High Blood Pressure: উচ্চ রক্তচাপকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? উপায় বাতলালেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী

এখন প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে একজন মানুষ উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) সমস্যায় ভুগছেন। জেনেটিক্সের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারাও এই রোগের পিছনে দায়ী। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে একদিনও বাদ দেওয়া যাবে না ওষুধ। এর পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য আপনি সাহায্য নিতে পারে ঘরোয়া প্রতিকারের। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপ কমাতে এক গ্লাস বিটের রসই যথেষ্ট। এই প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। ওই ভিডিয়োতে তিনি জানিয়েছে গরমে কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তিনি বলেন, আজকাল উচ্চ রক্তচাপ একটি সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে কিছু না করেই বেড়ে যায় রক্তচাপ। এমন পরিস্থিতিতে এক গ্লাস বিটরুটের রস উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এছাড়াও তিনি প্রতিদিন বিটরুটের রস পান করার পরামর্শ দেন।

সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের শরীরে প্রেশার ১৪০/৮০ এমএম/এইচজি-এর নীচে থাকা উচিত। কিন্তু যদি আপনার ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনও রোগ থাকে তখন সেটা ১৩০/৮০ কিংবা ১২৫/৭৫ প্রেশার হতে পারে। কিন্তু এই সংখ্যা অতিক্রম করলেই সাবধান হওয়া উচিত।

আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্তনালীর ভিতরের দেওয়ালে যে চাপ তৈরি হয় তাকে ব্লাড প্রেশার বলে। কিন্তু সমস্যা হল প্রেশারের কোনও লক্ষণ দেখা দেয় না। যখন এটা মারাত্মক পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায় তখন মাথা ঘোরা, বমি-বমি ভাব, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, শ্বাসকষ্টের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই লক্ষণ না দেখা দিলেও একটা বয়সের পর আপনাকে সচেতন থাকতে হবে এবং নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। কারণ সচেতন না থাকলে এবং প্রতিদিন ব্লাড প্রেশারের ওষুধ না খেলে এটি শরীরে মারণ রোগও ডেকে আনতে পারে।

বিটরুটে রয়েছে উচ্চ মাত্রার খাদ্যতালিকাগত নাইট্রেট, যা শরীর জৈবিকভাবে সক্রিয় নাইট্রাইট এবং নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। মানবদেহে, নাইট্রিক অক্সাইডে রক্তনালীগুলিকে শিথিল এবং প্রশস্ত করে তোলে। দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত ১৬টি ট্রায়ালের মেটা-বিশ্লেষণে গবেষকরা দেখেছেন যে, অজৈব নাইট্রেট এবং বিটরুটের রসের পরিপূরক সিস্টোলিক রক্তচাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে।

উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও বিটরুট খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন এই সবজির রস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে সুস্থ রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হজম ক্ষমতা উন্নতি করে, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, অর্শ্বের সমস্যা নিরাময় করে, ডায়রিয়ার সমস্যা নিরাময় করে, মুখের ফোস্কা নিরাময় করে, চর্বি কমিয়ে ওজন কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়, হাড় মজবুত করে।

উচ্চ রক্তচাপের রোগে বিটরুটের রস ছাড়াও পালং শাক, রসুন, মিষ্টি আলু জাতীয় সবজি খেলে উপকার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করাও খুব জরুরি। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ, জাঙ্ক ফুড এবং টিনজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।