Uttam Kumar-Sabitri Chattopadhyay: মাঝরাতে সাবিত্রীর ঘরে উত্তম, বাবা আসছেন শুনে চৌবাচ্চায় ডুব দিয়েছিলেন মহানায়ক, তারপর…
Uttam-Sabitri Love Story: এসব ঘটনাই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের স্বীকারোক্তি।
পুরনোদিনের ব্যাপারই আলাদা ছিল। আলাদা ছিল সেই সময়কার স্বর্ণালী দিনগুলি। বাংলার স্বর্ণযুগের কাহিনি ইতিউতি শোনা যায়। মজাদার কাহিনিও কথিত আছে অনেক। কিংবদন্তিরা আজও বলে চলেন সেই কথা, স্মৃতিচারণায় ডুব দেন তাঁরা। রংদার কাহিনিও তো ছিল সেসময়। উত্তম-সুপ্রিয়ার প্রেমের মতো একসময় বহু আলোচিত ছিল সাবিত্রী-উত্তমের প্রেম। নিজের আত্মজীবনী ‘সত্যি সাবিত্রী’তে সাবিত্রী চট্টোপাধ্য়ায় সেই সমস্ত কাহিনীকেই তুলে ধরেছেন।
সাবিত্রীর বাবা ছিলেন কড়া ধাঁচের মানুষ। কোনও কিছুর সঙ্গে আপোস করতেন না তিনি। শিরদাঁড়া সোজা রেখে চলতেন সবসময়। নিয়মের মধ্যে থাকতেন। বাড়িতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুভার ছিল তাঁর কাঁধে। এদিকে সাবিত্রীদের বাড়িতে মা ছাড়াও ছিলেন অভিনেত্রীর একাধিক ভাই-বোন। সে সময় উত্তমকুমারের সঙ্গে সাবিত্রীর প্রেম নিয়ে আলোচনা চলছিল খুব। লোকের মুখে আলোচনা, পেপার-ম্যাগাজ়িনে লেখালিখি, উত্তমের বাড়ির অন্দরেও চলছিল টানাপোড়েন। কিন্তু এ সবের মধ্যেও সাবিত্রীর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মহানায়কের। তিনি প্রায়ই আসতেন সাবিত্রীদের বাড়িতে। সকলের সঙ্গে গল্পগুজব করতেন। আড্ডা প্রিয় মানুষ ছিলেন, সে কথা সকলেই জানেন।
সেরকমই একদিন উত্তম আড্ডা দিতে এসেছিলেন সাবিত্রীর বাড়িতে। সাবিত্রী, তাঁর দিদিরা, জামাইবাবু, এমনকী সাবিত্রীর মা-ও যোগ দিয়েছিলেন সেই আড্ডায়। ঘর বন্ধ করে চলছিল গল্প। চলছিল হাহা-হিহি। বাবা ছিলেন নিজের ঘরে। তিনি সে সব জানতেন না। জানলে কোনওদিনও হয়তো সাবিত্রীর বাড়িতে সারারাত ধরে এই আসর বসত না। দোর দিয়ে তিনি নিদ্রা গিয়েছিলেন। আড্ডা দিতে-দিতে খেয়াল করেননি কেউই। বাবার ঘর পর্যন্ত সেই আওয়াজ পৌঁছে গিয়েছিল সেই রাতে। তাঁর ঘুম ভাঙে। দরজায় খিল খোলার আওয়াজ প্রথম শুনতে পান উত্তমকুমারই। সোজা চলে যান ঘরের ভিতরকার বাথরুমে। বাবা এসে দেখে সকলে চুপ। মাকে ধমকে শুতে পাঠিয়ে দেন। নিজেও চলে যান। এত রাতে হল্লা করার জন্য সকলের কপালেই সেই রাতে জুটেছিল বকুনি।
এদিকে ঘরের মধ্যে উত্তম নেই। সাবিত্রীর স্নানঘরের দরজায় টোকা দিতে উত্তমকুমার বেরিয়ে আসেন। আপাদমস্তক ভেজা। ভয়ে-ভয়ে বলেছিলেন, সাবিত্রীর বাবা যদি বাথরুমে চলে আসতেন, তাই চৌবাচ্চায় ডুব দিয়ে বসেছিলেন মহানায়ক। সেদিন সেই রাতে সে কী হয়রানি!
(তথ্য: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী ‘সত্যি সাবিত্রী’, অনুলিখনে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়)
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE-Bharat Kaul-The Kashmir Files: আরিয়া কোনওদিনও ওর ঠাকুরদার বাড়িটা দেখতে পাবে না: ভরত কল
আরও পড়ুন: Riddhi Sen operation: প্রায় গল্প করতে-করতে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করল ঋদ্ধির: কৌশিক সেন