AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ প্লিজ মেরে ফেল আমায়’, গার্লফ্রেন্ডের কাছে কাতর আর্তি রাজেশ খান্নার, তারপরই…

কেরিয়ারের প্রথম কয়েকটি ছবি ডাহা ফ্লপ হলেও, পরিচালক শক্তি সামন্তের আরাধনা ছবিতে রাজেশ বুঝিয়ে দেন, তিনি বলিউডে রাজত্ব করতে এসেছেন। আরাধনা ছবির ব্লকবাস্টার সাফল্যের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রাজেশকে।

' প্লিজ মেরে ফেল আমায়', গার্লফ্রেন্ডের কাছে কাতর আর্তি রাজেশ খান্নার, তারপরই...
| Updated on: Jul 13, 2025 | 5:17 PM
Share

রাজেশ খান্না ছিলেন বলিউডের প্রথম সুপারস্টার। কেরিয়ারের প্রথম কয়েকটি ছবি ডাহা ফ্লপ হলেও, পরিচালক শক্তি সামন্তের আরাধনা ছবিতে রাজেশ বুঝিয়ে দেন, তিনি বলিউডে রাজত্ব করতে এসেছেন। আরাধনা ছবির ব্লকবাস্টার সাফল্যের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রাজেশকে। তারপর সফর, আনন্দ, আন্দাজ, অমর প্রেম, একের পর এক ছবি জুবিলি। রাজেশ তখন, বলিউডে নাম পেলেন সুপারস্টার। ফিল্ম বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাজেশ খান্নাই প্রথম নায়ক, যার নামের পাশে লেখা হত এই সুপারস্টার শব্দ। তবে বলিউডে তাঁর কাছের লোকেরা কাকাজি নামেই ডাকতেন। সেই রাজেশ খান্নার শেষ জীবন ছিল খুবই কষ্টের। ঘরে শুয়ে তাঁঁর একেকটা দিন, যেন একেকটা  বছর।

রাজেশ খান্নার কেরিয়ারগ্রাফকে হিংসে করতেন অনেকেই। সেই সময় অভিনয়ে ধার দিচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন। আনন্দ ছবিতে কাছ থেকে রাজেশের অভিনয় দেখে হতবাক হয়েছিলেন বিগ বি। নিন্দুকরা বলতেন, একসময়ের সুপারস্টারকে, পরের দিকে বলিউড একেবারেই পাত্তা দিতেন। কেননা, তখন বলিউড পেয়ে গিয়েছিল তাঁদের অ্যাংরি ইয়ংম্য়া শহেনশাহ অমিতাভকে। তবে শোনা যায়, রাজেশের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী তিনিই। বেসামাল লাইফস্টাইল, অত্য়াধিক অহংবোধই, রাজেশ খান্নার জন্য চোরাবালি ছিল। আর তারপরই পতন। এর সঙ্গে ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে তাঁর কলহ। এবং অনিতা আডবাণীর সঙ্গে তাঁর প্রেম।

সম্প্রতি অবন্তি ফিল্মস নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে দিয়ে অনিতা জানান, শেষ জীবনে বিছানায় শুয়ে শুয়ে কীভাবে কষ্টে দিন কেটেছে রাজেশের। অনিতা জানান, ” রাজেশের ইচ্ছে ছিল, তাঁর বাড়িটা মিউজিয়াম হোক। তাঁর সুপারস্টারের ইতিহাসটা সব সময় উজ্জ্বল থাকুক। কিন্তু হঠাৎ ১৫০ কোটিতে তাঁর বাড়ি বিক্রির অফার আসে। ভেঙে পড়েছিল রাজেশ। ক্রেতাকে পত্রপাঠ বিদায় দিয়েছিলেন রাজেশ। ”

অনিতা আরও জানান, ”শেষ দিকে রাজেশকে দেখে খুবই কষ্ট হত। বিছানায় শুয়ে রাজেশ বার বার বলত, আমার এই অবস্থা, আমি সহ্য করতে পারছি না। দয়া করে আমাকে মের ফেল। আমি অনেক বোঝাতাম। পজিটিভ কথা বলতাম, ওর সামনেই। ডিম্পলও দুই মেয়ে নিয়ে এসে দেখা করত। কিন্তু রাজেশের মুখে একটাই কথা। শেষমেশ বাঁচাতে পারলাম না। রাজেশের বাড়ি আশীর্বাদ যখন ভাঙা হল, আমি সহ্য করতে পারিনি। ”