Uric Acid: গাউটের ব্যথায় কাতর? যে উপায়ে খাবেন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার

How to drink Apple Cider Vinegar: অ্যাপেল সিডার ভিনিগার সব সময় জলে মিশিয়ে খাবেন। একটানা ২১ দিনের বেশি কিন্তু এই ভিনিগার খাবেন না

Uric Acid: গাউটের ব্যথায় কাতর? যে উপায়ে খাবেন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
যে ভাবে খাবেন এই ভিনিগার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2022 | 12:38 PM

ডায়াবেটিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিডও। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে প্রাথমিক উপসর্গ হল পা ফোলা, পায়ে ব্যথা। পায়ের পাতা এমন ভাবে ফুলে যায় যে হাঁটতে অসুবিধে হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে সেখান থেকে একাধিক সমস্যার সূত্রপাত হয়। শরীরের বর্জ্য পদার্থ হল ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের ফলে সেখান থেকে বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সোজা কথায় প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরের ভিতরে থাকে। এই ইউরিক অ্যাসিড পরিমাণে বেড়ে গেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা শরীরে স্ফটিক আকারে তা জমতে শুরু করে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে জয়েন্টে ব্যথা, জয়েন্টে ফোলা ভাব এবং আর্থ্রাইটিসের সমস্যাও থেকে যায়।

আর তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে, পায়ে ব্যথা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে মেনে চলুন এই পরামর্শও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় দারণ কার্যকরী। যাঁদের হাই ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তাঁরা যদি রোজ নিয়ম করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান তাহলে খুবই ভাল। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যও। যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের উপকারিতা

এই ভিনিগার ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে লিভারের সমস্যা রুখতে কাজ করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হার্টের সমস্যা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা রোজ কোলোস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, সুগারের ওষুধ খান তাঁরাও যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান তাহলে লাভ পাবেন।

কী ভাবে খাবেন এই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার?

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার সব সময় জলে মিশিয়ে খাবেন। একটানা ২১ দিনের বেশি কিন্তু এই ভিনিগার খাবেন না। অতে অন্ত্রের ক্ষতি হয়। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই জলে মিশিয়ে অবশ্যই খাবেন। একগ্লাস জলে ছোট ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। সকালেও খেতে পারেন। নইলে দুপুরে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে খেতে পারেন। তবে অ্যাপেল সাইড ভিনিগার খেলে অন্তত ৩০ মিনিট গ্যাপ দেবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।