National Award Winner Kalkokkho: জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার ১২ দিন পর অবশেষে নন্দন-এ ফের স্ক্রিন পেতে চলেছে দুই বাঙালি পরিচালকের ছবি ‘কালকক্ষ’
Kalkokkho: নন্দন ২ থেকে নামিয়ে নেওয়া ছবি এবার জায়গা পেতে চলেছে নন্দন ১-এ। 'কালকক্ষ' যখন রিলিজ় করেছিল, তখন অবশ্য নন্দন ২-এ দেখানো হয়েছিল এই ছবি। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে ছবির অন্যতম পরিচালক শর্মিষ্ঠা মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কী বলেছেন তিনি?
২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল নয়া পরিচালকদ্বয় শর্মিষ্ঠা মাইতি ও রাজদীপ পালের প্রথম ফিচার ফিল্ম কালকক্ষ। এ এক অন্যস্বাদের ছবি। যেখানে নেই কোনও রঙিন সংলাপ, নেই কোনও ঠুমকা। এই ছবির বিগ বাজেট নেই, নেই ঝাঁচকচকে ফ্রেম। তবে যা আছে, তা কঠিন বাস্তব। প্রতিটা মানুষের গল্প। প্রতিটা মানুষ যেখানে প্রতিটা মুহূর্তে লড়াই চালিয়েছে নিজের অস্বস্তিটুকু টিকিয়ে রাখতে। করোনা, হঠাৎই মানুষের পায়ে শিকল পরিয়ে মুক্ত করেছিল বন্যপ্রাণীদের। খাঁচায় বন্দি সেই সকল মানুষের আর্তনাদই এই ছবির পরতে-পরতে জড়িয়ে। তবে না, মাল্টিপ্লেক্সের আশা প্রথম থেকেই খুব একটা রাখেননি পরিচালকদ্বয়। ছবিটিকে যখন বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, বহু অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা, তবে ভরসা রেখেছিলেন নন্দনের ওপর।
বিশ্বাস করেছিলেন নন্দনে অন্তত ছবিটা থাকবে। কারণ এটাই তো নন্দন, যেখানে ভাল ছবিকে সরকার উদ্যোগ নিয়ে স্বল্প টাকায় দর্শকদের পাতে তুলে দিয়ে থাকে। কিন্তু সেখানেও খুব একটা পসার জমাতে পারল না কালকক্ষ। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা, ছবির শোক ভুলে নয়া ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন রাজদীপ-শর্মিষ্ঠা। তখনই হঠাৎ করে জ্বলে উঠল কালকক্ষ-এ প্রদীপ। ২৪ অগস্ট, জাতীয় পুরস্কার মঞ্চে জায়গা করে নিল এই ছবি। তারপর শুরু আরও এক লড়াই। ছবি যদি মুক্তি পায়, কিন্তু না, তখনও সেভাবে প্রেক্ষাগৃহ মেলেনি। অবশেষে দুই সপ্তাহ পর তা জায়গা করে নিল নন্দন ১ (শো-টাইম ৬.১৫) ও রাধা (শো-টাইম ৪.০০)-তে। ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ছবি।
এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে শর্মিষ্ঠা মাইতি বললেন, ”সকলের কাছে যেমন আবেদন করেছিলাম, তেমনই নন্দনেও জানিয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের আবেদন রেখেছেন। আবেদন আগেও করেছি, আজও করছি, চেষ্টা থামালে তো চলবে না। ছবি অবশেষে নন্দন ১-এ জায়গা পেল। অতীতে নন্দন ১ পায়নি ঠিক, তবে সে সব ভুলে যেতে চাই। আমি একজন ছবি নির্মাতা হিসেবে এটাই চাই আমার ছবি দর্শক দয়া করে দেখুক। কারণ এটা দর্শকের গল্প, বাস্তব গল্প। নন্দন ১-এর একটা নির্দিষ্ট দর্শক রয়েছে। তাঁরা দেখবেন, এই ছবি যে সবার জন্য নয় তা তো প্রথম থেকেই বলেছিলাম। তবে এটাও ঠিক, সবাই দেখলে হয়তো বুঝতেন, এই ছবি তাঁদেরও গল্প।”
এক বড় বাণিজ্যিক ছবির ঝড়ের মাঝে হল পেল কালকক্ষ, যেখানে অনেক বাংলা ছবিই হয়তো সরে দাঁড়াবে, সেখানে নন্দনে কালকক্ষ? এই প্রসঙ্গে শর্মিষ্ঠা বলেন, ”না, যে ছবির কথা আমায় বলছেন, তার কথা আমি ভাবিই না। ওটা ব্যবসা। ওটা ভীষণ প্রয়োজন সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। তার সঙ্গে আমার প্রতিযোগিতার প্রশ্নই নেই। আর যে দুই প্রেক্ষাগৃহে আমি জায়গা পেলাম, সেটাও সেই বাণিজ্যিক ছবির জায়গা নয়। তাই আমি মনে করি আমার ছবির দর্শক আলাদা, চারজন মানুষ হলেও বেশি জেনেছে আমার ছবির কথা। তাঁরাই আসুক, ছবিটা দেখুক। এটাই তো দিনের শেষে চাওয়া।”