‘ফেলুদা কি বন্ধ হয়ে যাবে?’ সব্যসাচীর প্রশ্নে কী উত্তর দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়
ফেলুদার সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ স্বয়ং সত্যজিৎ রায় প্রথম ক্যামেরার সামনে ফেলুদার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে। তবে তাঁরই কাছে ফেলুদা হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন একবার অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী।

‘ফেলুদা’, বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে যে কাল্পনীক চরিত্রের আত্মিকযোগ। সে বইয়ের পাতা হোক, কিংবা শ্রুতি নাটক, সিনেমার পর্দা হোক কিংবা ওটিটি, ফেলুদা মানেই এক ভিন্ন আবেগ। বাংলার বহু অভিনেতার স্বপ্নের চরিত্র এটি। যে চরিত্রের চটিতে পা গলিয়েছেন অনেকেই। সেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু। তারপর সব্যসাচী চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রণীল সেনগুপ্ত, টোটা রায়চৌধুরী দর্শক মনে নিজ নিজ কায়দায় জায়গা করে নিয়েছেন। তবে ফেলুদার সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ স্বয়ং সত্যজিৎ রায় প্রথম ক্যামেরার সামনে ফেলুদার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে। তবে তাঁরই কাছে ফেলুদা হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন একবার অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী।
কী উত্তর পেয়েছিলেন তিনি?
সম্প্রতি রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পডকাস্ট ‘সহজ কথা’-এ এসে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সকলের প্রিয় সব্যসাচী। বললেন, “আমি গিয়েছিলাম আমার চরিত্রটা ভীষণ ভাল লেগেছিল, সেই কারণে। ছবিগুলো দেখার পর থেকে আমার আরও বেশি করে মনে হয়েছিল। সন্তোষ দত্ত চলে গেলেন, ফেলুদা বন্ধ হয়ে যাবে? সেটাই ওঁকে বলেছিলাম। সে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করুক বা অন্য কেউ করুক। এটার ফিরে আসা প্রয়োজন। উনি বললেন, ‘নাহ, আমার কোনও ইচ্ছে নেই। বাবু (সন্দীপ রায়) যদি করে, তাহলে সেটা ওর ওপর নির্ভর করে।’ তখন আমি বললাম, ‘নাহ, এতগুলো কথা বলছি, কারণ আমার খুব করার ইচ্ছে।’ তাতে উনি বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে যদি করে, তাহলে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করো।’ তারপর আমি চরিত্রটা পেলাম।”
এর পরের কাহিনি সকলের জানা। সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর অধিকাংশের কাছেই যেন ফেলুদা। পর্দায় একের পর এক কাহিনি তিনি তুলে ধরেছেন সন্দীপ রায়ের সঙ্জে জুটি বেঁধে। তবে এখন সেই স্বপ্নের চরিত্র থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন।
