বাংলার রাজনীতি ও বিনোদন জগৎ – একে-অপরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে যেন। বিগত কয়েক বছর থেকেই একটা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। পালে-পালে অভিনেতারা ‘নেতা’ হওয়ার লড়াইয়ে নাম লেখাচ্ছিলেন। কেউ এই দল, কেউ ওই দল। যত দিন এগলো অভিনেতারা ‘নেতা’ হতে চাইলেন আরও বেশি। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে নজিরবিহীন ঘটনা দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রত্যেকের। বিনোদন জগতের প্রায় সকলেই রাজনীতিতে চলে আসেন। কেবল তাই নয়। অভিনেতাদের দল বদলের মতো ঘটনাও চায়ের টেবিলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নতুন-পুরনো সব যুগের অভিনেতারাই নাম লেখান পলিটিক্সের খাতায়। কিন্তু এই গোটা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত ছিলেন একজন। তিনি সদ্য প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। হাজার প্রলোভনেও পা রাখেননি ‘ডার্টি’ পলিটিক্সে। TV9 বাংলাকে একান্তভাবে জানিয়েছেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। এর কারণ কী ছিল?
ঠিক কি কারণে রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়? সংযুক্তার জবানিতে:
“অনেকবার। অনেকবারই রাজনৈতিক দল থেকে ডাক পেয়েছিল অভিষেক। তৃণমূল থেকে ডেকেছিল। বিজেপি থেকে ডেকেছিল। একবার নয়। বার বার ডেকেছে। কিন্তু বার বারই অভিষেক জানিয়ে দিয়েছিল, না ও রাজনীতি জয়েন করবে না। এর কারণ, ও মনে করত রাজনীতিতে যুক্ত হলে ওর পরিবারিক শান্তি থাকবে না। রাজনীতিকে অত্যন্ত ‘নোংরা’ জায়গা মনে করত অভিষেক। মনে করত, অনেক কিছু কমপ্রোমাইজ় করতে হয়। ফলে কিছুতেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইত না। নিজের পরিবার নিয়ে খুশি ছিল। অভিষেকের বিশ্বাস ছিল, রাজনীতি তাঁর মানসিক শান্তি কেড়ে নেবে। ওর কাছে শান্তি ছিল সবচেয়ে প্রিয়।”