Period Cramps: পুজোর মধ্যেই পিরিয়ডের তারিখ? না ঘাবড়ে হাতের কাছে রাখুন সহজ সমাধান
Menstrual Health: পুজোর মাঝে ঋতুস্রাব শুরু হলে সব মহিলাদেরই মন খারাপ হয়ে যায়। প্রথমত, নতুন জামা পরে সেজেগুজে বেরোলে দাগের ভয় থেকে যায়। আবার অনেকের থাকে অঞ্জলি না দেওয়ার দুঃখ। কিন্তু তার চেয়ে বড় চিন্তা হল, পিরিয়ড সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা।

চারিদিকে খুশির আমেজ। মা আসছেন। হাতে আর মাত্র চার দিন। কিন্তু এর মাঝে অনেক মেয়েরই মন খারাপ। পুজো মাঝেই যে রয়েছে পিরিয়ডের তারিখ। উৎসবের মাঝে ঋতুস্রাব শুরু হলে সব মহিলাদেরই মন খারাপ হয়ে যায়। প্রথমত, নতুন জামা পরে সেজেগুজে বেরোলে বারবার দাগের ভয় থেকে যায়। আবার অনেকের থাকে অঞ্জলি না দেওয়ার দুঃখ। কিন্তু তার চেয়ে বড় চিন্তা হল, পিরিয়ড সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা। পুজোর দিনগুলোয় তলপেটে ব্যথা, পেশিতে খিঁচুনি, মাথা ধরে থাকার মতো সমস্যার সম্মুখীন কেউ হতে চায় না। উৎসবের মাঝে এমন হলে মেজাজও বিগড়ে যায়। যদিও পিরিয়ডের সময় মুড সুইংও হয়।
পুজোর সময় নতুন জামায় দাগের ভয় কিংবা অঞ্জলি না দিতে পারার দুঃখ কমানো যাবে না। কিন্তু উৎসবের মাঝে ঋতুস্রাব চলাকালীন শারীরিক অস্বস্তি দূর করতে পারেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেক মহিলাই তলপেটের যন্ত্রণা ভোগেন। পাশাপাশি গা-হাত-পা ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি, ডায়ারিয়ার উপসর্গও দেখা দেয়। একে চিকিৎসার পরিভাষায় ডিসমেনোরিয়া বলে। প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি মহিলা ঋতুস্রাবের সময় এই ডিসমেনোরিয়ায় ভোগেন। পুজোর সময় এই ডিসমেনোরিয়ার উপসর্গকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, রইল টিপস।
হিটিং প্যাড: পুজোর মধ্যে ঋতুস্রাব হলে এবং তার সঙ্গে অত্যধিক পরিমাণে তলপেটে যন্ত্রণা হলে, গরম সেঁক দিতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগ কিংবা হিটিং প্যাড ব্যবহার করে তলপেটে সেঁক দিন। এতে পেশির সংকোচন শিথিল হয়ে যায়। ঋতুস্রাবের প্রথম দু-তিন দিন অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন।
হাইড্রেটেড থাকুন: পুজোর সময় খাওয়া-দাওয়ার কোনও ঠিক-ঠিকানা থাকে না। এমনকী প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরিয়ে জল খাওয়ার কথাও মনে থাকে না। কিন্তু পিরিয়ড হলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। ডিসমেনোরিয়ার উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দেহে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে ফলের রস, ডাবের জল, স্মুদিও পান করতে পারেন।
মালিশ: ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঋতুস্রাবের সময় তেল মালিশ করলে শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কমতে পারে। বিশেষত, কোমর ও পায়ের যন্ত্রণা হলে, মালিশ খুবই কার্যকর হয়।
ভেষজ চা: রাত জেগে ঠাকুর দেখার পর এমনই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার উপর পিরিয়ড হলে শরীর যেন আরও দুর্বল হয়ে যায়। এই অবস্থায় আপনি ভেষজ চা পান করতে পারেন। আদা, ক্যামোমাইল, দারুচিনির তৈরি চা পান করুন। এগুলো দেহে প্রদাহ কমায় এবং মানসিক চাপ কমিয়ে আরাম প্রদান করে।
সুষম আহার: পুজোর সময় ডায়েট ভুলে খাওয়া-দাওয়া করেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু পিরিয়ডের সময় শারীরিক সমস্যা কমাতে গেলে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেলে শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি মেজাজও ভাল থাকবে।





