Effects of Air-Condition: দিনের বেশির ভাগ সময় এসি ঘরে কাটাচ্ছেন? নিজের অজান্তে ডেকে আনছেন এই ৫ রোগ

Summer Health Tips: বাইরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। আর ঘরে ২০-তে এসি চালিয়ে রেখে দিয়েছেন। তাপমাত্রা এই তারতম্যে ‘সিক বিল্ডিং সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকা শরীরে এমন অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যার আপনার-আমার ভাবনাচিন্তার বাইরে।

Effects of Air-Condition: দিনের বেশির ভাগ সময় এসি ঘরে কাটাচ্ছেন? নিজের অজান্তে ডেকে আনছেন এই ৫ রোগ
Follow Us:
| Updated on: May 04, 2024 | 11:53 AM

অফিসে ৯ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন। সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরেই এসি চালিয়ে দেন। রাতের খাওয়া-দাওয়াটা কোনও রকমে শেষ করে আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকে পড়েন। মাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সেখানে আপনার ১৪-১৫ ঘণ্টা কাটছে এসি ঘরে বসে। এতে গরম, ঘামের হাত থেকে বাঁচছেন। কিন্তু সারাক্ষণ এসিতে থাকার অভ্যাস শরীরে রোগ ডেকে আনছে, তা কি জানেন? বাইরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। আর ঘরে ২০-তে এসি চালিয়ে রেখে দিয়েছেন। তাপমাত্রা এই তারতম্যে ‘সিক বিল্ডিং সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকা শরীরে এমন অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যার আপনার-আমার ভাবনাচিন্তার বাইরে।

সর্দি-গর্মি: বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার এতটাই পার্থক্য থাকে যে শরীর তা মানিয়ে উঠতে পারে না। তখনই দেখা দেয় সর্দি-গর্মির সমস্যা। বুকে কফ জমে। বাড়ে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার মতো সমস্যা। অনেক সময় শ্বাসনালিতে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

ড্রাই আইজ: রোদে বেরোলে চোখ জ্বলছে। ডাক্তার দেখাতে জানতে পারলেন ড্রাই আইজ হয়েছে। এই সমস্যার পিছনে শুধু রোদ নয়, এসিও দায়ী। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে চোখের আর্দ্র‌তা কমে যায়। যার জেরে বাড়ে শুষ্ক চোখের সমস্যা। চোখে অস্বস্তি বাড়ে এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।

এই খবরটিও পড়ুন

মাথা ব্যথা: সারাক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে মাথা ধরার সমস্যা বাড়ে। আর যদি মাইগ্রেন থাকে, তখন আরও কষ্ট ভোগ করতে হয়। পাশাপাশি সারাক্ষণ এসিতে বসে কাজ করলে শারীরিক ক্লান্তি বাড়ে। কাজের গতিও কমে যায়।

অ্যালার্জি: বদ্ধ ঘরের মধ্যে দূষণ নেই—এই চিন্তাভাবনা নিজের মধ্যে পুষে রাখবেন না। বরং, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে সবচেয়ে বেশি ডাস্ট অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকে। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী জীবাণু বদ্ধ ঘরের মধ্যেই ঘুরে বেড়ায়। বাতাসের মধ্যে থাকা অ্যালার্জেন শরীরে প্রবেশ করে হিস্টামিনকে উদ্দীপিত করে তোলে এবং শারীরিক অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। চোখ, নাক এবং গলার সমস্যা বাড়ে। হাঁচি, কাশি, নাক ও চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

ডিহাইড্রেশন: গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে, দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে ঘাম হয় না ঠিকই কিন্তু জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। আবার এসি থেকে বাইরে বেরোলে অত্যধিক ঘাম হতে থাকে। এর জেরে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়।