বাবা ছিলেন পুলিশে, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই কেন খুন করতে চান সলমনকে?

Salman Khan: লরেন্স বিষ্ণোই-- আইনের ছাত্র থেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার, হেভিওয়েট খুনের প্রমাণ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালে বাবা সিদ্দিকী--- নিজের হাতে একটাও খুন না করে মাস্টামাইন্ড লরেন্সের প্রতাপে কাঁপছে বলিউড। জেলে বসেই বিষ্ণোই গ্যাং ঘোষণা করে দিয়েছে এই মুহূর্তে তাঁদের একটাই লক্ষ্য তা হল সলমনকে হত্যা। কেন সলমনের উপর এত রাগ তাঁর? কী এমন করেছেন ভাইজান?

বাবা ছিলেন পুলিশে, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই কেন খুন করতে চান সলমনকে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2024 | 3:01 PM

লরেন্স বিষ্ণোই– আইনের ছাত্র থেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার, হেভিওয়েট খুনের প্রমাণ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালে বাবা সিদ্দিকী— নিজের হাতে একটাও খুন না করে মাস্টামাইন্ড লরেন্সের প্রতাপে কাঁপছে বলিউড। জেলে বসেই বিষ্ণোই গ্যাং ঘোষণা করে দিয়েছে এই মুহূর্তে তাঁদের একটাই লক্ষ্য তা হল সলমনকে হত্যা। কেন সলমনের উপর এত রাগ তাঁর? কী এমন করেছেন ভাইজান?

বিষ্ণোই ও সলমনের ‘সম্পর্ক’ বহুদিনের। ক্রোধ একদিনের নয়। লরেন্স জাঠ। এই সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার (এক প্রজাতির হরিণ) পবিত্র। ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শুটিংয়ের সময়, রাজস্থানে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার এবং হত্যার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতা সলমন খানের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে এই মামলায় সলমনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও, পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু লরেন্সের রাগ কমেনি। ২০২৩ সালে তিহার জেল থেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, লরেন্স বিষ্ণোই বলেছিল, তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য সলমনকে শেষ করে দেওয়া। তিনি বলেছিলেন, “আমরা টাকা চাই না। আমরা শুধু চাই তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের মন্দিরে যান এবং আমাদের কাছে ক্ষমা চান। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করে তিনি আমাদের সমগ্র সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু, তিনি ক্ষমা চাইতে নারাজ।”

এমনকি বাবা সিদ্দিকীকে হত্যা করার পর এক ফেসবুক পোস্টে নিজেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দাবি করে এক ব্যক্তি জানান, সলমন খানের জন্যই নাকি শেষ হতে হল সিদ্দিকীকে। সলমনকে সহায়তার কারণেই খোয়ালেন প্রাণ। মুম্বইকে বলা হয় ‘সিটি অব ড্রিমস’ বা স্বপ্নের শহর। তবে এই শহর, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের স্বপ্নপূরণের নয়, হাজি মস্তান, করিম লালা, বরদারাজন মুদালিয়ার, অরুণ গাওলির মতো কুখ্যাত ডনদের স্বপ্নপূরণেরও শহর। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে মুম্বইয়ের রাস্তায় শুরু হয়েছিল রক্তাক্ত গ্যাং-ওয়ার। দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল, আবু সালেম, ছোট রাজনদের মতো ডনদের তাণ্ডব চলত। হত্যা, তোলাবাজি, পুলিশ এনকাউন্টারের নিয়মিত সাক্ষী ছিল মুম্বই। আবারও কি সেই সময় ফিরে আসছে? ইঙ্গিত তেমনটাই।