AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় কাঙালি ভোজন করাতেন উত্তম কুমার, তৈরি হত স্পেশাল মেনু

১৯৫০ সালে জন্ম হয় উত্তম কুমারের পুত্র গৌতমের। আর সেই বছরই ভবানীপুরের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন মহানায়ক। মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা যে তাঁর স্ত্রী গৌরীদেবীর মুখের আদলে তৈরি, সে গল্প প্রায় সবাই জানেন। এমনকী, উত্তম রীতি বদলে, তাঁর বাড়ির পুজোয় লক্ষ্মীপুজোয় ঢাকও বাজাতেন।

বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় কাঙালি ভোজন করাতেন উত্তম কুমার, তৈরি হত স্পেশাল মেনু
| Updated on: Oct 06, 2025 | 10:34 AM
Share

মৃত্যুর ৪৬ বছর পরও মহানায়ক যেমন আজও উজ্জ্বল বাঙালির মনে। তেমনিই উজ্জ্বল তাঁর ভবানীপুরের বাড়ির নানা গল্প, নানা উৎসব। ঠিক যেমন, উত্তম কুমারের বাড়ির গণেশ পুজো জনপ্রিয় হয়েছিল গোটা বাংলায়। তেমনিই মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মী পুজো এখনও অনুরাগীদের কাছে এক বড় উৎসব। কারণ, এখনও উত্তমের স্মৃতি বলে চলে ভবানীপুরের বাড়ির লক্ষ্মী আরাধনা।

১৯৫০ সালে জন্ম হয় উত্তম কুমারের পুত্র গৌতমের। আর সেই বছরই ভবানীপুরের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন মহানায়ক। মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা যে তাঁর স্ত্রী গৌরীদেবীর মুখের আদলে তৈরি, সে গল্প প্রায় সবাই জানেন। এমনকী, উত্তম রীতি বদলে, তাঁর বাড়ির পুজোয় লক্ষ্মীপুজোয় ঢাকও বাজাতেন। মা দুর্গা কৈলাশে পাড়ি দেওয়ার পর যেভাবে চারিদিক বিষাদময় হয়ে উঠত, তাকে দূর করতেই এমনটা নাকি করতেন মহানায়ক।

তবে শুধুই ঢাক বাজানো নয়। লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে উত্তম আরও এমন অনেক কিছু করতেন, যা কিনা প্রমাণ করত, তিনি শুধুই মহানায়ক নন, বড় মনের মানুষও।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুজোর দিনে উত্তমের বাড়ির দরজা ছিল সবার জন্য খোলা। সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাতো অনুরাগীরা। এ যেন একসঙ্গে ডবল পাওনা। লক্ষ্মীর দর্শনের সঙ্গে উত্তম দর্শন সকাল থেকেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নানা লোকের আসা-যাওয়া চলত মহানায়কের বাড়িতে। অপ্য়ায়ণের কোনও ত্রুটি রাখতেন না উত্তম।

এখানেই শেষ নয়, মালক্ষ্মীর কাছে চাওয়া বিশেষ মানত পূরণ হওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুজোর দিন কাঙালি ভোজন করাতেন উত্তম। নিজে হাতেই করতেন পরিবেশন। আর স্পেশাল মেনু বানাতেন তিনি নিজেই।

কী থাকত মেনুতে?

লক্ষ্মীপুজোর পরে ইন্ডাস্ট্রির তাবড় প্রযোজক, গায়ক, অভিনেতারা পাত পেড়ে বসে ভোগ খেতেন। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সকল নিমন্ত্রিতকে খাওয়াতেন। তার পরেই নিজে খেতে বসতেন। মেনুতে থাকত লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন বাসন্তী, আলুর দম, ধোঁকার ডালনা, ছানার ডালনা, মিষ্টি।