COVID-19: করোনা থেকে সেরে ওঠার সময় স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডায়েটে অবশ্য়ই রাখুন এই ৫ ধরণের খাবার!
করোনা থেকে সেরে না ওঠা পর্যন্ত মাল্টিভিটামিন, ওষুধ ছাড়াও অন্য়ান্য খাওয়ার উপরও বিশেষ নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা যোগান দেওয়ার জন্য ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখবেন, তার বাছাই পর্ব সঠিক হওয়া উচিত।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও লড়াই শেষ হয় না। কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সবসময়ই ধারণার বাইরে থাকে। ২০২১ সালে কোভিডমুক্ত বিশ্ব হবে, এই ধারণা নিয়েই নতুন বছরে প্রবেশ করেছিলাম। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছিল করোনাভাইরাসই।
করোনা পজিটিভ হওয়ার পরই সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার জন্য ফের একবার পরীক্ষার দরকার পড়ে। সৌভাগ্য়েবশত নেগেটিভ রেজাল্ট এলে আমরা স্বস্তির শ্বাস ফেলি। করোনা থেকে সেরে না ওঠা পর্যন্ত মাল্টিভিটামিন, ওষুধ ছাড়াও অন্য়ান্য খাওয়ার উপরও বিশেষ নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা যোগান দেওয়ার জন্য ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখবেন, তার বাছাই পর্ব সঠিক হওয়া উচিত। কোভিড থেকে সেরে ওঠার সময় ডায়েটে যে ধরণের খাদ্য তালিকাভুক্ত করবেন, সেগুলি এখানে দেওয়া রইল…
শক্তি-নিঃসরণকারী খাবার
করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ফলে শরীরে শক্তির ক্ষয় হয়। যার কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। তাই খাদ্যতালিকায় কিছু শক্তি-সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরি। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন গম, ভুট্টা, ঘি, গুড় ইত্যাদি অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা মেটাবে।
সুরক্ষা-প্রদান খাদ্য
করোনার মোকাবিলার করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কিছুটা বৃদ্ধি করা দরকার। ভিটামিন সি এবং খনিজ যেমন তামা, আয়রন এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খাওয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে সাইট্রাস জাতীয় খাবার, শাক-সবজি এবং মৌসুমি ফল।
স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকারী খাদ্য
করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য শরীরকে ফের আগের অবস্থায় আনার জন্য কিছুটা সময় দিতেই লাগে। এই সময় শরীর ঠিক থাকলেও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতার প্রক্রিয়া ও শক্তি বৃদ্ধি ভিতরে ভিতরে করে থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে ডাল, লেবু, ডিম, মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
স্বাদ-টাইলেটিং খাবার
কোভিড যখন আমাদের শরীরকে তাদের অস্থায়ী ঘর বানিয়ে ফেলে তখন আমাদের সংবেদনশীল স্বাদকোড়কগুলি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।তাই স্বাদ, টেক্সচার এবং তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য সময় লাগবে। স্বাদ যাতে ফিরে আসে, তার জন্য মন ভাল লাগার খাবার খেতে পারেন।
মুড ঠিক করতে খাবার
ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ফলে শুধু আমাদের শারীরিক ক্ষতিই নয়, আমাদের মানসিক-স্বাভাবিকও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আরামদায়ক খাবারগুলি অবশ্যই যোগ করা উচিত কারণ এগুলি মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং আপনাকে ভাল বোধ করে। তবে আপনার মনে যে খাবার খেতে ভাল লাগবে, সেই খাবারই খাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।