AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Haradhan Bandopadhyay: জীবিত রবীন্দ্রনাথকে হাতের কাছে পেয়েও পাত্তা দেননি হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়! ঘটনাটা জানলে চমকে যাবেন

Story about on Haradhan Bandopadhyay and Rabindra Tagore: হারাধন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কেরিয়ারের শুরু কিন্তু একেবারেই সিনেমাপাড়ায় নয়। বরং তিনি জীবনের নানা ধাপে, নানান চাকরি করেছেন। কখনও ব্রিটিশ কোম্পানিতে রপ্তানি-আমদানির হিসেব রাখার কাজ, কখনও বাটা জুতো কোম্পানিতে জুতো পালিশ। ব্রিটিশ বিমান সংস্থাতেও হাত পাকিয়ে ছিলেন হারাধন। তবে সেই সময়ই সুযোগ আসে, রেডিওর অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজে। ভাল কণ্ঠস্বর থাকার দরুণ অল্প দিনেই নাম করে যায়।

Haradhan Bandopadhyay: জীবিত রবীন্দ্রনাথকে হাতের কাছে পেয়েও পাত্তা দেননি হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়! ঘটনাটা জানলে চমকে যাবেন
| Updated on: Sep 18, 2025 | 4:39 PM
Share

ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের বড্ড প্রিয় ছিলেন তিনি। ‘কাপুরুষ’, ‘মহানগর’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও মনে রেখেছে সিনেপ্রেমীরা। তবে শুধুই বাংলা ছবি নয়, বলিউডের পর্দাতেও তাঁর অভিনয়ের ছাপ রয়েছে। অনুরাগ বসুর ‘বরফি’, প্রদীপ সরকারের ‘পরিণীতা’ ছবিতেও দুরন্ত অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে হারাধন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কেরিয়ারের শুরু কিন্তু একেবারেই সিনেমাপাড়ায় নয়। বরং তিনি জীবনের নানা ধাপে, নানান চাকরি করেছেন। কখনও ব্রিটিশ কোম্পানিতে রপ্তানি-আমদানির হিসেব রাখার কাজ, কখনও বাটা জুতো কোম্পানিতে জুতো পালিশ। ব্রিটিশ বিমান সংস্থাতেও হাত পাকিয়ে ছিলেন হারাধন। তবে সেই সময়ই সুযোগ আসে, রেডিওর অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজে। ভাল কণ্ঠস্বর থাকার দরুণ অল্প দিনেই নাম করে যায়। আর ঠিক সেই সময়ই রবিঠাকুরকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করেছিলেন হারাধন, যা শুনে চমকে উঠেছিল তাঁর আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব! তবে তা নিয়ে পরে আপসোসও ছিল তাঁর।

ঠিক কী ঘটেছিল?

সময়টা স্বাধীনতা পূর্বের ভারত। তখনও ব্রিটিশ কোম্পানির রাজ চলছে। স্বদেশি আন্দোলনের আগুন জ্বলছে যুবক-যুবতীর মনে। বাদ ছিলেন না হারাধনও। ঠিক সেই সময়ই বেশি টাকার পারিশ্রমিকের ব্রিটিশ বিমা সংস্থার চাকরি ছেড়ে কলকাতা বেতার কেন্দ্রে (তখনও আকাশবাণী কলকাতা নামকরণ হয়নি।) যোগ দেন অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। বেতন কম হলেও, বিনা পয়সায়, প্রথিতযশা শিল্পীদের কণ্ঠে রবিঠাকুরের গান শোনার লোভ সামলাতে পারেননি হারাধন। কিন্তু রবীন্দ্র সাহিত্য, গানের ভক্ত হয়েও,সুযোগ পেয়েও জীবিত রবীন্দ্রনাথকে দেখতে যাননি অভিনেতা!

কেন যাননি হারাধন?

কলকাতা থেকে তখন নিয়মিত কুষ্টিয়া যেতেন রবি ঠাকুর। কুষ্টিয়ায় রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই ছিল রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। আর সেই বাড়ির পাশেই ছিল হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িও। সেই সময় বহুবার রবীন্দ্রনাথকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন হারাধন। কিন্তু তিনি দেখে করেননি। বরং বন্ধু-বান্ধবদের বলতেন, বুইড়া অনেকদিন বাঁচবে। পরে দেখা করব। শেষপর্যন্ত রবিঠাকুরের সঙ্গে আর দেখা করা হয়নি হারাধনের। ছিল বিশাল আপসোস। তবে বেতারের চাকরিটায় সেই আপসোস কিছুটা মিটিয়ে ছিল। কেননা, রবিঠাকুরের গানের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বই ছিল তাঁর কাঁধে। সেই সুবাদে দিনভরই হারাধন ডুবে থাকতেন রবীন্দ্রগীতিতে।

 তথ্যসূত্র: দেশ টিভিতে আসাদুজ্জামান নূরের নেওয়া এক সাক্ষাৎকার