাকার শুরু । শুরুটা সত্যি কঠিন ছিল । না কেউ বিশ্বাস করতো, না নিজে বিশ্বাস করতাম যে নেশা করা ছেড়ে দেবো । জীবনের ধ্যানজ্ঞান ভালোবাসা তো ছিল একটাই, নেশা।”

তিনি পেরেছেন। পেরেছেন ‘নেশাখোরের ছেলে’ হিসেবে বাবার বদনাম ঘোচাতেও। মা দেখে গিয়েছেন ছেলে ক্লিন। বাবা দেখেছেন ছেলের সাফল্য। তবে লড়াই জারি এখনও। তাঁর কথায়, “… বাড়িতে আয়নার সামনে এখনও আমি সেই বাঁদর ছেলেটাই । ওকে দমিয়ে রাখতে পারলেই আমি বাকিটা সামলে নেবো । আমার উপলব্ধ ঈশ্বর আমাকে এভাবেই আমাকে আগলে রাখুক । ”

আরও পড়ুন- Nick-Priyanka: সারোগেসির মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হল সন্তান, বাবা-মা হলেন নিক-প্রিয়াঙ্কা

আরও পড়ুন- Dhanush-Aishwaryaa: নিয়তি! বিচ্ছেদ হলেও একই ছাদের তলায় থাকতে হচ্ছে ধনুশ-ঐশ্বর্যাকে