লক্ষ্মীপুজোয় যা কোনও হিন্দু বাড়িতে হয় না তাই করতেন উত্তম কুমার! জানলে কানে হাত দেবেন
যে ইতিহাসের নেপথ্যে রয়েছেন উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরীদেবী। তাঁর মুখের আদলে আজও ভবানীপুরের বাড়িতে লক্ষ্মীর আরাধনা। উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো নিয়ে এই তথ্য় অনেকেই কমবেশি জানেন। কিন্তু জানেন কি, লক্ষ্মীপুজোর এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি, নিজের বাড়িতে কখনই মানেননি উত্তম!

স্বপ্নে পেয়েছিলেন গণেশ। তাই ধুমধাম করে গণেশ পুজো করতেন উত্তম কুমার। ঠিক তেমনই মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো শুরুরও একটা ইতিহাস রয়েছে। যে ইতিহাসের নেপথ্যে রয়েছেন উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরীদেবী। তাঁর মুখের আদলে আজও ভবানীপুরের বাড়িতে লক্ষ্মীর আরাধনা। উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো নিয়ে এই তথ্য় অনেকেই কমবেশি জানেন। কিন্তু জানেন কি, লক্ষ্মীপুজোর এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি, নিজের বাড়িতে কখনই মানেননি উত্তম!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, লক্ষ্মী বড়ই চঞ্চলা। তাঁকে সামলে রাখতে প্রয়োজন এমন এক শান্ত পরিবেশ, যেখানে কিনা কোনও উচ্চ শব্দ থাকবে না। অর্থাৎ বেশি আওয়াজ একেবারেই পছন্দ নয়, মা লক্ষ্মীর। সেই কারণেই শাস্ত্রে রয়েছে, লক্ষ্মীপুজোর সময় শঙ্খ বাজলেও, কাসর-ঘণ্টা যেন না বাজে। মোটামুটি সব হিন্দু বাড়িতেই এই নিয়ম মানা হয়। চেষ্টা করা হয়, শান্ত পরিবেশেই লক্ষ্মীর আরাধনা সেরে নেওয়া। কিন্তু উত্তম এই রীতিকে বদলে ফেললেন নিজের বাড়িতে।
তা ঠিক কী ঘটে উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয়?
উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো শুরু হয় ১৯৫০ সালে। অর্থাৎ উত্তমের পুত্র গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের জন্মের বছর থেকেই ভবানীপুরের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন মহানায়ক। আর প্রথম বছর থেকেই মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো আসত ঢাকি। হ্য়াঁ, লক্ষ্মীপুজোয় ঢাক বাজানো হয় উত্তমের বাড়িতে। এর নেপথ্যে ছিল একটা কারণ। আর সেই কারণটা ছিল একেবারেই উত্তমের ব্যক্তিগত অনুভূতি।
আসলে উত্তম মনে করতেন, দুর্গাপুজো হয়ে যাওয়ার পর গোটা শহরে শূন্যতা ভরে যায়। এক বিষাদ ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে। এই মন খারাপকেই দূর করতে লক্ষ্মীপুজোয় ঢাক বাজান শুরু করেছিলেন উত্তম। মা লক্ষ্মীও এতে খুশি হবে বলেই মনে করতেন উত্তম। উত্তমের সেই ইচ্ছে মেনেই এখনও তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় ঢাক বাজানো হয়।
