শাহরুখের ছবি ফ্লপ হোক, কেন প্রার্থনা করতেন গৌরী খান?
গৌরী খানও কোথাও গিয়ে বিশ্বাস করতেন যে বলিউডে কেরিয়ার তৈরি এতটা সহজ নয়। তাই তিনি চাইতেন যাতে শাহরুখ খানের ছবি একেবারেই না চলে। যদিও ভাগ্য ছিল অন্য কিছুই লেখা। তাই শাহরুখ খান আজ বলিউডের বাদশা। ৬০-এর দোরগোড়ায় এসেও যিনি কড়া টক্কর দিতে পারেন গোটা দেশের সুপারস্টারদের।

শাহরুখ খান, পর্দায় তিনিই এখন একমাত্র সুপারস্টার, যাঁর ওপর সিনেমা-নির্মাতারা অন্ধের মতো বিশ্বাস ভরসা করতে পারেন, যাঁর ছবি মুক্তি মানেই মুঠো মুঠো টাকা বক্স অফিসের ঝুলিতে। তবে শাহরুখ খানের কেরিয়ারের শুরুটা কি সত্যি এতটা সহজ ছিল, না, ধারাবাহিক থেকে কেরিয়ার শুরু, তারপর সবটাই পাল্টাতে অনেকটা সময় লেগেছিল শাহরুখ খানের। কীভাবে ছবির জগতে পা রাখবেন কিছুই জানা ছিল না তাঁর।
গৌরী খানও কোথাও গিয়ে বিশ্বাস করতেন যে বলিউডে কেরিয়ার তৈরি এতটা সহজ নয়। তাই তিনি চাইতেন যাতে শাহরুখ খানের ছবি একেবারেই না চলে। যদিও ভাগ্য ছিল অন্য কিছুই লেখা। তাই শাহরুখ খান আজ বলিউডের বাদশা। ৬০-এর দোরগোড়ায় এসেও যিনি কড়া টক্কর দিতে পারেন গোটা দেশের সুপারস্টারদের। তিনি প্রথম থেকেই বোধহয় জানতেন, তাই মাটি কামড়ে পড়েছিলেন।
তবে ভাগ্যের চাকা ঘুরল শাহরুখ খানের কোনও এক দিওয়ালিতে। হঠাৎই পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল বাজিগর ছবি। যে ছবিতে শাহরুখ খানের অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম ছবিতেই কাজলের সঙ্গে তাঁর জুটি হিট। দর্শকেরাও এই ছবিকে বেশ ভালবাসার সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন। রাতারাতি এই ছবি হিট হয়ে যায়। আর শাহরুখ খান প্রথম সারির অভিনেতাদের তালিকাতে জায়গা করে নেন। তিনি প্রথম থেকেই দর্শকদের মনে আলদা ইমেজ তৈরি করেছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে চাননি তিনি নায়ক হতে। চেয়েছিলেন খলনায়কের চরিত্রে পাঠ করতে। তেমনটা যদিও হয়নি।
উল্টো দিকে গৌরী খান নাকি মনে প্রাণে চেয়েছিলেন সেই ছবি যেন ফ্লপ হয়। যাতে শাহরুখ বলিউড ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ভাগ্যে ছিল অন্য কিছু লেখা। সেই শাহরুখ খান এখন সকলের প্রিয়, তিনি এখন অনুরাগীদের কাছে স্বপ্নের স্টার।
