মায়ের শিক্ষকতার চাকরি জোগাড় করে দিয়েছিলেন ঋষভ…
এই ছবিকে মা ও সন্তানের ইমোশনাল জার্নি বলা যেতে পারে। ছবি পরিচালনা করেছেন অংশুমান প্রত্যুষ। ঋষভ এই ছবিতে একজন ক্যাব চালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে ছবির প্রধান চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন।

অভিনেতা ঋষভ বসু আর পাঁচজন অভিনেতার থেকে একটু অন্যরকম। খুব কম সময়ে নিজের অভিনয়গুণে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’ ছবি হোক বা ওয়েব সিরিজে ‘শ্রীকান্ত’র চরিত্র হোক, দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি বারবার। তাঁর ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা পেলেও সেই অর্থে বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি। যদিও বাংলা ও বাংলার বাইরে, সিরিজ, সিনেমা থেকে শুরু করে মঞ্চে নিজেকে তিনি প্রতিদিন প্রমাণ করে চলেছেন। তাঁর আগামী ছবি ‘অন্নপূর্ণা’ মুক্তি পেতে চলেছে। এই ছবি মূলত এক মায়ের গল্প বলবে। বাঙালি মায়েরা সারা জীবন আগলে রাখেন সন্তানদের। আর সেই মায়েদের যা কিছু স্বপ্ন থাকে, তা পূরণ করা, নিজের মতো করে সময় কাটাতে চাওয়াতেই যেন সমস্যা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেন তাতেই সমস্যা তৈরি হয় সন্তানের সঙ্গে।
এই ছবিকে মা ও সন্তানের ইমোশনাল জার্নি বলা যেতে পারে। ছবি পরিচালনা করেছেন অংশুমান প্রত্যুষ। ঋষভ এই ছবিতে একজন ক্যাব চালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে ছবির প্রধান চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন।
এই ছবির প্রিভিউ-এর দিন ঋষভের সঙ্গে কথা হয়েছিল TV9 এর সঙ্গে। ঋষভ এই ছবির মা-এর কথা বলতে-বলতেই নিজের মায়ের কথা শেয়ার করলেন। যখন আমরা দেখি সমাজে মায়েদের নিজের পছন্দের কাজ বা সময় কাটানো নিয়ে উদাসীন সন্তানেরা, সেখানে দাঁড়িয়ে ঋষভ তাঁর মাকে শিক্ষকতার চাকরি করে দিয়েছেন। বিষয়টা খোলসা করলেন অভিনেতা নিজেই, বললেন, “আমার মা আমাকে ছোটবেলায় পড়াতেন। তবে নিজে চাকরি করতে পারেননি পারিবারিক চাপে। তবে যখন আমি একটু বড় হই, আমি যে আঁকার স্কুলে যেতাম, সেখানেই শুনলাম ওখানে টিচার খুঁজছে। আমি বলি তাঁদের, আমার মা ভাল পড়ান, শিক্ষিক দরকার হলে আমার মাকে নিতে পারেন। সেই থেকে আমার মা শিক্ষকতা করেন। আসলে আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না, আমাদের জন্য মায়রা কতটা স্বার্থ ত্যাগ করেন।”





