AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুচিত্রার বাড়িতে পূজিত বিশাল লক্ষ্মী! কোন বিশেষ নিয়ম মেনে পুজোয় বসতেন মহানায়িকা?

অনেকেই মনে করতেন তিনি মহানায়িকা হওয়ায়, তিনি সর্বদাই ছিলেন নাকউঁচু। একথা আংশিকভাবে সত্য হলেও, পুরোটা সত্য়ি নয়। কেননা, যাঁরা সুচিত্রাক কাছ থেকে দেখেছেন, বলা ভাল যাঁরা নায়িকার বাইরে গিয়ে তাঁকে বুঝতে চেষ্টা করেছেন, তাঁরা জানেন, সুচিত্রা ছিলেন মাটির মানুষ।

সুচিত্রার বাড়িতে পূজিত বিশাল লক্ষ্মী! কোন বিশেষ নিয়ম মেনে পুজোয় বসতেন মহানায়িকা?
| Updated on: Oct 04, 2025 | 6:40 PM
Share

উত্তম কুমারের বাড়ির মতোই সুচিত্রা সেনের বাড়িতেও লক্ষ্মীপুজো হত ধুমধাম করে। মহানায়িকা নিজেই সেই পুজোর কাজে যুক্ত থাকতেন। নিজে হাতেই সারতেন পুজোর নানা আচার অনুষ্ঠান।

অনেকেই মনে করতেন তিনি মহানায়িকা হওয়ায়, তিনি সর্বদাই ছিলেন নাকউঁচু। একথা আংশিকভাবে সত্য হলেও, পুরোটা সত্য়ি নয়। কেননা, যাঁরা সুচিত্রাক কাছ থেকে দেখেছেন, বলা ভাল যাঁরা নায়িকার বাইরে গিয়ে তাঁকে বুঝতে চেষ্টা করেছেন, তাঁরা জানেন, সুচিত্রা ছিলেন মাটির মানুষ। হ্য়াঁ, ইন্ডাস্ট্রির রঙিন আলোয় তিনি ম্যাডাম সেন হয়ে থাকলেও, বাড়িতে তিনি একেবারেই ছিলেন ঘরের মেয়ে, ঘরের বউ এবং মেয়ের মা।

এক সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা সেনের ভাগ্নি জানিয়ে ছিলেন, অতিথি আপায়্যণের ব্য়াপারে সুচিত্রা ছিলেন একেবারে নিঃখুঁত। বাড়িতে কেউ আসলে, নিজে হাতেই রান্না করতেন। সুচিত্রার হাতে নিরামিষ রান্না ছিল দারুণ। বিশেষ করে চচ্চড়ি যেমন তাঁর প্রিয় ছিল, তেমনিই রাঁধতেনও ভাল।

এই সাক্ষাৎকার থেকেই জানা যায়, সুচিত্রা সেন বাড়িতে যখন থাকতেন, তখন বাড়িতে আটপৌঢ়েভাবে শাড়ি পরতেন। এবং কোনও মেকআপই তিনি ব্যবহার করতেন না।

তবে লক্ষ্মীপুজোর দিনটাতে সুচিত্রা সেন সাজতেন একেবারে মা লক্ষ্মীর মতো করেই। লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, সোনা গয়না থাকতে সুচিত্রা পরনে। তবে শুধু নিজেই নয়, সুচিত্রা মা লক্ষ্মীকেও সাজাতেন নিজের হাতে। সোনার গয়না, সুন্দর শাড়িতে মা লক্ষ্মী হয়ে উঠতেন মহানায়িকার ঘরের মেয়ে।

লক্ষ্মীপুজোর ভোগের দায়িত্ব থাকত সুচিত্রার কাঁধেই। নিজে হাতে ফল-সবজি কাটতেন। নিজেই ঢুকে পড়তেন রান্নাঘরে। সারা দিন উপোস করে পুজো জোগার করতেন সুচিত্রা নিজেই। তবে কন্যা মুনমুন সেন থাকত সঙ্গে। আর মুনমুনের উপর দায়িত্ব থাকত আলপনা দেওয়ার। মুনমুন ছোট থেকেই খুব ভাল আঁকতেন। তাই ঘর জুড়ে আলাপনা দিতেন মুনমুনই।

জানা যায়, সুচিত্রার বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় ঢুঁ দিতেন ইন্ডাস্ট্রির প্রচুর মানুষ। এমনকী, শোনা যায়, অনেকেই উত্তমের বাড়ির পুজো ঘুরে তারপর যেতেন সুচিত্রার বাড়িতে। আবার উল্টোটাও ঘটত।

সুচিত্রা নাকি স্বপ্নে দেখেছিলেন মা লক্ষ্মীকে। সেই স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়েই সেজে উঠত সুচিত্রার লক্ষ্মী আরাধনা। এমনকী, বিশাল মাপের লক্ষ্মীকে নিয়ে নৌকায় চড়ে গঙ্গায় বিসর্জনেও যেতেন মহানায়িকা।