World Hypertension Day: ওষুধ ছাড়াই কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন রক্তচাপ? রইল কিছু টিপস
High Blood Pressure: কাজের ফাঁকে মিনিটে মিনিে ধূমপান বাড়িয়ে দিচ্ছে রক্তচাপ। যত বেশি সিগারেট খাবেন ততই রক্তচাপ বাড়বে
Hypertension Day: প্রতি বছর ১৭ মে দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস হিসেবে বা বিশ্ব হাইপারটেনশন ডে হিসেবে। হাইপার টেনশন হল নীরব ঘাতক। প্রচুর মানুষ ভুগছেন এই সমস্যায়। কিন্তু তা নিজেরাও জানেন না। এই হাইপার টেনশনের মূলে হল সচেতনতার অভাব। উচ্চ রক্তডাপের সমস্যা বিশ্বজুড়েই। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন জটিল হচ্ছে এই সমস্যা। বিশ্বের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ বর্তমানে হাইপার টেনশনের সমস্যায় ভুক্তভোগী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হাইপার টেনশনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই হল ভারতের নাগরিক। নিয়মিত ভাবে রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। ইচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যদি থাকে পরিবারের অন্দরেই তাহলে আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে। চিকিৎসক্র পরামর্শ নিয়ে ওষুধ শুরু করবেন। নিজে থেকে এই ওষুধ কখনও বন্ধ করবেন না বা নিজেই ওষুধ কিনে খাবেন না। আজকাল সব বাড়িতেই মাসের সুরুতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্গে আসে ওষুধ। সমল্যা শরীরে লেগেই রয়েছে। এবার সময়মতো সব ওষুধ খাওয়াটাও বেশ ঝক্কির। বরং রোজকার পাতে এই সব পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকবেন।
গাজিয়াবাদের ম্যাক্স হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অমিত মালিক যেমন জানিয়েছেন, ওষুধ না খেয়েও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রোজকার জীবনযাত্রায় এই পাঁচ পরিবর্তন আনলেই রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে হবে
উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে বড় কারণ শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। আর তাই রোজকার খাবারে সোডিয়াম কম খান। প্রতিদিন ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি একটুও নয়। আর এতেই কিন্তু রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান। এই সব খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম থাকে।
নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি
রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। রোজ ঘড়ি ধরে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করলে রক্তচাপ 5-8 মিমি/এইচজি পর্যন্ত কমতে পারে। কিন্তু ব্যায়াম বন্ধ করলেই রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আর তাই নিয়ম করে সাঁতার, সাইকেল চালানো কিংবা নাচ যে কোনও একটা কিছু চালিয়ে যান। ডান্স এক্সসারসাইজও শরীরের জন্য খুবই ভাল।
পুষ্টিকর খাবার খান
রোজ নিয়ম করে গোটা শস্য, ফল, শাকসবজি এবং কম চর্বিযুক্ত দুধ খেলে রক্তচাপ 11 মিমি এইচজি পর্যন্ত কমাতে পারে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা সহজ নয়। তবে কী খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ডায়েটে পটাশিয়ামের বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এর ফলে সোডিয়াম থাকবে নিয়ন্ত্রণে। শাকসবজি এবং ফল পটাশিয়ামের চমৎকার উৎস। এগুলো নিয়মিত আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ধূমপান নয়
কাজের ফাঁকে মিনিটে মিনিে ধূমপান বাড়িয়ে দিচ্ছে রক্তচাপ। যত বেশি সিগারেট খাবেন ততই রক্তচাপ বাড়বে। ধূমপান কম করলে তবেই শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। আর ধূমপান যত কম করবেন ততই কিন্তু ভাল থাকবে হার্টও। বাড়বে আয়ু।
মানসিক চাপ কমান
আজকালর সবার জীবনেই রয়েছে মানসিক চাপ। তবে এই চাপ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। নিজের পছন্দের কাজ করুন। সময়মতো বিশ্রাম নিন। মাঝে মধ্যেই কোথাও গিয়ে ঘুরে আসুন। কিছুক্ষণ নিজের মত চুপচা বসে থাকুন। এতেও চাপ কমে।
তথ্যসূত্র- এনবিটি (NBT)
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।