‘শুক্লা দাস যিনি পরিচালকের স্ত্রী নন তাঁর দাবি…’ অরিন্দম বিতর্কে ঝাঁঝালো লীনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: utsha hazra

Sep 15, 2024 | 11:57 AM

Arindam Sil Controversy: কয়েক দিন আগে পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টলি পাড়ার এক অভিনেত্রী । মহিলা কমিশনের তরফে ডেকে পাঠানো হয় পরিচালক এবং অভিযোগকারিণীকে। যে বিতর্কের জেরে ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে সাসপেন্ড করা হয় পরিচালককে। এই বিতর্কে মুখ খুললেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

শুক্লা দাস যিনি পরিচালকের স্ত্রী নন তাঁর দাবি... অরিন্দম বিতর্কে ঝাঁঝালো লীনা

Follow Us

কয়েক দিন আগে পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টলি পাড়ার এক অভিনেত্রী । মহিলা কমিশনের তরফে ডেকে পাঠানো হয় পরিচালক এবং অভিযোগকারিণীকে। যে বিতর্কের জেরে ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে সাসপেন্ড করা হয় পরিচালককে। এই পরিস্থিতিতে TV9 বাংলার তরফে অরিন্দমের দীর্ঘদিনের সঙ্গী শুক্লা দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিজের বক্তব্য জানান তিনি। তিনি দাবি করেন অরিন্দম নির্দোষ। মহিলা কমিশনের মাথা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। এবার মুখ খুললেন লেখিকা,পরিচালক তথা মহিলা কমিশনের প্রধান। অরিন্দমের ঘটনা প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে নিজের বক্তব্য জানালেন লীনা।

শুক্লার অভিযোগ প্রসঙ্গে লীনার বয়ান

প্রথমেই বলি, শুক্লা যে সব কথা বলেছেন, তাঁর কোনও কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি না। তবে আপনারা প্রশ্ন করছেন বলে জানাচ্ছি। বলা হচ্ছে, অভিযোগকারিণী এক সময়ে আমার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক করেছেন। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পরিচালকও ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন আমাদের প্রযোজনায়। আর অভিযোগকারিণী তিন বছর আগে আমাদের ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। তা হলে দু’জনের অবস্থানই এক। তাই পূর্বপরিচিত বলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ টিকবে না।

এই খবরটিও পড়ুন

এবার বলি, এই অভিযোগ মহিলা কমিশনে জমা পড়ার পর পরিচালককে ডেকে কথা বলা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। প্রথম দিন তাঁর কথা আমরা শুনেছি। এবং দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি বসিয়ে দু’পক্ষের কথা শোনা হয়েছে। পরিচালক সাক্ষী হিসাবে এমন একজনকে এনেছিলেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পরিচালকের সঙ্গে। সেই সাক্ষী ঘরে ঢুকে পরিচালকের দিকে তাকিয়ে হাসেন। সেটাও আমরা খেয়াল করেছি। সাক্ষী হিসাবে যাঁরা পক্ষপাতিত্ব করেননি, তাঁদের সকলের কথা আমরা শুনেছি। এবার বলি, মহিলা কমিশন এই বিষয়টা যখন ডিল করছে, সেই সময়ে পরিচালক বার বার আমাকে ফোন করেছেন। আমি ফোন ধরেছি। সব কল রেকর্ডিং আছে। তাঁর পাঠানো সব বার্তাও আছে।

উনি নিজেই বলেছেন, আমি যেভাবে বিষয়টা নিয়ে কাজ করেছি, সেটা নিরপেক্ষ। তা হলে শুক্লা দাস, যিনি পরিচালকের স্ত্রী নন, কীভাবে দাবি করছেন যে, মহিলা কমিশনের কাজে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে? শুক্লার দাবি আমাদের কাছে অত্যন্ত অবমাননাকর। মহিলা কমিশন আদালত নয় যে, কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়। বরং এখানে দু’পক্ষকেই তাঁদের কথা বলতে দেওয়া হয়। এবার আসি, প্রধান কথাটায়। পরিচালক দাবি করেছেন, আমরা নাকি তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছি যে, তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। বিষয়টা ভুল। আমরা বলেছি, ‘আমরা আপনার মুখে কথা বসাতে পারি না।

আপনি কী পদক্ষেপ করবেন, আমরা বলব না। আপনি কী করবেন, সেটা আপনি ঠিক করুন’। অভিযোগকারিণী পাবলিক অ্যাপলজি চেয়েছিলেন। তাই পরিচালক সেটা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন। সেই বয়ান পরিচালকের লেখা। এই কথোপথনের যাবতীয় খুঁটিনাটি মহিলা কমিশনের কাছে আছে। প্রয়োজনে আদালতে তা দিতে আমরা প্রস্তুত। শেষে বলি, আরও এক অভিনেত্রী এবং পরিচালকের স্ত্রীয়ের তরফে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে কোনও কারণ ছাড়া অকারণে আমাদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করলে, নিজেদের ঠিক প্রমাণ করার তাগিদে যাবতীয় প্রমাণ দিতে বাধ্য হব।

Next Article