Milk substitute: গোরুর দুধ পছন্দ নয়? ভেষজ এই দুধ এবার In হোক ডায়েটে, পরামর্শ পুষ্টিবিদদের…

Calcium and Vitamin rich drinks: নারকেলের দুধ মূলত রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তবে দক্ষিণ ভারতে অনেকেই নারকেলের দুধ খান। তবে আজকাল পুষ্টিবিদরা নারকেল দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন

Milk substitute: গোরুর দুধ পছন্দ নয়? ভেষজ এই দুধ এবার In হোক ডায়েটে, পরামর্শ পুষ্টিবিদদের...
কোন দুধ খাবেন জানুন...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 9:21 PM

ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে ভাল উৎস হল দুধ। হাড় মজবুত করার জন্যল অপরিহার্য হল ক্যালশিয়াম। যে কারণে দুধকে সম্পূর্ণ খাদ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। দুধের মধ্যে ক্যালশিয়াম ছাড়াও থাকে প্রোটিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আয়োডিনের মত খনিজ। আছে ভিটামিন এ, রাইবোফ্ল্যাভিন, কোবালামিন- এত পুষ্টি আর অন্য কোনও খাবারের মধ্যে পাওয়া যায় না। এছাড়াও রোজ দুধ খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে, সেই সঙ্গে হৃদরোগের হাত থেকেও রক্ষা পায় শরীর। এছাড়াও ওজন ঠিক রাখতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, দাঁত ঠিক রাখতে, মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মানসিক শান্তি পেতে অবশ্যই খান দুধ। যাঁদের রাতে ভাল ঘুম হয় না তাঁরা যদি রোজ একগ্লাস ইষদুষ্ণ দুধ খান তাহলে ঘুম ভাল হবে।

তবে প্রচুর মানুষ আছেন যাঁদের দুধ একেবারেই ভাল লাগে না। আবার কিছু জন আছেন যাঁদের দুধে সমস্যা রয়েছে। দুধ বা দুধের তৈরি কোনও খাবারই তাঁরা খেতে পারেন না। এবার দুধ খেতে না পারলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে। শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। তাই পুষ্টিবিদ প্রিংশি ভাটনগর দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। এই নিয়ম মেনে দুধ খেতে পারলে শরীরও ভাল থাকবে সঙ্গে শরীরের যাবতীয় পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে।

গোরুর দুধ স্বাস্থ্যের জন্য সবচাইকে ভাল। অনেকের পছন্দ মহিষের দুধ। তবে এই মহিষের দুধ বাদ রাখুন রোজকারের তালিকা থেকে। কারণ এর মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ খুব বেশি। আর মহিষের দুধ হজম করাও ভীষণ কঠিন। মহিষের দুধে অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে বেশি পরিমাণে। ক্যালোরি বেশি পরিমাণে থাকে, তুলনায় প্রোটিন একেবারেই কম থাকে। যে কারণে এই সমস্যায় সবচেয়ে ভাল হল আমন্ড মিল্ক। আমন্ডকে গরম জলে ভিজিয়ে নিয়ে তা পেষাই করে দুধ তৈরি করা হয়। এর মধ্যে প্রোটিন বেশি থাকে। জলের পরিমাণও বেশি থাকে। ফলে তা হজম করতে সুবিধে হয়। আর আমন্ড থেকে তৈরি এই দুধের মধ্যে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বেশি।

নারকেলের দুধ মূলত রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তবে দক্ষিণ ভারতে অনেকেই নারকেলের দুধ খান। তবে আজকাল পুষ্টিবিদরা নারকেল দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। নারকেলের দুধের থেকে বানিয়ে নিতে পারেন স্যুপ, স্মুদি, চিয়া সিড পুডিং এবং আইসক্রিম। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁদের জন্য খুবই ভাল এই দুধ।

বিভিন্ন বীজ যেমন সূর্যমুখী, তিসি, চিয়া সিডস, কুমড়ের বীজ পেষাই করে সেখান থেকেও দুধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে। তুলনায় ভাল চর্বির পরিমাণ থাকে বেশি। আর এক গ্লাস দুধ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আলফা লিনোলিক অ্যাসিড পেতে পারেন। আর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভাল উৎস হল এই দুধ।

কাজুর থেকে তৈরি দুধ খেতে যেমন দারুণ তেমনই এর একটা মিষ্টি স্বাদও রয়েছে। এর মধ্যে থাকে অসম্পৃক্ত চর্বি। যাঁদের হাই কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁরা খেতে পারেন এই দুধ। প্রতি কাপ কাজুর দুধের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২ গ্রাম।