দুই মহারথীর জন্মদিন ৮ সেপ্টেম্বর। একজন পরিচালক সন্দীপ রায়। অন্যজন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাঁদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। দুই তারকার অদেখা ছবি পোস্ট করলেন সাহেব। তাঁদের দু’জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন সাহেব। জন্মদিনে তাঁর এই দুই ‘গুরুজন’কে জানালেন বিশেষ শ্রদ্ধা।
একই দিনে দুই তারকার জন্মদিন। অসম্ভব বিষয় না হলেও সচরাচর দেখা যায় না। তার উপর দুই তারকার বন্ধুত্বের যোগসূত্র যদি হয় ফেলুদা। একজন ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের পুত্র, যিনি বাবার লেখা গল্পে ছবি তৈরি করেছেন। এবং সেই ছবিতে ফেলুদা হয়েছেন সব্যসাচী। মজার বিষয়, তোপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাহেব। সংগ্রহে রাখা পুরনো একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সাহেব। লিখেছেন, “যাঁদের ছাড়া শুধু ‘তপেশরঞ্জন মিত্র’ নয়, সাহেব ভট্টাচার্যও অসম্পূর্ণ, সেই প্রিয় দু’জন মানুষের জন্মদিন আজ। আর পুরনো ছবি ঘাঁটতে-ঘাঁটতে দু’জনকেই একই ফ্রেমে পেয়ে গেলাম। জন্মদিনের অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসা নিও বেনুদা ও বাবুদা।”
১৯৫৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্ম সন্দীপ রায়ের। ২৪ বছর বয়সে বাবা সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’তে সহকারী পরিচালক হিসেবে ছবির জগতে প্রবেশ সন্দীপের। তার আগে থেকেই অবশ্য সেটে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন সন্দীপ। সত্যজিতের ‘গণশত্রু’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘আগন্তুক’-এ করেছিলেন ফটোগ্রাফির কাজও। ১৯৮৩ সালে প্রথম ছবি পরিচালনা করেন। সেই ছবির নাম ‘ফটিক চাঁদ’। সত্যজিতের গল্প থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করেন ছবিটি। তারপর একাধিক ছবি তৈরি করেছেন সন্দীপ।
মঞ্চে, টেলিভিশনে, সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করতেন সব্যসাচী। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর তিনিই ছিলেন পরবর্তী ফেলুদা। টেলিভিশনে ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় দিয়ে পর্দায় অভিনয় শুরু তাঁর। সেখানে ‘গোরা’র চরিত্রটি করতে তিনি। এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, যে সেই নামেই তাঁকে ডাকতে শুরু করেছিলেন দর্শক।
আরও পড়ুন: “মনে রেখো না…”, কার উদ্দেশে বললেন অনুরাধা
আরও পড়ুন: সন্দীপ্তার সারদা মায়ের অভিনয়ে মুগ্ধ অপরাজিতা আঢ্য
আরও পড়ুন: কালো টুপি ও মাস্কে মুখ ঢেকেছেন তিনি… কে এই অভিনেত্রী?