স্ত্রী গরিমার হাতে এল জুবিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, কী লেখা রয়েছে?
সেখানে জানা গিয়েছে, জুবিন গর্গের মৃত্যু স্কুবা করার সময় হয়নি। বরং স্কুবার পর ফের সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। তবে সিঙ্গাপুর পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জুবিনের মৃত্য়ু নিয়ে এখনও তদন্ত থামেনি। ।

জুবিন গর্গের অকাল মৃত্যুতে এখনও শোকস্তব্ধ গোটা অসম। তার উপর গায়কের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে এবার প্রকাশ্যে এল জুবিন গর্গের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। শুক্রবার সেই রিপোর্ট সিঙ্গাপুর সরকারের তরফ থেকে জুবিনের স্ত্রী গরিমার হাতে তুলে দেওয়া হল।
তা কী রয়েছে এই রিপোর্টে?
সিঙ্গাপুর পুলিশ বাহিনি প্রয়াত গায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তার উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রাথমিক অনুসন্ধানের একটি অনুলিপি ভারতীয় হাই কমিশনের হাতে তুলে দিয়ে সেখানে জানা গিয়েছে, জুবিন গর্গের মৃত্যু স্কুবা করার সময় হয়নি। বরং স্কুবার পর ফের সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। তবে সিঙ্গাপুর পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জুবিনের মৃত্য়ু নিয়ে এখনও তদন্ত থামেনি। । জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জুবিনের সঙ্গে জড়িতে সবাইকে।
অন্যদিকে, দিল্লি বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্য়ামকানু মহন্ত। দুজনকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় এবং দু’জনকে এসআইটির অধীনে দু’জনকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান হয়েছে বলে খবর। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শ্যামকানু মহন্ত সিঙ্গাপুরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তারপর সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি আসার পর বিমানবন্দরেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ শর্মাকে গুরগাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের। তিনি সিঙ্গাপুরে আয়োজিত নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভালে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে জুবিনের খিঁচুনি হয় জলের মধ্যেই। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, বাঁচানো যায়নি তাঁকে। জুবিনের হঠাৎ এমন আকস্মিক মৃত্যুর পরই নানা প্রশ্ন উঠেছিল।
