রাজ কাপুরের নির্দেশে সেদিন স্তন্যপান করিয়েছিলেন মন্দাকিনী!
আটের দশকে অমন সুন্দরী নায়িকাকে বলিউডে এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রাজ। ধূসর রঙের চোখ, দুধসাদা গায়ের রং। তার উপর পুরুষের হৃদয়ে দোলা লাগানোর মতো শরীরী ভঙ্গি। মন্দাকিনী এক ছবি থেকেই হয়ে উঠেছিলেন স্বপ্নসুন্দরী।

মন্দাকিনী ছিলেন রাজ কাপুরের আবিষ্কার। আটের দশকে অমন সুন্দরী নায়িকাকে বলিউডে এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রাজ। ধূসর রঙের চোখ, দুধসাদা গায়ের রং। তার উপর পুরুষের হৃদয়ে দোলা লাগানোর মতো শরীরী ভঙ্গি। মন্দাকিনী এক ছবি থেকেই হয়ে উঠেছিলেন স্বপ্নসুন্দরী। তার উপর ‘রাম তেরি গঙ্গা ময়েলি’ ছবিতে তাঁর বোল্ড অবতার, আজও বলিউডের যে কোন বোল্ড নায়িকাকে চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে।
ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল মন্দাকিনীর। মুম্বইয়ে এসে চেষ্টাও করছিলেন। ঠিক সেই সময়ই রাজ কাপুরের নজরে পড়েন তিনি। তখন ছেলে রাজীব কাপুরকে মাথায় রেখে একটা প্রেমের গল্প লিখছিলেন রাজ। খুঁজছিলেন নতুন মুখ। আর তখনই মিরাটের জাসমিন জোসেফকে পছন্দ হয় রাজ কাপুরের। সেই জাসমিনের নামই মন্দাকিনী রাখেন রাজ কাপুর।
শোনা যায়, প্রথম দিন শুটিংয়েই মন্দাকিনীকে রাজ কাপুর জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর এই ছবি মারাত্মক বোল্ড। বেশ কিছু সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে তাঁকে। যার মধ্যে ছিল ঝরনায় স্নানের দৃশ্য। মন্দাকিনী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পাতলা শাড়ি পরে ঝরনার দৃশ্যের থেকেও কঠিন ছিল এই ছবির আরেকটি দৃশ্য। যার কথা মনে পড়লে আজও কেঁপে ওঠেন অভিনেত্রী।
১৯৮৫ সালের ২৫ জুলাই মুক্তি পায় ‘রাম তেরি গঙ্গা ময়েলি’। এই ছবি নিয়ে সেই সময় বিতর্কও শুরু হয়েছিল প্রচুর। বিশেষ করে মন্দাকিনীর স্তন প্রদর্শনের দৃশ্য নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এই ছবিতে একটি দৃশ্য রয়েছে, ট্রেনের কামরায় বসে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন গঙ্গা ওরফে মন্দাকিনী। যে দৃশ্যে ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা হয়েছিল মন্দাকিনীর স্তন। সেই সময় এই ধরনের দৃশ্য সিনেমার পর্দায় দেখে রে রে পড়ে গিয়েছিল। শোনা যায়, রাজ কাপুর নাকি মন্দাকিনীকে স্পষ্টই বলেছিলেন, এই দৃশ্য দর্শকদের মগজে ধাক্কা দেওয়ার জন্য়ই তৈরি। এমনকী, সংলাপেও সেই ধার রেখেছিলেন পরিচালক। যেখানে যৌনতা ভুলে এক ছোট্ট বাচ্চার স্তনদুগ্ধ পান করাকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন পরিচালক।
সাক্ষাৎকারে মন্দাকিনী বলেন, ”পুরো দৃশ্যটা প্রথমে একেবারে রিয়েল ভাবেই শুট করতে চেয়েছিলেন রাজ কাপুর। কিন্তু আমার একটু অস্বস্তি ছিল। তাই ক্যামেরার কারসাজি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেই রাতে শুট হয়। আজকাল তো বোল্ড ছবি করা নায়িকাদের কাছে জলভাত। কিন্তু আটের দশকে এই সাহস খুব কম নায়িকাই দেখিয়েছিলেন।”
