Lakshmi puja 2024: জানেন এখানে দেবী লক্ষ্মীর ১৮ হাত, অস্ত্রসজ্জিতা, বছর-বছর হয়ে আসছে এভাবেই পুজো
Lakshmi puja 2024: সংশ্লিষ্ট আশ্রমের স্বামী আত্মাপ্রেনান্দ মহারাজ জানান, ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর থেকে অর্থাৎ ১৯৯৯ সাল থেকে ১৮ হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে দেবী এখানে, সকালে এক রূপে, ও রাতে একরূপে পুজিত হয়ে আসছে সেই থেকেই।
মালদহ: দেবী দুর্গার হাতে অস্ত্র থাকে। তবে লক্ষ্মীর হাতে থাকে ঝাঁপি। কিন্তু শুনেছেন কখনও লক্ষ্মীর হাতে রয়েছে অস্ত্র। শুধু তাই নয়, আঠারো হাত রয়েছে তাঁর। মালদহের বামনগোলায় প্রতিবছরই এমন আঠারো হাতের মহালক্ষ্মী পুজিত হন।
শ্রী শ্রী সারদা তীর্থ আশ্রমে ২৫ বছর ধরে শক্তি রূপে পুজো করা হয় মা লক্ষ্মীকে। ১৮ হাতের দেবী লক্ষ্মী প্রতিমার ধুমধাম করে পুজো হয় মালদার বামনগোলায়। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রাচীন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে ১৮ হাত বিশিষ্ট দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা পূজিত হয়ে আসছে বামনগোলা ব্লকের গাঙ্গুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে। বুধবার সকাল থেকেই ওই আশ্রমে দেবী মূর্তিতে সাজানোর তোরজোর ভক্তদের মধ্যে।এদিন সকালে মহালক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে পূজিত হন দেবী লক্ষ্মী।
সংশ্লিষ্ট আশ্রমের স্বামী আত্মাপ্রেনান্দ মহারাজ জানান, ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর থেকে অর্থাৎ ১৯৯৯ সাল থেকে ১৮ হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে দেবী এখানে, সকালে এক রূপে, ও রাতে একরূপে পুজিত হয়ে আসছে সেই থেকেই। এখানে দেবীর এক হাতে থাকে চক্র এবং অন্যান্য হাতে থাকে ত্রিশূল,গদা, তীর-ধনুক, বজ্র্য, কুঠার, সহ অন্যান্য অস্ত্র। থাকে পদ্ম, শঙ্খও।
অসুরদের বধ করার জন্যই নাকি তাঁর এই রূপ। পুজোর আচারেও আছে ভিন্নতা। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ১৬ রকম উপাচারের মাধ্যমে পূজিতা হন তিনি। পুজোর দিন সকালে বস্ত্র, আলতা, কাজল,চিরুনি,ধুপচি (ধুপ-ধুনো জ্বালানো হয়) এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে দেবীকে পুজো করা হয়।
১০৮টি বেল পাতা অর্পণ করা হয় যজ্ঞে। ভোগে থাকে ৫ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, ডাল এবং মিষ্টি। রাতে এখানে চিত্রপটে মহালক্ষ্মীকে পুজো করা হয়। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে। এ দিন কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা।
এই পূর্ণিমার তিথিতে দেবীর সকালে মহালক্ষ্মী রূপে পূজিতা হয়েছে। রাতে কোজাগরের লক্ষ্মী রূপে তিনি পূজিত হবেন। এই পুজো গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে একমাত্র মালদার বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমে ১৮ হাত যুক্ত মহালক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে।
আশ্রম কর্তাদের বক্তব্য,দেবী এখানে লক্ষ্মী,মা দুর্গা,চণ্ডী রুপী সহ বিভিন্ন ভাবে পূজিত হয়ে থাকেন। তাই কাল্পনিক চিন্তাধারায় দেবীকে এখানে ১৮ হাত বিশিষ্ট হিসাবে পুজা করা হয়। লক্ষ্মী পুজার পর গ্রাম জুড়ে মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়ে থাকে।