AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tollywood Controversy: মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য বিরোধিতার জেরেই নন্দনে ‘ব্রাত্য’ সৃজিত? বিতর্কে ঘি ঢাললেন ‘বন্ধু’ রুদ্রনীল

Tollywood Controversy: নন্দনে মুক্তি পায়নি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এক্স= প্রেম। অন্যদিকে ওই একই সিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি রাজ চক্রবর্তীর ছবি 'হাবজি গাবজি' মুক্তি পেয়েছে নন্দনে। নেপথ্যে কারণ কী?

Tollywood Controversy: মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য বিরোধিতার জেরেই নন্দনে 'ব্রাত্য' সৃজিত? বিতর্কে ঘি ঢাললেন 'বন্ধু' রুদ্রনীল
বিতর্কে ঘি ঢাললেন 'বন্ধু' রুদ্রনীল
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2022 | 7:29 PM
Share

নন্দনে মুক্তি পায়নি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এক্স= প্রেম। অন্যদিকে ওই একই সিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘হাবজি গাবজি’ মুক্তি পেয়েছে নন্দনে। নেপথ্যে কারণ কী? এ নিয়ে চলছে জোর তরজা। সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন অন্যায় হলে প্রতিবাদ করবেনই অন্যদিকে রাজ চক্রবর্তীর বক্তব্য ছিল ‘ছবিই কথা বলবে’। এবার এই বিতর্কে ঘি ঢাললেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, “অনেকেই বলছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় প্রকাশ্যে হাঁসখালি কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেছিল বলেই নাকি প্রেক্ষাগৃহ পেল না”।

হাঁসখালি-কাণ্ডে কিশোরীর ওপর নির্যাতনের ঘটনাকে ধর্ষণ বলা যায় কি না, তা নিয়ে তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সরকারি অনুষ্ঠান থেকে হাঁসখালি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলতেই তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, “সংবাদমাধ্যমগুলি এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। তারা দেখাচ্ছে ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে মারা গিয়েছেন। আপনার একে ধর্ষণ বলবেন? ওই মেয়েটি কি গর্ভবতী ছিল নাকি এটা লাভ অ্যাফেয়ার্সের ঘটনা? তারা কি এটা তদন্ত করে দেখেছে? আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, তারা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আমাকে বলা হয়েছিল নির্যাতিতা কিশোরী ও অভিযুক্তের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।”

মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের পরেই শুরু হয় তীব্র নিন্দা। প্রতিবাদ করেছিলেন সৃজিতও। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ““অত্যন্ত অবমাননাকর ও অসংবেদনশীল মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। আমি বাকরুদ্ধ, অভিব্যক্তি হারিয়েছি।” আর তাতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখেছেন রুদ্রনীল। টিভিনাইন বাংলাকে তিনি বলেন, “হাঁসখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন সৃজিত। কেউ কেউ বলছেন সেই কারণেই নাকি ও হল পেল না! পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক জগৎ কোনওদিন সাংস্কৃতিক জগতকে দাবিয়ে দেয়নি। বরং সাংস্কৃতিক জগৎ রাজনৈতিক জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই সরকারের উচিত সকলের পাশে দাঁড়ানো।”

প্রসঙ্গত, রাজ ও সৃজিত দুজনেই রুদ্রনীলের কাছের বন্ধু। রুদ্রনীল নিজে যদি বিজেপি নেতা। ভোটেও দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছেন তবে দল ছাড়েননি। রাজ-সৃজিতের এই হল তরজায় তিনি আরও যোগ করেন, “মুখ্যমন্ত্রী কবিতা লিখিয়ে, গান গাইয়ে, ছবি আঁকিয়ে… সর্বোপরি শিল্পী। তাই সিনেমা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও দলমত নির্বিশেষে যে সবাইকে সরকারি সিনেমা হল দেওয়া হয়, কেউ যেন সিনেমা হল পাওয়া বা না পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়। তাহলে ভুল বার্তা পৌঁছয়, কষ্ট পায় শিল্প। নিরপক্ষে ভাবে ব্যাপারটা দেখাই কাম্য।” অন্যদিকে দুই বন্ধুকে নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “দুজনেই আমার বন্ধু। দুজনেই দু’ধারার ছবির শীর্ষে বসে রয়েছে। আমার কখনওই মনে হয় না ওই দুই মানুষের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব রয়েছে।” রাজ-সৃজিতের ফেসবুকীয় তরজায় সাক্ষী দু’দিন আগেই ছিল নেটিজেন। ‘মেশিনারি’র প্রসঙ্গ টেনেছিলেন সৃজিত। অন্যদিকে রাজের কাছে সৃজিতের ওই বক্তব্য ছিল ‘হাবজি গাবজি’। যদিও টুইটে দেখা যায় মিটমাটও হয়ে গিয়েছে তাঁদের। কিন্তু রুদ্রনীলের এই বক্তব্য? কতটা সহমত হবেন কাছের দুই বন্ধু? সৃজিত-রাজ, আপনার কি শুনছেন?