Diabetes and Monsoon: বর্ষায় ডায়াবেটিস রোগীরা সুস্থ থাকতে কী কী করবেন আর করবেন না, জানুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jul 09, 2021 | 12:30 PM

ঋতুর পরিবর্তনের পাশাপাশি নিয়ম মেনে চলতে হয় ডায়েট চার্ট।তার মধ্যে ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক অসুখকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব দিকেই বিশেষ নজর দিতে হয়।

Diabetes and Monsoon: বর্ষায় ডায়াবেটিস রোগীরা সুস্থ থাকতে কী কী করবেন আর করবেন না, জানুন
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।কনকনে ঠান্ডা বা গনগনে গরম, কিংবা আর্দ্রতাপূর্ণ বর্ষা- সব মরসুমকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হয় দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে। ঋতুর পরিবর্তনের পাশাপাশি নিয়ম মেনে চলতে হয় ডায়েট চার্ট।তার মধ্যে ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক অসুখকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব দিকেই বিশেষ নজর দিতে হয়।

বর্ষার মরসুমে ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হবেন, তা জেনে নিন…

১. পায়ে সঠিক ও পছন্দের আরামদায়ক জুতো পরুন- রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হলে স্নায়ু ও শরীরে বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের পায়ে সমস্যা হওয়া ঝুঁকি বেড়ে যায়। আরামদায়ক জুতো পরা আবশ্যিক। ত্বককে রক্ষা তো বটেই, পায়ে বায়ুচলাচল করত পারে এমন জুতো পরার অভ্যেস করুন।

২. খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলুন- চপ্পল বা খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলুন। উচ্চ-রক্তচাপ ও রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার পরিমাণ রক্তের স্বাভাবিক সঞ্চালন ভূমিকা বাধা সৃষ্টি করে। পায়ের নার্ভগুলি এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত। স্নায়ু চিকিত্সার মাধ্যমে এই রোগ সারানো সম্ভব। তবে নিউরোপ্যাথির প্রবণতা তৈরি হলে, পা অসাড় হয়ে যাওয়া, পায়ে হাত দিলে অনুভূতি না পাওয়া- এই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়। তাই প্রতিদিন স্নানের সময় পা পরীক্ষা করতে পারেন।

আরও পড়ুন:  কিডনির মারাত্মক সমস্যা দূর করতে এই ৫ ঘরোয়া উপায়েই মিলবে দিশা!

৩. আঘাত পেলে, তা এড়িয়ে যাবেন না- শরীরের যে কোনও অংশে আঘাত পেলে তা কখনও এড়িয়ে যাবেন না। ফোস্কা, কিংবা তুচ্ছ আঘাতও ভবিষ্যতের জন্য বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে। সঠিক চিকিত্সা করা না হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। পায়ে যদি সমস্যা তৈরি হয়, ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

৪. সময়মতো স্নান ও হাত ধোওয়ার অভ্যেস করুন- বিশ্বজুড়ে যা কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধ লড়াই জারি হয়েছে, তাতে বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য সঠিক পরিচর্চার দরকার পড়ে। মারাত্মক জীবাণু থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন স্নান করার আবশ্যিক। সাবান ও গরম জল গিয়ে প্রত্যহ স্নান করা সকলের উচিত। নখ পরিস্কার করা, হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া, শুকনো ও পরিস্কার সুতির কাপড় পরার আগে ভাল করে স্ক্রাব করে নেওয়া প্রয়োজন। বর্ষার আর্দ্রতা ও কম বায়ুচলাচল পরিবেশে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত।

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন- বর্ষায় যতই আর্দ্রতাপূর্ণ জলবায়ু হোক না কেন, জলের পরিমাণ কম করবেন না । শরীরকে হাইড্রেট করতে জলের কোনও বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় জর্জরিত রোগীদের অবশ্যই নির্ধারিত নূন্যতম ও সর্বাধিক জলের পরিমাণ সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া উচিত।

৬. বাড়ির তৈরি খাবার খান- হেপাটাইটিস বা ই কোলি সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাইরের নয়, বাড়ির খাবার খান। এছাড়া অন্যান্য অসুখ থেকে বাঁচতে বাড়ির হেঁসের সুস্বাদু ও নিরাপদ রান্না খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: বারে বারে জল তেষ্টা পাচ্ছে! এই ৪ মারাত্মক অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ এটি

৭. রান্না করার আগে সবজি ও ফল ভাল করে ধুয়ে রাখুন- রাসায়নিক ও রোগজীবাণু ধুয়ে ফেলতে ফল ও শাকসবজিকে পরিস্কার জল দিয়ে পরিস্কার করা দরকার। সবজি কাটার বোর্ড ও ছুরি প্রতিদিন পরিস্কার রাখুন। কাঁচা শাকসবজি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তবে সালাদের ব্যবহৃত শসা, পেঁয়াজ, গাজরের মতো সবজিগুলি খেতে পারেন।ব্রকোলির মতো সবজিগুলি সালাদের জন্য হালকা রান্না করে নিতে পারেন।

৮. অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ এড়িয়ে চলুন- বর্ষার সময় শরীরের ক্রিয়াকলাপ বা পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। যার কারণে শরীর অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়। খাওয়ার সময় মনে হতে পারে, আর একটু খেলে পেট ভরে যাবে, সেইসময়ই আপনার অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা বন্ধ করে দেওয়া দরকার। বিপাকতন্ত্রকে স্বাভাবিক করতে কিছুক্ষণ বাড়ির ভিতর হাঁটা শুরু করতে পারেন। রাতে খাবার গ্রহণের পরই ঘুমিয়ে পড়বেন না। রাতের দিকে যত তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া যায়, ততই ভাল। তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, বই পড়ার মতো অভ্যেস তৈরি করতে পারেন।

৯. শরীরচর্চা মাস্ট- শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করা দরকার। পা, হাত, পেট, ঘাড়- সব অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে যোগ-ব্যায়াম করার অভ্যেস করুন। ব্যথা উপশম করতে, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে পা-হাতে মাসাজ করতে পারেন।

Next Article